প্রদীপ কুমার মজুমদার
দ্বিতীয় বিভেদের মূল কোথায় তা ঐতিহাসিক বিতর্কের মধ্যে স্থান নিয়েছে। তবে সদরত্নমালাতে দেখা যায়-
নঞাবচশ শূন্যানি সন্ধ্যা কউপযাদয়ঃ।
মিশ্রে তুপান্ত্যহল্ সংখ্যা ন চ চিন্ত্যো হলম্বরঃ।
অর্থাৎ “ন, ঞ ও স্বরবর্ণ শূন্য, ক, ট, প, য আদি করিয়া সংখ্যা। সংযুক্ত বর্ণের শেষ বর্ণই সংখ্যা। অস্বরব্যগুন চিন্তনীয় নহে।’ নীলকণ্ঠ দৈবজ্ঞ এক জায়গায় উদ্ধৃতি দিয়েছেন এইরূপ-
“কটপযবর্গভবৈরিহ পিণ্ডান্তৈরক্ষরৈরঙ্কাঃ।
নঞি চ শূন্যং জেয়ং তথা স্বরে কেবলে কথিতম্।”
(গ) এই বিভেদ পালি গ্রন্থে দেখা যায়। পালি ভাষায় সকার একটি।
সেইজন্য কটপযাদি প্রণালীতে য-বর্গ অক্ষরের সংখ্যাখ্যাপিকা শক্তির কিছু পরিবর্তন করতে হয় যেমন-১, ২, ৩, ব=৪, ৫, ৩=৬।
অন্যান্য বিষয় (খ) পদ্ধতির মত। এই প্রণালীর দু-একটা উদাহরণ তুলে ধরছি। গুণগ্গরং ২৩৫৩, ভানুবকৃখর = ২৪০৪।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০২)