নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৪৩ ক্যাটাগরির ‘জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক)’ পদে নিয়োগ চূড়ান্তের পর যোগদানের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ আদেশের ফলে তিন হাজার ৫৩৪ জনের সংশ্লিষ্ট পদে ২৯ জানুয়ারি যোগদান আটকে গেল বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শওকত আকবরসহ ১৮ জনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মো.আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার এ জেড এম নুরুল আমীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাকসুদ উল্লাহ, রোকনুজ্জামান সুজা ও শফিকুল ইসলাম।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এ জেড এম নুরুল আমীন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর একই রকমভাবে রেলওয়ের নিয়োগ স্থগিত করা করা হয়েছিল। কিন্তু এখানে সেটা করা হয়নি। এছাড়া সিআইডিতে অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন । এরপরও ৩৫৩৪ জনকে যোগদানের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তাই ১৮ জন প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট রিটের শুনানি নিয়ে প্রজ্ঞাপনগুলো ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন। ফলে এদের নিয়োগের কার্যক্রম আটকে গেল।২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।পরে ২০২২ সালের ১৮ মার্চ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত । তবে এ নিয়োগ পরীক্ষায় ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস’ হয়েছে দাবি করে গত বছর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর গত বছরের ২৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। মনোনীতদেরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে ১০ম গ্রেডে নিয়োগে সাময়িকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এরপর ২৩ জানুয়ারি তিন হাজার ৫৩৪ জনকে যোগদানের জন্য পৃথক প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।