০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর আগুন

  • Sarakhon Report
  • ০৮:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 20

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ”

শুকনা মৌসুমে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ প্রতিবছর বেশি থাকে; কিন্তু এবারের শুকনা মৌসুমে বায়ুদূষণের রেকর্ড ভাঙছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস শুকনা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। নভেম্বরে ঢাকার বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে। সর্বশেষ নভেম্বরে বায়ুদূষণ ছিল আগের আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরও বায়ুদূষণ ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বায়ুদূষণ আগের আট বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।

জানুয়ারি মাসের দূষণের এ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাওয়া গত ৯ বছরের (২০১৭ থেকে ২০২৫) বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে ক্যাপস। প্রতিষ্ঠানটি গতকাল বৃহস্পতিবার এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে।

জানুয়ারি মাসে প্রায় প্রতিদিন বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বের নগরগুলোর মধ্যে এক থেকে পাঁচের মধ্যেই ছিল। চরম দূষণ এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী; কিন্তু দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরও বলছে, বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ বিষয়। দ্রুত এটি কমছে না।

ভয়ানক দূষণ জানুয়ারিতে
বায়ুর মান ৩০০ পার হলেই তাকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলা হয়। অর্থাৎ যেসব স্থানে বায়ুর মান এমন, সেখানে দূষণ পরিস্থিতি ভয়ানক রকম খারাপ। গত ২২ জানুয়ারি সকালে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার সার্বিক বায়ুর মান ছিল ৫১৮। আর সারা দিনে বায়ুর মান ছিল ৬২২। সেদিনের বাতাসে যে ভয়াবহ দূষণ, তা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিশেষজ্ঞরা। শুধু ওই এক দিন নয়, পুরো জানুয়ারিতে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী।

ক্যাপসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের বায়ুদূষণ আগের আট বছরের জানুয়ারি মাসের গড় মানের তুলনায় শতকরা ২৪ দশমিক ৫২ ভাগ বেশি ছিল। আট বছরের (২০১৭-২৪) জানুয়ারি মাসের গড় দূষণের মান ছিল ২৫৫ দশমিক ৪৮। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা ছিল ৩১৮। আগের বছরের জানুয়ারিতে এটি ছিল ৩০২।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর আগুন”

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপিদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ কমপক্ষে এক ডজনেরও বেশি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত ভবনসহ মাদারীপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও আরো কয়েকটি জেলায় দলীয় অফিস এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, যশোরসহ কমপক্ষে ১১ জেলায় শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, ‘কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে এ বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না। হামলার সময় ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফজলুল কাদের মিন্টু এবং শাহাদাত হোসেনের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডস্থ প্রিয় কুটির নামের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাসার সামনে হ্যান্ডমাইকে গান বাজিয়ে নাচতে থাকে। রাত ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠি শহরের রোনালসে সড়কের বাসভবন ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। এর আগে সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে অবস্থিত তার স্ত্রী ফিরোজা আমুর নামে থাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পাশে ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের নামফলকও ভাঙচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর কমপ্লেক্সে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলার পর সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত নগরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত এ ভবনটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ভবনে বসেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বাড়িটি সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”রেমিট্যান্সের বাজারে অলিগোপলি তৈরি করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান”

কাগজে-কলমে এ মুহূর্তে দেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস যুক্তরাষ্ট্র। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে ১১২ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের এ উল্লম্ফন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে এ প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারছিলেন না সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টিতে বিস্মিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। তাদের ভাষ্য ছিল, দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা এখনো জীবনধারণের ব্যয় মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় বৈধ আয় থেকে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকও।

তবে বণিক বার্তার অনুসন্ধান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের বড় অংশই দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের পাঠানো নয়। বরং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশীর পাঠানো রেমিট্যান্সও যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে দেখানো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর এবং ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও যুক্তরাষ্ট্রের রেমিট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশে ঢুকছে। মূলত বাংলাদেশী রেমিট্যান্সের বাজার থেকে মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নসহ মার্কিন বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ও অ্যাগ্রিগেটরের (যেসব বড় প্রতিষ্ঠান অন্যান্য ছোট এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে রেমিট্যান্স বা আন্তঃদেশীয় লেনদেনের অর্থ সংগ্রহ করে একত্র করে) সংগৃহীত রেমিট্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে দেখানোর কারণেই পরিসংখ্যানে বড় ধরনের গড়বড় দেখা দিয়েছে।

একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে দুবাইভিত্তিক অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠান ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০২ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এখানেও দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রকৃতের চেয়ে বেশি দেখানো হচ্ছে বলে সন্দেহ ব্যাংকারদের। তাদের ভাষ্যমতে, দেশের রেমিট্যান্সের বাজারে এখন আধিপত্য করছে হাতেগোনা কয়েকটি অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্সের বাজারে এখন আর প্রতিযোগিতামূলক নেই। বরং এর বদলে তা রূপ নিয়েছে অলিগোপলিতে।

একটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে গেলে অর্থনীতির পরিভাষায় সেটিকে বলা হয় অলিগোপলি। এ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজারে মূল্যকেও প্রভাবিত করার ক্ষমতা তৈরি হয়। একই সঙ্গে বাজারের পরিস্থিতিও অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রতিযোগী ও ভোক্তাদের জন্যও ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে উঠতে থাকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের নিন্দা জানালো ভারত”

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংস করে দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই নিন্দা জানান। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রয়ারি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এটা নিন্দনীয়। তিনি আরও বলেন, দখলদার বাহিনী ও নিষ্পেষণকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের বীরোচিত প্রতিরোধের প্রতীক এই বাড়ি। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে মূল্যায়ন করে, বাংলা পরিচয়কে লালন করে, তারা এই বাড়ির গর্বিত গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত। এই বাড়িটি বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা। এই ভাঙচুরের কড়া নিন্দা জানানো উচিত।

দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর আগুন

০৮:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকায় বায়ুদূষণ কমার লক্ষণ নেই, জানুয়ারিতে ভয়াবহ”

শুকনা মৌসুমে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ প্রতিবছর বেশি থাকে; কিন্তু এবারের শুকনা মৌসুমে বায়ুদূষণের রেকর্ড ভাঙছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস শুকনা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। নভেম্বরে ঢাকার বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে। সর্বশেষ নভেম্বরে বায়ুদূষণ ছিল আগের আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিসেম্বরও বায়ুদূষণ ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বায়ুদূষণ আগের আট বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।

জানুয়ারি মাসের দূষণের এ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে পাওয়া গত ৯ বছরের (২০১৭ থেকে ২০২৫) বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে ক্যাপস। প্রতিষ্ঠানটি গতকাল বৃহস্পতিবার এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে।

জানুয়ারি মাসে প্রায় প্রতিদিন বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান বিশ্বের নগরগুলোর মধ্যে এক থেকে পাঁচের মধ্যেই ছিল। চরম দূষণ এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী; কিন্তু দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরও বলছে, বায়ুদূষণ কমানো সময়সাপেক্ষ বিষয়। দ্রুত এটি কমছে না।

ভয়ানক দূষণ জানুয়ারিতে
বায়ুর মান ৩০০ পার হলেই তাকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলা হয়। অর্থাৎ যেসব স্থানে বায়ুর মান এমন, সেখানে দূষণ পরিস্থিতি ভয়ানক রকম খারাপ। গত ২২ জানুয়ারি সকালে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার সার্বিক বায়ুর মান ছিল ৫১৮। আর সারা দিনে বায়ুর মান ছিল ৬২২। সেদিনের বাতাসে যে ভয়াবহ দূষণ, তা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিশেষজ্ঞরা। শুধু ওই এক দিন নয়, পুরো জানুয়ারিতে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী।

ক্যাপসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসের বায়ুদূষণ আগের আট বছরের জানুয়ারি মাসের গড় মানের তুলনায় শতকরা ২৪ দশমিক ৫২ ভাগ বেশি ছিল। আট বছরের (২০১৭-২৪) জানুয়ারি মাসের গড় দূষণের মান ছিল ২৫৫ দশমিক ৪৮। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা ছিল ৩১৮। আগের বছরের জানুয়ারিতে এটি ছিল ৩০২।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও অফিস ভাঙচুর আগুন”

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক এমপিদের বাড়ি ও দলীয় অফিসে হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ কমপক্ষে এক ডজনেরও বেশি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত ভবনসহ মাদারীপুর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ছাড়াও আরো কয়েকটি জেলায় দলীয় অফিস এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, যশোরসহ কমপক্ষে ১১ জেলায় শেখ মুজিব ও তার পরিবারের সদস্যদের ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, ‘কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ স্লোগান দিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে এ বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না। হামলার সময় ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফজলুল কাদের মিন্টু এবং শাহাদাত হোসেনের বাসভবনেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে।

ভোলা প্রতিনিধি জানান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সাবেক এমপি তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ভোলা শহরের গাজীপুর রোডস্থ প্রিয় কুটির নামের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাসার সামনে হ্যান্ডমাইকে গান বাজিয়ে নাচতে থাকে। রাত ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠি শহরের রোনালসে সড়কের বাসভবন ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও জনতা। এর আগে সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে অবস্থিত তার স্ত্রী ফিরোজা আমুর নামে থাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। পাশে ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের নামফলকও ভাঙচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কোর কমপ্লেক্সে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ভেঙে ফেলার পর সন্ধ্যার পর আওয়ামী লীগের স্মৃতিবিজড়িত নগরের চাষাঢ়ায় অবস্থিত এ ভবনটিও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ভবনে বসেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বাড়িটি সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”রেমিট্যান্সের বাজারে অলিগোপলি তৈরি করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান”

কাগজে-কলমে এ মুহূর্তে দেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস যুক্তরাষ্ট্র। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪৯ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে ১১২ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের এ উল্লম্ফন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে এ প্রশ্নের সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারছিলেন না সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টিতে বিস্মিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। তাদের ভাষ্য ছিল, দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা এখনো জীবনধারণের ব্যয় মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে। এ অবস্থায় বৈধ আয় থেকে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকও।

তবে বণিক বার্তার অনুসন্ধান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্সের বড় অংশই দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের পাঠানো নয়। বরং সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশীর পাঠানো রেমিট্যান্সও যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে দেখানো হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর এবং ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও যুক্তরাষ্ট্রের রেমিট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশে ঢুকছে। মূলত বাংলাদেশী রেমিট্যান্সের বাজার থেকে মাস্টারকার্ড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নসহ মার্কিন বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ও অ্যাগ্রিগেটরের (যেসব বড় প্রতিষ্ঠান অন্যান্য ছোট এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে রেমিট্যান্স বা আন্তঃদেশীয় লেনদেনের অর্থ সংগ্রহ করে একত্র করে) সংগৃহীত রেমিট্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে দেখানোর কারণেই পরিসংখ্যানে বড় ধরনের গড়বড় দেখা দিয়েছে।

একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বাংলাদেশে আসা রেমিট্যান্সের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে দুবাইভিত্তিক অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠান ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশটি থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০২ কোটি ৭২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এখানেও দেশটি থেকে রেমিট্যান্স প্রকৃতের চেয়ে বেশি দেখানো হচ্ছে বলে সন্দেহ ব্যাংকারদের। তাদের ভাষ্যমতে, দেশের রেমিট্যান্সের বাজারে এখন আধিপত্য করছে হাতেগোনা কয়েকটি অ্যাগ্রিগেটর প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্সের বাজারে এখন আর প্রতিযোগিতামূলক নেই। বরং এর বদলে তা রূপ নিয়েছে অলিগোপলিতে।

একটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে গেলে অর্থনীতির পরিভাষায় সেটিকে বলা হয় অলিগোপলি। এ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজারে মূল্যকেও প্রভাবিত করার ক্ষমতা তৈরি হয়। একই সঙ্গে বাজারের পরিস্থিতিও অন্যান্য ক্ষুদ্র প্রতিযোগী ও ভোক্তাদের জন্যও ক্রমেই প্রতিকূল হয়ে উঠতে থাকে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংসের নিন্দা জানালো ভারত”

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংস করে দেয়ায় নিন্দা জানিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই নিন্দা জানান। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন ৫ই ফেব্রয়ারি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এটা নিন্দনীয়। তিনি আরও বলেন, দখলদার বাহিনী ও নিষ্পেষণকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের বীরোচিত প্রতিরোধের প্রতীক এই বাড়ি। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধকে মূল্যায়ন করে, বাংলা পরিচয়কে লালন করে, তারা এই বাড়ির গর্বিত গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত। এই বাড়িটি বাংলাদেশের জাতীয় চেতনা। এই ভাঙচুরের কড়া নিন্দা জানানো উচিত।