০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

রঙ্গরসের পাশাপাশি জনপ্রিয়তার তালিকায় রাজনৈতিক ভিডিও

  • Sarakhon Report
  • ০৪:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 16

রেজাই রাব্বী

একঘেয়েমি দূর করতে মনোরঞ্জন এবং সময় কাটানোর জন্য মানুষ বিনোদন জগতে ঢু মারে। আর এখন বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ওটিটি। প্রতিদিন বিভিন্ন বিনোদনমূলক কনটেন্ট যেমন  নাটক, মিউজিক ভিডিও, মুভি, সিরিজ, কমেডি শো, রিলস ভিডিও, গেমিং কনটেন্ট, নেটফ্লিক্স ইত্যাদি দেখে সময় পার করে থাকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ভিডিওগুলোর জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তরুণরা আগে বিনোদন জগতে গতানুগতিক পুরো সময় পার করলেও বর্তমানে বিনোদনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ভিডিও গুলোও দেখে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর তরুণদের মধ্যে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ার ফলে  তারা বিনোদনের পাশাপাশি রাজনৈতিক তথ্য ও বিশ্লেষণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় অনেকেই বিনোদনের পাশাপাশি দৈনিক ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় রাজনৈতিক ভিডিও দেখে সময় ব্যয় করে থাকেন।

সাউথইস্ট  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামির বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুলো এক একটা হলিউড বলিউড মুভির মতো হয়ে গেছে। যার জন্য তরুণ সমাজ এইসব ভালোই উপভোগ করছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ব্লগার এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি মানুষের কৌতূহল বাড়িয়েছে। আমি নিজেই এখন রাজনৈতিক ভিডিও দেখা শুরু করেছি।

জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, মানুষের চিন্তা ও আগ্রহ সব সময় এক রকম থাকে না। সমাজে যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, তখন মানুষের মনোযোগ ধীরে ধীরে সে দিকেই ধাবিত হয়। ৫ই আগস্টের পর মানুষ রাজনৈতিক কনটেন্টের দিকে বেশি ঝুঁকছে, কারণ এই সময়কালে রাজনৈতিক পরিবর্তন, আন্দোলন, কিংবা জাতীয় ইস্যু উঠে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার) এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এসব মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়, যা মানুষের কৌতূহল বাড়ায়। রাজনৈতিক ভিডিও দেখলে মানুষ নতুন কিছু জানতে পারে, যা বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন মানুষ সহজেই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, যা রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখার আগ্রহ বাড়িয়েছে।

রাজনৈতিক মিম, টক শো, এবং লাইভ ভিডিওর জনপ্রিয়তা মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করছে। মানুষের বিনোদন অভ্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে, কারণ তারা এখন কেবল আনন্দ পাওয়ার জন্য কনটেন্ট দেখে না, বরং বাস্তব জীবনের সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলে এমন বিষয় নিয়েও আগ্রহী হচ্ছে। ৫ই আগস্টের পর বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়তো মানুষকে রাজনৈতিক কনটেন্টের দিকে আকৃষ্ট করেছে।এসব কারণেই মানুষ তাদের দৈনিক বিনোদনের একটি অংশ রাজনৈতিক ভিডিও দেখার জন্য ব্যয় করছে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে, কারণ মানুষ ক্রমশ সচেতন হচ্ছে এবং তাদের চারপাশের ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও বেশি জানতে চায়।

 

রঙ্গরসের পাশাপাশি জনপ্রিয়তার তালিকায় রাজনৈতিক ভিডিও

০৪:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রেজাই রাব্বী

একঘেয়েমি দূর করতে মনোরঞ্জন এবং সময় কাটানোর জন্য মানুষ বিনোদন জগতে ঢু মারে। আর এখন বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ওটিটি। প্রতিদিন বিভিন্ন বিনোদনমূলক কনটেন্ট যেমন  নাটক, মিউজিক ভিডিও, মুভি, সিরিজ, কমেডি শো, রিলস ভিডিও, গেমিং কনটেন্ট, নেটফ্লিক্স ইত্যাদি দেখে সময় পার করে থাকে।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ভিডিওগুলোর জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তরুণরা আগে বিনোদন জগতে গতানুগতিক পুরো সময় পার করলেও বর্তমানে বিনোদনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ভিডিও গুলোও দেখে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর তরুণদের মধ্যে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ বাড়ার ফলে  তারা বিনোদনের পাশাপাশি রাজনৈতিক তথ্য ও বিশ্লেষণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। লক্ষণীয় বিষয় অনেকেই বিনোদনের পাশাপাশি দৈনিক ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় রাজনৈতিক ভিডিও দেখে সময় ব্যয় করে থাকেন।

সাউথইস্ট  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামির বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি গুলো এক একটা হলিউড বলিউড মুভির মতো হয়ে গেছে। যার জন্য তরুণ সমাজ এইসব ভালোই উপভোগ করছে। আবার সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ব্লগার এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতি মানুষের কৌতূহল বাড়িয়েছে। আমি নিজেই এখন রাজনৈতিক ভিডিও দেখা শুরু করেছি।

জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ বলেন, মানুষের চিন্তা ও আগ্রহ সব সময় এক রকম থাকে না। সমাজে যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, তখন মানুষের মনোযোগ ধীরে ধীরে সে দিকেই ধাবিত হয়। ৫ই আগস্টের পর মানুষ রাজনৈতিক কনটেন্টের দিকে বেশি ঝুঁকছে, কারণ এই সময়কালে রাজনৈতিক পরিবর্তন, আন্দোলন, কিংবা জাতীয় ইস্যু উঠে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার) এখন মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এসব মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়, যা মানুষের কৌতূহল বাড়ায়। রাজনৈতিক ভিডিও দেখলে মানুষ নতুন কিছু জানতে পারে, যা বাস্তব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এখন মানুষ সহজেই তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, যা রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখার আগ্রহ বাড়িয়েছে।

রাজনৈতিক মিম, টক শো, এবং লাইভ ভিডিওর জনপ্রিয়তা মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন করছে। মানুষের বিনোদন অভ্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে, কারণ তারা এখন কেবল আনন্দ পাওয়ার জন্য কনটেন্ট দেখে না, বরং বাস্তব জীবনের সিদ্ধান্তের ওপর প্রভাব ফেলে এমন বিষয় নিয়েও আগ্রহী হচ্ছে। ৫ই আগস্টের পর বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়তো মানুষকে রাজনৈতিক কনটেন্টের দিকে আকৃষ্ট করেছে।এসব কারণেই মানুষ তাদের দৈনিক বিনোদনের একটি অংশ রাজনৈতিক ভিডিও দেখার জন্য ব্যয় করছে। ভবিষ্যতে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে, কারণ মানুষ ক্রমশ সচেতন হচ্ছে এবং তাদের চারপাশের ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও বেশি জানতে চায়।