প্রদীপ কুমার মজুমদার
বিখ্যাত পণ্ডিত দুর্গাদাস লাহিড়ী’ খ্যুয়- ৪৩২০,০০০ ধরেছেন এবং তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা অনেকের সঙ্গে মতপার্থক্য হয়। তিনি বলেছেন খ্যু শব্দের মধ্যে খ+উ এবং যউ আছে এবং “ঘু” শব্দের মধ্যে ঘ+ঋ আছে। খ-২, উ-১০০০, সুতরাং খু-২০০০০ (এখানকার উ বর্গ-উ হিসাবে ধরা হ’ল)। বু শব্দে ম+উ-৩ × ১০০০০০ = ৩০০,০০০। সু শব্দে ঘ+ঋ-৪×১০০০,০০০ বা ৪০০০,۰۰ অতএব খু্যুয়- ২০০০+৩০০,০০০-৪০০০,০০০ বা ৪৩২০০০০।
ডঃ দত্ত এই প্রকার অক্ষর সংখ্যা প্রণালীকে আর্যভটের অক্ষর সংখ্যা প্রণালী বলে উল্লেখ করেছেন কিন্তু সুধাকর দ্বিবেদী, ফ্রীট, কো প্রমুখ পণ্ডিতবর্গ মনে করেন আর্যভটের এই প্রণালীতে গ্রীক প্রণালীর প্রভাব আছে।
ফ্লীট মনে করতেন আর্যভটীয়তে জ্যোতিষের যে আলোচনা আছে তা গ্রীক প্রভাবযুক্ত এবং হয়তো এই কারণে গণনা পদ্ধতিও গ্রীক প্রভাব থাকা অযৌক্তিক নয়। কিন্তু অধ্যাপক প্রবোধ চন্দ্র সেনগুপ্ত তাঁর কোন এক প্রবন্ধে দেখিয়েছেন যে আর্যভটীয়তে যে জ্যোতিবিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা গ্রীক প্রভাবমুক্ত। ১ যাঁরা গ্রীক প্রভাবযুক্ত বলেন তাঁরা হয়তো গ্রীক প্রণালী
4,β,γ = ১, ২, ৩, এবং 4M =৩×১০০০ ও ভারতীয় প্রণালী (আর্যভটীয়তে) ক, খ, গ,= ১, ২, ৩,ও ৫-৩০ ১০০০’এর মধ্যে সাদৃশ দেখে মত দেন। কিন্তু এই সামান্য সাদৃশ থাকলেও অসাদৃশ রয়েছে প্রচুর।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৯৭)