০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • 18

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

প্রথম জীবন: চীন থেকে ভারত অভিমুখে যাত্রা

৬০১ খৃস্টাব্দে হোনান প্রদেশে, লো-ইয়াঙ (বর্তমান হোনান ফু) নগরে এক সম্ভ্রান্ত কনফুসীয় পরিবারে হিউএনচাঙের জন্ম হয়। এঁর পিতামহ বিদ্বান ছিলেন। তিনি পিকিনের সরকারী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। পিতা হুই-এর কার্যকুশলতার, সংযত ও মার্জিত আচার ব্যবহারের খ্যাতি ছিল।

সম্মানলাভের আকাঙ্ক্ষার চেয়ে জ্ঞানানুশীলনেই তাঁর অনুরাগ বেশী থাকায় আর সুই রাজবংশের যে পতন আসন্ন তা বুঝতে পেরে তিনি কোনো সরকারী কাজ গ্রহণ করেন নি, আর সব লোকেরই শ্রদ্ধাভাজন হয়েছিলেন। তিনি দেখতে দীর্ঘাকৃতি সুপুরুষ ছিলেন।

হিউএনচাঙ পিতার সর্বকনিষ্ঠ চতুর্থ পুত্র ছিলেন। আট বছর বয়স থেকেই এ’র ভব্যতা, গুরুজনদের প্রতি কনফুসীয় শাস্ত্রানুযায়ী সম্মান প্রদর্শন দেখে এ’র বাবা অবাক হন। তাঁর স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ ছিল আর ছোটবেলায় সমবয়স্ক ছেলেদের সঙ্গে খেলাধূলা না ক’রে তিনি বিরলে লেখাপড়া নিয়ে থাকতেই ভালো বাসতেন।

এর দ্বিতীয় ভ্রাতা বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ছোট ভাইয়ের ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নে স্পৃহা দেখে তিনি তাঁকে সঙ্ঘারামে নিজের সঙ্গে অনেক সময়ে রাখতেন। আর সেই থেকে হিউএনচাঙেরও ভবিষ্যৎ জীবনের ধারা একরকম স্থির হয়ে গেল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৫)

০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

প্রথম জীবন: চীন থেকে ভারত অভিমুখে যাত্রা

৬০১ খৃস্টাব্দে হোনান প্রদেশে, লো-ইয়াঙ (বর্তমান হোনান ফু) নগরে এক সম্ভ্রান্ত কনফুসীয় পরিবারে হিউএনচাঙের জন্ম হয়। এঁর পিতামহ বিদ্বান ছিলেন। তিনি পিকিনের সরকারী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। পিতা হুই-এর কার্যকুশলতার, সংযত ও মার্জিত আচার ব্যবহারের খ্যাতি ছিল।

সম্মানলাভের আকাঙ্ক্ষার চেয়ে জ্ঞানানুশীলনেই তাঁর অনুরাগ বেশী থাকায় আর সুই রাজবংশের যে পতন আসন্ন তা বুঝতে পেরে তিনি কোনো সরকারী কাজ গ্রহণ করেন নি, আর সব লোকেরই শ্রদ্ধাভাজন হয়েছিলেন। তিনি দেখতে দীর্ঘাকৃতি সুপুরুষ ছিলেন।

হিউএনচাঙ পিতার সর্বকনিষ্ঠ চতুর্থ পুত্র ছিলেন। আট বছর বয়স থেকেই এ’র ভব্যতা, গুরুজনদের প্রতি কনফুসীয় শাস্ত্রানুযায়ী সম্মান প্রদর্শন দেখে এ’র বাবা অবাক হন। তাঁর স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ ছিল আর ছোটবেলায় সমবয়স্ক ছেলেদের সঙ্গে খেলাধূলা না ক’রে তিনি বিরলে লেখাপড়া নিয়ে থাকতেই ভালো বাসতেন।

এর দ্বিতীয় ভ্রাতা বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ছোট ভাইয়ের ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নে স্পৃহা দেখে তিনি তাঁকে সঙ্ঘারামে নিজের সঙ্গে অনেক সময়ে রাখতেন। আর সেই থেকে হিউএনচাঙেরও ভবিষ্যৎ জীবনের ধারা একরকম স্থির হয়ে গেল।

চলবে

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪)