সত্যেন্দ্রকুমার বসু
রাজাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, প্রশংসা আর আশীর্বাদসূচক এক লম্বা বক্তৃতা করে ধর্মগুরু বিদায় নিলেন।এখান থেকে হিউএনচাঙের পথযাত্রার ধারা বদলে গেল। এতদিন তিনি চীনসম্রাটের আদেশের বিরুদ্ধে গোপনে রাজকর্মচারীদের ভয়ে ভয়ে অগ্রসর হচ্ছিলেন।
কারো কাছে সাহায্য পাবার দাবি ছিল না। তুরফানরাজার আশ্রয় ও সুপারিশপত্র পাওয়ায় তাঁর এই লাভ হল যে, তিনি শক্তিশালী পশ্চিম তুরুস্কদের আশ্রয় পাবার অধিকার পেলেন।
আর তুরফান থেকে হিন্দুকুশ পর্বত পর্যন্ত প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন তুরুস্ক সম্রাটের ছেলে, যিনি আবার তুরফান রাজার জামাতা ছিলেন। কাজেই পথে রাজকর্মচারীদের ভয় আর রইল না।
যাত্রা করবার দিন তুরফানরাজ তাঁর সমস্ত সভাসদ, সব ভিক্ষুরা আর নগরের অধিকাংশ লোক নগরের বাইরে পর্যন্ত ধর্মগুরুর সঙ্গে গিয়ে বিদায় গ্রহণ করলেন। তুরফানরাজ সজলচোখে ধর্মগুরুর কাছে বিদায় নিলেন।
(চলবে)