০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • 21

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

৬২৯ খৃস্টাব্দে হিউএনচাঙ নামক চীনদেশের একজন মহাপণ্ডিত ভক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু স্থলপথে ভারতবর্ষে আসেন আর সমস্ত ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করে ৬৪৫ খৃস্টাব্দে স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন। তিনি চীন রাজ্যের সেই সময়কার সীমানার বাইরে যেসব দেশ দেখেছিলেন, চীন সম্রাটের অনু-রোধে সেসব দেশের তিনি একটা বিবরণ লেখেন।

এই বইখানা চীনভাষার একখানা উৎকৃষ্ট সাহিত্যগ্রন্থ ব’লে গণ্য। তা ছাড়া তাঁর শিষ্য হুই-লি-কে তিনি তাঁর নিজের ভ্রমণকাহিনী কিছু কিছু বলেছিলেন। হুই-লি সেইসমস্ত কথা ‘হিউএনচাঙের জীবনী’ নামক এক পুস্তকে লিখেছেন।

মুসলমান আক্রমণের আগে ভারতবর্ষের অবস্থার বিবরণ খুব বেশী পাওয়া যায় না। সেই জন্যে একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞ বিদেশী প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ হিসাবে এই দুইখানা গ্রন্থ অমূল্য।

সমগ্র ভারতে ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক গুরুত্ব বিশিষ্ট কম স্থানই ছিল যেখানে তিনি যান নি। তাঁর লিখিত চৈনিক নাম আর বিবরণের সঙ্গে সেইসব স্থানের প্রকৃত নাম আর অবস্থান সনাক্ত করার কাজ প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক করণীয়। এই কাজ নিয়েই ভারতের ‘প্রত্নতত্ত্ববিভাগ’ শুরু হয় আর তাঁর বিবরণ থেকেই অনেক লুপ্ত নগরীর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-২)

০৯:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

৬২৯ খৃস্টাব্দে হিউএনচাঙ নামক চীনদেশের একজন মহাপণ্ডিত ভক্ত বৌদ্ধ ভিক্ষু স্থলপথে ভারতবর্ষে আসেন আর সমস্ত ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করে ৬৪৫ খৃস্টাব্দে স্বদেশে প্রত্যাগমন করেন। তিনি চীন রাজ্যের সেই সময়কার সীমানার বাইরে যেসব দেশ দেখেছিলেন, চীন সম্রাটের অনু-রোধে সেসব দেশের তিনি একটা বিবরণ লেখেন।

এই বইখানা চীনভাষার একখানা উৎকৃষ্ট সাহিত্যগ্রন্থ ব’লে গণ্য। তা ছাড়া তাঁর শিষ্য হুই-লি-কে তিনি তাঁর নিজের ভ্রমণকাহিনী কিছু কিছু বলেছিলেন। হুই-লি সেইসমস্ত কথা ‘হিউএনচাঙের জীবনী’ নামক এক পুস্তকে লিখেছেন।

মুসলমান আক্রমণের আগে ভারতবর্ষের অবস্থার বিবরণ খুব বেশী পাওয়া যায় না। সেই জন্যে একজন বুদ্ধিমান বিজ্ঞ বিদেশী প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ হিসাবে এই দুইখানা গ্রন্থ অমূল্য।

সমগ্র ভারতে ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক গুরুত্ব বিশিষ্ট কম স্থানই ছিল যেখানে তিনি যান নি। তাঁর লিখিত চৈনিক নাম আর বিবরণের সঙ্গে সেইসব স্থানের প্রকৃত নাম আর অবস্থান সনাক্ত করার কাজ প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক করণীয়। এই কাজ নিয়েই ভারতের ‘প্রত্নতত্ত্ববিভাগ’ শুরু হয় আর তাঁর বিবরণ থেকেই অনেক লুপ্ত নগরীর ভগ্নাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১)