০৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের শঙ্কা মুরাদনগর ঘটনা নারীর নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ নিরাপত্তাহীন কর্মস্থল: ছয় মাসে ৪২২ শ্রমিকের মৃত্যু দেশে আরো ৫০ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে চলে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিলম্বে সামান্য উন্নতি চীনা কারখানা কার্যক্রমে, তবে সংকোচন অব্যাহত জন্ডিস রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে সতর্কতা কীর্তনখোলা নদী: বরিশালের প্রাণ, দুই শতকের ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা বাংলাদেশে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন, প্রকারভেদ ও নিয়মভঙ্গের শাস্তি আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: বিবিসিকে ইরানি মন্ত্রী প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-২২)

বাংলাদেশের পোষাক শিল্প কঠিন সময়ের মধ্যে ঢুকে গেছে

  • Sarakhon Report
  • ০২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • 14

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ অভূত্থানের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিরতায় অনেক ব্রান্ড তাদের অর্ডার বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়

বাংলাদেশের অনেক অর্ডার ভারতে চলে গেছে

ভারত ৮০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশ্ব বাজার নতুন করে ধরার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে

পরিসংখ্যান বলছেব্রান্ডগুলো বাংলাদেশের বদলে বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে

ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় তৈরি পোষাকের বাজার উর্ধমূখী

পোষাক শিল্প বাজার দখলের জন্যে ভারত বাড়তি বাজেট করেছে

বাংলাদেশ বৈশ্বিক পোষাক বাজারে বড় অংশ দখলের দৌড়ে আরও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে পারেকারণ ভারত সরকার তাদের পোশাক রপ্তানিকারকদের আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

ভারত সরকারের আত্মবিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত হয়েছে যে তারা ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজারের একটি বড় অংশ দখল করতে পারেযেহেতু তারা লক্ষ্য করছে যে গত বছর বাংলাদেশের অনেক কাজের অর্ডার ভারতে চলে গেছে।

কিছু আন্তর্জাতিক পোষাক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সময়ে উৎপাদনচালানকাঁচামাল আমদানি এবং পরিবহনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ায় অর্ডার সরিয়ে নেয়। আর এগুলো ঘটেছে জুলাই মাসে ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ।

এই অচলাবস্থাযা জুলাইতে শুরু হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়রপ্তানিকারকদের কার্যত কার্যক্রম স্থবির করে দিয়েছ

এরপরে অস্থিতিশীলতার ফলে শ্রমিক অসন্তোষ এবং দুই থেকে তিন মাস ধরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে চলমান জ্বালানি সংকটও অনেক বড় ইউনিটকে সক্ষমতার নিচে পরিচালনা করতে বাধ্য করেছে।

তাছাড়া,  কথিত জুলাই বিপ্লব”-এর সময় পোষাক খাতের জন্য সবচেয়ে খারাপ ছিল।

জুলাইআগস্টসেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসগুলো ক্রিসমাস বিক্রির জন্য পশ্চিমা বাজারে পণ্যের উৎপাদন এবং চালানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়।

ফলেস্থানীয় রপ্তানিকারকদের পণ্য পরিবহন এবং চালানে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়তে হয়। যারা সক্ষমতারা নির্ধারিত সময় মেনে চলার জন্য ব্যয়বহুল এয়ার চালান বেছে নেয়।

উপস্থিত ডেটা দেখায় যে বাংলাদেশের প্রধান বাজারে রপ্তানি কমছেকারণ খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে। অন্যদিকেভারতের পোষাক চালান বিশেষ করে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী।

জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোষাক রপ্তানি ০.৪৬ শতাংশ কমে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছেযেখানে ভারতের রপ্তানি ৪.২৫ শতাংশ বেড়ে ৪.৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবেবাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা জানান যে বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া কাজের কিছু কিছু অর্ডার আবার ফিরে আসছেকারণ শিল্পকেন্দ্রে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি ক্রেতাদের পূর্ণ আস্থা দিতে পারছে না

অন্যদিকে ভারত সরকারযারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের পোষাক খাতে প্রচুর আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে আসছেএই সুযোগটি কাজে লাগাতে আগ্রহী।

বর্তমানেভারতের টেক্সটাইল খাত উন্নয়নের জন্য কিছু বড় সরকারি প্রকল্প রয়েছেযা আনুমানিক ৪৫ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি উন্নয়নদক্ষতা উন্নয়নসক্ষমতা বৃদ্ধিঅবকাঠামো এবং শক্তি উন্নয়নের জন্য তহবিল। এর পাশাপাশি উৎপাদন প্রণোদনা এবং শুল্কের অব্যাহতি সুবিধাও রয়েছে।

ভারতের পোষাক রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিতে বাজেটে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের শঙ্কা

বাংলাদেশের পোষাক শিল্প কঠিন সময়ের মধ্যে ঢুকে গেছে

০২:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ অভূত্থানের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিরতায় অনেক ব্রান্ড তাদের অর্ডার বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়

বাংলাদেশের অনেক অর্ডার ভারতে চলে গেছে

ভারত ৮০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশ্ব বাজার নতুন করে ধরার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে

পরিসংখ্যান বলছেব্রান্ডগুলো বাংলাদেশের বদলে বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে

ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় তৈরি পোষাকের বাজার উর্ধমূখী

পোষাক শিল্প বাজার দখলের জন্যে ভারত বাড়তি বাজেট করেছে

বাংলাদেশ বৈশ্বিক পোষাক বাজারে বড় অংশ দখলের দৌড়ে আরও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে পারেকারণ ভারত সরকার তাদের পোশাক রপ্তানিকারকদের আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

ভারত সরকারের আত্মবিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত হয়েছে যে তারা ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাজারের একটি বড় অংশ দখল করতে পারেযেহেতু তারা লক্ষ্য করছে যে গত বছর বাংলাদেশের অনেক কাজের অর্ডার ভারতে চলে গেছে।

কিছু আন্তর্জাতিক পোষাক খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সময়ে উৎপাদনচালানকাঁচামাল আমদানি এবং পরিবহনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়ায় অর্ডার সরিয়ে নেয়। আর এগুলো ঘটেছে জুলাই মাসে ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ।

এই অচলাবস্থাযা জুলাইতে শুরু হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়রপ্তানিকারকদের কার্যত কার্যক্রম স্থবির করে দিয়েছ

এরপরে অস্থিতিশীলতার ফলে শ্রমিক অসন্তোষ এবং দুই থেকে তিন মাস ধরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে চলমান জ্বালানি সংকটও অনেক বড় ইউনিটকে সক্ষমতার নিচে পরিচালনা করতে বাধ্য করেছে।

তাছাড়া,  কথিত জুলাই বিপ্লব”-এর সময় পোষাক খাতের জন্য সবচেয়ে খারাপ ছিল।

জুলাইআগস্টসেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসগুলো ক্রিসমাস বিক্রির জন্য পশ্চিমা বাজারে পণ্যের উৎপাদন এবং চালানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়।

ফলেস্থানীয় রপ্তানিকারকদের পণ্য পরিবহন এবং চালানে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়তে হয়। যারা সক্ষমতারা নির্ধারিত সময় মেনে চলার জন্য ব্যয়বহুল এয়ার চালান বেছে নেয়।

উপস্থিত ডেটা দেখায় যে বাংলাদেশের প্রধান বাজারে রপ্তানি কমছেকারণ খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলো বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে। অন্যদিকেভারতের পোষাক চালান বিশেষ করে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী।

জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোষাক রপ্তানি ০.৪৬ শতাংশ কমে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে নেমেছেযেখানে ভারতের রপ্তানি ৪.২৫ শতাংশ বেড়ে ৪.৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

উল্লেখযোগ্যভাবেবাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা জানান যে বাংলাদেশের বাইরে যাওয়া কাজের কিছু কিছু অর্ডার আবার ফিরে আসছেকারণ শিল্পকেন্দ্রে কিছুটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি ক্রেতাদের পূর্ণ আস্থা দিতে পারছে না

অন্যদিকে ভারত সরকারযারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের পোষাক খাতে প্রচুর আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে আসছেএই সুযোগটি কাজে লাগাতে আগ্রহী।

বর্তমানেভারতের টেক্সটাইল খাত উন্নয়নের জন্য কিছু বড় সরকারি প্রকল্প রয়েছেযা আনুমানিক ৪৫ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রযুক্তি উন্নয়নদক্ষতা উন্নয়নসক্ষমতা বৃদ্ধিঅবকাঠামো এবং শক্তি উন্নয়নের জন্য তহবিল। এর পাশাপাশি উৎপাদন প্রণোদনা এবং শুল্কের অব্যাহতি সুবিধাও রয়েছে।

ভারতের পোষাক রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিতে বাজেটে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।