প্রদীপ কুমার মজুমদার
অঙ্গ-৬, ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় ব্রাহ্মস্ফুট সিদ্ধান্তে, মহাভাস্করীয়তে, শিল্পধীবৃদ্ধিতন্ত্রে, গণিতসার সংগ্রহে, সিদ্ধান্ত শিরোমণিতে, আলবিরূণীর তালিকায় এবং অন্যান্য গ্রন্থে।
তর্ক-৬, ব্যবহার করা হয়েছে গণিতসার সংগ্রহে।কোশ-৬, ব্যবহার করা হয়েছে চম্পালিপিতে। যেমন, বলা যেতে পারে এখানে কোশখভূধর = ৭০৬, কোশনবর্ত্ত, ৬৯৬ এবং কোশগমুনি ৭৭৬ ধরা হয়েছে।আনন্দ-৬, চম্পালিপিতে দেখতে পাওয়া যায়।
সাত-৭, শৈল, পুরাণে মহেন্দ্র, মলয়, সহা, শক্তিমান, ঋক্ষ, বিন্ধ্য, পারিপাত্র নামে সাতটি পর্ব্বতের কথা বলা হয়েছে। সেইজন্য শৈল- ৭ ধরা হয়।মুনি-৭, ধরা হয়। কারণ আমাদের শাস্ত্রে মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলন্ত, পুলহ, ক্রতু, বশিষ্ট নামে সপ্ত ঋষির উল্লেখ আছে।
অবশ্য কেউ কেউ সপ্ত ঋষি বলতে কাপ, অত্রি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, জমদগ্নি ও ভরদ্বাজের কথাই বলে থাকেন। যাই হোক সপ্তঋষি বা মুনি থেকেই মুনি ৭ ধরা হয়ে থাকে।
সূর্যরখে সাতটি ঘোড়া সংযোজন থাকে বলে অশ্ব-৭ ধরা হয়। জৈনরা জীব, অজীব, আস্রব, বন্ধ, সংবর, নির্জর ও মোক্ষ এই সাতটি নীতি মেনে চলেন বলে তত্ত্ব-৭ ধরা হয়ে থাকে। পুরাণে পৃথিবীকে জম্বু, পক্ষ, শান্মলী, কুশ, ক্রোঞ্চ, শাক ও পৌষ্কর এই সাতটি ভাগে ভাগ করার জন্য দ্বীপ-৭ ধরা হয়ে থাকে।
মানবদেহে প্রধান আকর সাতটি। সেইজন্য ধাতু-৭ ধরা হয়ে থাকে। রাজারা সাতটি আসক্তিকে মুণ্য করবেন বলে আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। সেইহেতু ব্যসন ৭ ধরা হয়।
(চলবে)