০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬৩)

  • Sarakhon Report
  • ১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • 14

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অসুবিধার কথা বলতে গেলে প্রধানত একটি অসুবিধার কথাই মনে আসে। সেটি হচ্ছে-এই পদ্ধতিতে একই শব্দের সাহায্যে নানা ধরণের সংখ্যা নির্দেশ করতে পারে। যেমন ধরা যাক “পঙক্তি” শব্দটি। এটিতে পাঁচটি পাদ আছে এবং প্রতিটি পাদে ৮টি করে অক্ষর আছে। সুতরাং মোট ৪০টি অক্ষর আছে। অতএব পড়ুক্তি -৪০ ধরা হবে। কিন্তু বেদে পাদের প্রতি লক্ষ্য রেখে পংক্তি-৫ ধরা হয়ে হয়েছে। আবার পরবর্তী কালে কোথাও কোথাও যেমন পদ্মপুরাণের পাতাল খণ্ডে পড়ুক্তি – ১০ ধরা হয়েছে।

এখানে বলা হয়েছে:

অযোধ্যায়াং মহারাজঃ পুরা পত্র ক্তিরখো বলী।
তক্ষাত্মজো রামচন্দ্রঃ সর্ব্বশূরশিরমণিঃ৪

এখানে “পঙক্তিরখ” শব্দটির অর্থ দশরথ অর্থাৎ পড়ুক্তি=১০ ধরা হয়েছে। “বিরাট” শব্দটি ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ১০ সংখ্যা ধরা হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোথাও বিরাট = ৩০ উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিক এইভাবে ‘যটশতং’কে কেউ বলেন ৬০০, আবার কেউ বলেন ১০৬। সেইরূপ ‘পঞ্চশতং’কে কেউ বলেন ৫০০, আবার কেউ বলেন ১০৫।
ভারতবর্ষে কবে নাগাদ নাম সংখ্যার প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে রীতিমত বিরোধ রয়েছে।

জি. আর. ক্যে মনে করেন গ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দীতে “নাম সংখ্যা” ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে প্রবেশ করে। ওয়েবার (বেবর) প্রমুখ ঐতিহাসিকেরা মনে করেন এই পদ্ধতি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অতি প্রাচীনকাল থেকেই আছে। আমরা যদি বেদ, পুরাণ, স্মৃতি প্রভৃতি ভারতীয় গ্রন্থ পর্যালোচনা করি তাহ’লে এই সব গ্রন্থে নাম সংখ্যার প্রয়োগ ভূরি ভূরি দেখতে পাবো। বেদের মধ্যে নাম সংখ্যার উল্লেখ আছে। এ গুলির কিছু কিছু নিয়ে আলোচনা করা যাক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬৩)

১০:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

অসুবিধার কথা বলতে গেলে প্রধানত একটি অসুবিধার কথাই মনে আসে। সেটি হচ্ছে-এই পদ্ধতিতে একই শব্দের সাহায্যে নানা ধরণের সংখ্যা নির্দেশ করতে পারে। যেমন ধরা যাক “পঙক্তি” শব্দটি। এটিতে পাঁচটি পাদ আছে এবং প্রতিটি পাদে ৮টি করে অক্ষর আছে। সুতরাং মোট ৪০টি অক্ষর আছে। অতএব পড়ুক্তি -৪০ ধরা হবে। কিন্তু বেদে পাদের প্রতি লক্ষ্য রেখে পংক্তি-৫ ধরা হয়ে হয়েছে। আবার পরবর্তী কালে কোথাও কোথাও যেমন পদ্মপুরাণের পাতাল খণ্ডে পড়ুক্তি – ১০ ধরা হয়েছে।

এখানে বলা হয়েছে:

অযোধ্যায়াং মহারাজঃ পুরা পত্র ক্তিরখো বলী।
তক্ষাত্মজো রামচন্দ্রঃ সর্ব্বশূরশিরমণিঃ৪

এখানে “পঙক্তিরখ” শব্দটির অর্থ দশরথ অর্থাৎ পড়ুক্তি=১০ ধরা হয়েছে। “বিরাট” শব্দটি ঐতরেয় ব্রাহ্মণে ১০ সংখ্যা ধরা হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোথাও বিরাট = ৩০ উল্লেখ করা হয়েছে। ঠিক এইভাবে ‘যটশতং’কে কেউ বলেন ৬০০, আবার কেউ বলেন ১০৬। সেইরূপ ‘পঞ্চশতং’কে কেউ বলেন ৫০০, আবার কেউ বলেন ১০৫।
ভারতবর্ষে কবে নাগাদ নাম সংখ্যার প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে রীতিমত বিরোধ রয়েছে।

জি. আর. ক্যে মনে করেন গ্রীষ্টীয় নবম শতাব্দীতে “নাম সংখ্যা” ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে প্রবেশ করে। ওয়েবার (বেবর) প্রমুখ ঐতিহাসিকেরা মনে করেন এই পদ্ধতি ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অতি প্রাচীনকাল থেকেই আছে। আমরা যদি বেদ, পুরাণ, স্মৃতি প্রভৃতি ভারতীয় গ্রন্থ পর্যালোচনা করি তাহ’লে এই সব গ্রন্থে নাম সংখ্যার প্রয়োগ ভূরি ভূরি দেখতে পাবো। বেদের মধ্যে নাম সংখ্যার উল্লেখ আছে। এ গুলির কিছু কিছু নিয়ে আলোচনা করা যাক।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৬২)