১১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
রেকর্ড নিম্নস্তরের কাছেই রুপি, ডলারের দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বস্তি নেই পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২২) ব্রেক্সিট-পরবর্তী দুর্বল ব্রিটেনের পক্ষে চীনের সঙ্গে বিরোধিতা এখন আত্মঘাতী গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৮০)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 10

প্রদীপ কুমার মজুমদার

শূন্য, (বিন্দু) জলবিন্দু যেমন অতিক্ষুদ্র এবং নিরবয়ব। এতই ক্ষুদ্র যে শূন্য মনে হয়। হয়তো এ থেকেই শূন্য অর্থ বিন্দু ধরা হয়ে থাকে। শূন্যের পরিবর্তে দিব, আকাশ, অভাব, খ, অভ্র, নভঃ, ব্যোম, অম্বর, পুষ্কর, অনন্ত, জলধরপথ, গগন, বিয়ৎ, বিষ্ণুপদ, অন্তরীক্ষ, মরুৎপথ, প্রভৃতি নাম সংখ্যা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে শূন্য ও বিন্দু কথাটির মধ্যে শূন্য কথাটিই প্রাচীন। কারণ শূন্য কথাটি পিঙ্গল ছন্দঃ সূত্রে, বাখশালীর পাণ্ডুলিপিতে, পঞ্চসিদ্ধান্তিকা প্রভৃতি গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায়।

খ. শব্দটি অগ্নি পুরাণে পাওয়া যায়। অবশ্য বরাহের বৃহজাতকে খ- ১০ ধরা হয়েছে। গর্গ মুনি খ-১০ ধরেছেন। শূন্যকে পূর্ণ বলেও লেখা হয়েছে অনেক জায়গায়। হয়তো আকাশ পূর্ণতার প্রতীক বলে শূক্তকে পূর্ণ বলা হয়েছে। এই প্রসদে শুরু যজুর্বেদের একটি শ্লোক ধরছি:

“ও পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে

পূর্ণস্থ্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।

অমর সিংহ এবং হেমচন্দ্রের মতে শূন্যের নাম তুচ্ছ। অবশ্য ঋগ্বেদের এক জায়গায় বলা হয়েছে “তুচ্ছেনাভ, পিহিতং”।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

রেকর্ড নিম্নস্তরের কাছেই রুপি, ডলারের দুর্বলতা সত্ত্বেও স্বস্তি নেই

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৮০)

০৭:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

শূন্য, (বিন্দু) জলবিন্দু যেমন অতিক্ষুদ্র এবং নিরবয়ব। এতই ক্ষুদ্র যে শূন্য মনে হয়। হয়তো এ থেকেই শূন্য অর্থ বিন্দু ধরা হয়ে থাকে। শূন্যের পরিবর্তে দিব, আকাশ, অভাব, খ, অভ্র, নভঃ, ব্যোম, অম্বর, পুষ্কর, অনন্ত, জলধরপথ, গগন, বিয়ৎ, বিষ্ণুপদ, অন্তরীক্ষ, মরুৎপথ, প্রভৃতি নাম সংখ্যা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে শূন্য ও বিন্দু কথাটির মধ্যে শূন্য কথাটিই প্রাচীন। কারণ শূন্য কথাটি পিঙ্গল ছন্দঃ সূত্রে, বাখশালীর পাণ্ডুলিপিতে, পঞ্চসিদ্ধান্তিকা প্রভৃতি গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায়।

খ. শব্দটি অগ্নি পুরাণে পাওয়া যায়। অবশ্য বরাহের বৃহজাতকে খ- ১০ ধরা হয়েছে। গর্গ মুনি খ-১০ ধরেছেন। শূন্যকে পূর্ণ বলেও লেখা হয়েছে অনেক জায়গায়। হয়তো আকাশ পূর্ণতার প্রতীক বলে শূক্তকে পূর্ণ বলা হয়েছে। এই প্রসদে শুরু যজুর্বেদের একটি শ্লোক ধরছি:

“ও পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে

পূর্ণস্থ্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।

অমর সিংহ এবং হেমচন্দ্রের মতে শূন্যের নাম তুচ্ছ। অবশ্য ঋগ্বেদের এক জায়গায় বলা হয়েছে “তুচ্ছেনাভ, পিহিতং”।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৯)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৭৯)