সত্যেন্দ্রকুমার বসু
কুচা শহর (সংস্কৃত কুচী) এ সময়ে মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে প্রধান সহর ছিল। হিউএনচাঙ এখানকার ঐশ্বর্য আর সংস্কৃতি দেখে বিস্মিত হন।। ‘এ রাজ্য পূব থেকে পশ্চিমে এক হাজার লি বিস্তৃত। শহরের পরিধি ১৭-১৮ লি। মাটি লাল, জোয়ার আর গমের উপযুক্ত। এখানে চাল, আঙুর, বেদানা, আর প্রচুর পরিমাণে আলুবোখরা, নাসপাতি, পীচ, আঙু উৎপন্ন হয়।
সোনা লোহা তামা সিসা আর রাঙের খনি আছে। আবহাওয়া সুখদ। অধিবাসীরা সুচরিত্র। এদের লিপি ভারতীয়দের লিপির মতন (ব্রাহ্মী)। এখানকার বাদ্যকরদের বাঁশি আর সেতারে অসাধারণ দক্ষতা।’ অন্য চৈনিক বিবরণে আর আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায়ও এই সাক্ষ্য পাওয়া যায়। বিস্তৃত গোবি মরুভূমির মধ্যে এই মরূদ্যানের সমৃদ্ধি ও আমোদ-প্রমোদের খ্যাতি ছিল।
ইরান থেকে আনা প্রসাধন সামগ্রী এখানে বিক্রয় হত। এখানকার স্ত্রীলোকদের রমণীয়তার প্রসিদ্ধি ছিল।আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার দ্বারা এই প্রদেশ থেকে বহুকালের শিল্পসামগ্রী, পোড়া ইটের ও পলস্তরার তৈয়ারি (terracotta and stucco) মূর্তি ও অন্যান্য ভাস্কর্য, দেওয়ালপট ইত্যাদি পাওয়া গিয়েছে।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















