০৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এইচ-১বি ভিসা ফি পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় আইফোন এয়ার থেকে শুরু করে পাওয়ারহাউস ১৭ প্রো ম্যাক্স: আপনার জন্য সঠিক আইফোনটি খুঁজে নিন রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: হবিগঞ্জ ভ্রমণের এক বিস্তৃত গাইড এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ কোঙ্কণ উপকূলের ভূচিত্রকর্ম ২৪ হাজার বছরের পুরোনো হতে পারে—প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাংলাদেশের চামড়া খাত: ১ বিলিয়ন রপ্তানি করতে হিমশিম খাচ্ছে এইচ-১বি ভিসার নতুন ফি নিয়ে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন টানাপোড়েন টিকটক নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির পথে ওয়াশিংটন-বেইজিং ইসলামাবাদে কিশোরী টিকটক তারকা সানা ইউসুফ খুন, অভিযুক্ত বন্ধু গ্রেপ্তার

শিল্প ঋণের একক ডিজিট, ডলার সরবরাহ ও মন্দ ব্যবসায়ীদের সুসময়

  • Sarakhon Report
  • ০৩:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 54

সারাক্ষণ রিপোর্ট

এফবিসিসিআই স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুদহার এক অঙ্কে নামানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া, ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার স্থিতিশীল রাখা, বাজারে মার্কিন ডলারের স্থায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ক্ষতির সম্মুখীন উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।

ব্যবাসায়ীদের এ দাবীর প্রেক্ষিতে একাধিক অর্থনীতিবিদের মন্তব্য হলো, এ মুহূর্তে শিল্প ঋনের সুদহার  একক ডিজিটে নামালে ব্যাংক থেকে আরো টাকা জমার প্রবাহ কমে যাবার পথ শুরু হবে। কারণ, শিল্প ঋণের সুদহার কমালে সেভিংসের সুদ হারও কমাতে হবে। যা এ সময়ের জন্যে খুবই ঝঁকিপূর্ণ। কারণ এমনিতেই বেশক কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহককে তাদের জমাকৃত টাকা যথাযথভাবে ফেরত দিতে পারছেনা। এ সময়ে ব্যাংকে সেভিংসের সুদ হার কমে গেলে সাধারণ মানুষ টাকা রাখার ক্ষেত্রে ব্যাংক বিমুখ হবে। তাছাড়া যেহেতু শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি আরো নাজুক তাই সাধারণ মানুষের ওই টাকা শেয়ার বাজারেও যাবে না।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং কৃষি খাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান, রপ্তানি বিল সময়মতো পরিশোধ নিশ্চিত করা এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের পুনর্বাসনের জন্য নীতিগত সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি বিষয়টি স্পষ্ট নয়। গত সরকারের আমলে কেন ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছিলো সে অনিয়ম সকলে জানে। বর্তমান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার একাধিক লেখা ও একটি বইয়েও তা স্পষ্ট করা আছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার অত্যন্ত দুর্বল ও অর্থনৈতিকভাবে দিক নির্দেশনাহীন একটি সরকার। এ সময়ে ঋণ খেলাপিদের নিয়ে তারা নরম হলে সেটা দেশের জন্যে ক্ষতিকর।

তবে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, সরকার বা সরকারের একটি অংশ যেহেতু “ কিংস পার্টি”  গড়তে যাচ্ছে তাই এ সময়ে ঋণ খেলাপিরা সুযোগ পাবেই। মন্দ ব্যবসায়ীদের জন্যে সব সময়ই এ ধরনের সময়গুলো ভালো সময়।

তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা সকলে একমত যে ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত এ মুহূর্তের অর্থনীতিতে সব থেকে জরুরী বিষয়। যদিও কাজটি দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে গার্মেন্টস সহ অনান্য রপ্তানি কমে যাওয়ায়।

দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি

শিল্প ঋণের একক ডিজিট, ডলার সরবরাহ ও মন্দ ব্যবসায়ীদের সুসময়

০৩:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

এফবিসিসিআই স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুদহার এক অঙ্কে নামানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া, ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সুদহার স্থিতিশীল রাখা, বাজারে মার্কিন ডলারের স্থায়ী সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ক্ষতির সম্মুখীন উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে।

ব্যবাসায়ীদের এ দাবীর প্রেক্ষিতে একাধিক অর্থনীতিবিদের মন্তব্য হলো, এ মুহূর্তে শিল্প ঋনের সুদহার  একক ডিজিটে নামালে ব্যাংক থেকে আরো টাকা জমার প্রবাহ কমে যাবার পথ শুরু হবে। কারণ, শিল্প ঋণের সুদহার কমালে সেভিংসের সুদ হারও কমাতে হবে। যা এ সময়ের জন্যে খুবই ঝঁকিপূর্ণ। কারণ এমনিতেই বেশক কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহককে তাদের জমাকৃত টাকা যথাযথভাবে ফেরত দিতে পারছেনা। এ সময়ে ব্যাংকে সেভিংসের সুদ হার কমে গেলে সাধারণ মানুষ টাকা রাখার ক্ষেত্রে ব্যাংক বিমুখ হবে। তাছাড়া যেহেতু শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি আরো নাজুক তাই সাধারণ মানুষের ওই টাকা শেয়ার বাজারেও যাবে না।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং কৃষি খাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদান, রপ্তানি বিল সময়মতো পরিশোধ নিশ্চিত করা এবং অনিচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের পুনর্বাসনের জন্য নীতিগত সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অর্থনীতিবিদ বলেন, অনিচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি বিষয়টি স্পষ্ট নয়। গত সরকারের আমলে কেন ঋণ খেলাপির সংখ্যা বেড়েছিলো সে অনিয়ম সকলে জানে। বর্তমান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টার একাধিক লেখা ও একটি বইয়েও তা স্পষ্ট করা আছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার অত্যন্ত দুর্বল ও অর্থনৈতিকভাবে দিক নির্দেশনাহীন একটি সরকার। এ সময়ে ঋণ খেলাপিদের নিয়ে তারা নরম হলে সেটা দেশের জন্যে ক্ষতিকর।

তবে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী বলেন, সরকার বা সরকারের একটি অংশ যেহেতু “ কিংস পার্টি”  গড়তে যাচ্ছে তাই এ সময়ে ঋণ খেলাপিরা সুযোগ পাবেই। মন্দ ব্যবসায়ীদের জন্যে সব সময়ই এ ধরনের সময়গুলো ভালো সময়।

তবে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা সকলে একমত যে ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত এ মুহূর্তের অর্থনীতিতে সব থেকে জরুরী বিষয়। যদিও কাজটি দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে গার্মেন্টস সহ অনান্য রপ্তানি কমে যাওয়ায়।