০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে জঙ্গি আছে, কিন্তু ‘জঙ্গি নেই’ মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়ায় কী হয়েছিল- ছাত্রদের কেন এই প্রতিক্রিয়া? এশিয়া ও আফ্রিকার নারী কৃষকদের ক্ষমতায়নে ব্র্যাককে রকফেলার ফাউন্ডেশনের সহায়তা ভারতীয় ক্রিকেট দলের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সায় নেই দিল্লির বিএনপি নেতাদের কয়েক দফায় চীন সফর কী বার্তা দিচ্ছে? হোলি আর্টিজান হামলা: বাংলাদেশের হৃদয়ে রক্তাক্ত স্মৃতি ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২৫) পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের স্মৃতিকথা (পর্ব-২১১) সার্ডিনিয়ার উপকূলীয় সৌন্দর্য: গাড়িতে করে দ্বীপ ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 9

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

৬২৯ খৃস্টাব্দে হিউএনচাঙ নামক চীনদেশের একজন মহাপণ্ডিত ভক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু স্থলপথে ভারতবর্ষে আসেন আর সমস্ত ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করে ৬৪৫ খৃস্টাব্দে স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন। তিনি চীন রাজ্যের সেই সময়কার সীমানার বাইরে যেসব দেশ দেখেছিলেন, চীন সম্রাটের অনু-রোধে সেসব দেশের তিনি একটা বিবরণ লেখেন।

এই বইখানা চীনভাষার একখানা উৎকৃষ্ট সাহিত্যগ্রন্থ ব’লে গণ্য। তা ছাড়া তাঁর শিষ্য হুই-লি-কে তিনি তাঁর নিজের ভ্রমণকাহিনী কিছু কিছু বলেছিলেন। হুই-লি সেইসমস্ত কথা ‘হিউএনচাঙের জীবনী’ নামক এক পুস্তকে লিখেছেন।

মুসলমান আক্রমণের আগে ভারতবর্ষের অবস্থার বিবরণ খুব বেশী পাওয়া যায় না। সেই জন্যে একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞ বিদেশী প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ হিসাবে এই দুইখানা গ্রন্থ অমূল্য।

সমগ্র ভারতে ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক গুরুত্ব বিশিষ্ট কম স্থানই ছিল যেখানে তিনি যান নি। তাঁর লিখিত চৈনিক নাম আর বিবরণের সঙ্গে সেইসব স্থানের প্রকৃত নাম আর অবস্থান সনাক্ত করার কাজ প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক করণীয়। এই কাজ নিয়েই ভারতের ‘প্রত্নতত্ত্ববিভাগ’ শুরু হয় আর তাঁর বিবরণ থেকেই অনেক লুপ্ত নগরীর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে জঙ্গি আছে, কিন্তু ‘জঙ্গি নেই’

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

০৯:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

৬২৯ খৃস্টাব্দে হিউএনচাঙ নামক চীনদেশের একজন মহাপণ্ডিত ভক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু স্থলপথে ভারতবর্ষে আসেন আর সমস্ত ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করে ৬৪৫ খৃস্টাব্দে স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন। তিনি চীন রাজ্যের সেই সময়কার সীমানার বাইরে যেসব দেশ দেখেছিলেন, চীন সম্রাটের অনু-রোধে সেসব দেশের তিনি একটা বিবরণ লেখেন।

এই বইখানা চীনভাষার একখানা উৎকৃষ্ট সাহিত্যগ্রন্থ ব’লে গণ্য। তা ছাড়া তাঁর শিষ্য হুই-লি-কে তিনি তাঁর নিজের ভ্রমণকাহিনী কিছু কিছু বলেছিলেন। হুই-লি সেইসমস্ত কথা ‘হিউএনচাঙের জীবনী’ নামক এক পুস্তকে লিখেছেন।

মুসলমান আক্রমণের আগে ভারতবর্ষের অবস্থার বিবরণ খুব বেশী পাওয়া যায় না। সেই জন্যে একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞ বিদেশী প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ হিসাবে এই দুইখানা গ্রন্থ অমূল্য।

সমগ্র ভারতে ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক গুরুত্ব বিশিষ্ট কম স্থানই ছিল যেখানে তিনি যান নি। তাঁর লিখিত চৈনিক নাম আর বিবরণের সঙ্গে সেইসব স্থানের প্রকৃত নাম আর অবস্থান সনাক্ত করার কাজ প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক করণীয়। এই কাজ নিয়েই ভারতের ‘প্রত্নতত্ত্ববিভাগ’ শুরু হয় আর তাঁর বিবরণ থেকেই অনেক লুপ্ত নগরীর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)