১২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
ওʻআহু দ্বীপের আয়েয়া বোল: স্থানীয়দের প্রিয় মিলনস্থল জাপানে রঙিন চুল ও নেইল আর্ট এখন অনেক প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত আমেরিকান বিপ্লব: ইতিহাসকে চিনি মাখানো নয়, সত্যের মুখোমুখি শেখ হাসিনার রায়: ধানমন্ডি ৩২–এ উত্তেজনা, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ট্রাইব্যুনালের রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি শেখ হাসিনার সরকার: হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড ঐতিহাসিক রায় শহর ভবনের শূন্যতা: নিউইয়র্ক সিটির মেয়রের সঙ্গে একটি দিন কলকাতার পিচে ধাক্কা খাওয়ার পর ভারতের ব্যাটিং দুর্বলতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ ইন্দোনেশিয়ার সেন্ট্রাল জাভায় ভয়াবহ ভূমিধস: অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু, বহু মানুষ নিখোঁজ একটি জাজমেন্ট ও কিছু সমস্যা

৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

  • Sarakhon Report
  • ০৩:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 63

নিজস্ব প্রতিনিধি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিকে রায়ের পর উত্তীর্ণ শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এর আগে, ৩০ প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রায়ের পর আইনজীবী কামরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫৩১ জনের তৃতীয় পর্যায়ের যে নিয়োগ ছিল সেটা ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থি। এ কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫৩জন রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সেই রিট পিটিশনে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে উত্তীর্ণদের যে ফল ঘোষণা করেছে সেটাকে ২৩ জুলাইয়ের পরিপন্থি এবং আপিল বিভাগের ২১ জুলাইয়ের রায়ের পরিপন্থি বলেছেন। রায়ের উপসংহার হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের যে ফলাফল সেটা বাতিল হবে। নতুন করে মেধার ভিত্তিতে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশন ফলো করে ফলাফল প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ১৪ জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। আর ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যাতে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। পরে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুল দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। বৃহস্পতিবার ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ওʻআহু দ্বীপের আয়েয়া বোল: স্থানীয়দের প্রিয় মিলনস্থল

৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল

০৩:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিকে রায়ের পর উত্তীর্ণ শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এর আগে, ৩০ প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রায়ের পর আইনজীবী কামরুজ্জামান ভুইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫৩১ জনের তৃতীয় পর্যায়ের যে নিয়োগ ছিল সেটা ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থি। এ কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫৩জন রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সেই রিট পিটিশনে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে উত্তীর্ণদের যে ফল ঘোষণা করেছে সেটাকে ২৩ জুলাইয়ের পরিপন্থি এবং আপিল বিভাগের ২১ জুলাইয়ের রায়ের পরিপন্থি বলেছেন। রায়ের উপসংহার হিসেবে হাইকোর্ট বলেছেন, ৩১ অক্টোবরের যে ফলাফল সেটা বাতিল হবে। নতুন করে মেধার ভিত্তিতে ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশন ফলো করে ফলাফল প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ১৪ জুনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। আর ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়। যাতে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল। পরে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুল দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেন। বৃহস্পতিবার ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া।