০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ফলের দাম জোরে ছুটছে, রমজানে কি আরো গতি পাবে

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • 31

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • আপেল, মাল্টা, পেয়ারা এবং তরমুজের মতো জনপ্রিয় ফলগুলোর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
  • ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজানজুড়েই চলবে
  • আগের সরকারও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমান সরকারও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি

মজানের আগেই ফলের বাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে এবং ব্যবসায়ীদের মতে, এই বৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি

  • মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান:
    • আপেল: রামপুরা বাজারে আপেলের দাম বর্তমানে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি।
    • মাল্টা: প্রায় ২৮০ টাকা কেজি।
    • পেয়ারা: ৮০-১০০ টাকা কেজি।
    • তরমুজ: সাইজ অনুযায়ী প্রায় ৪৫০ টাকা কেজি।

  • দাম বাড়ার কারণ:
    ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদাররা মাল স্টক করে রাখার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এই সংকটের কারণে ক্রেতারা বেশি মূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

ব্যবসায়ীদের মন্তব্য

  • মো:  কামাল (ব্যবসায়ী):
    তিনি জানান, “প্রতিটি ফলের দাম ক্রমশ বাড়ছে, এবং আপেল ও মাল্টার দাম আরও বাড়বে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আড়তদাররা মাল স্টক করে রাখায় পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই, ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এবং আমরা সীমিত লাভ নিয়ে কাজ করছি।”

  • রুবেল (ফল ব্যবসায়ী):
    তিনি বলেন, তাঁর দোকানে বিভিন্ন ধরনের আপেল পাওয়া যায়, যার দাম সর্বনিম্ন ৩৬০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি। তিনি আরও যোগ করেন, “কিছুদিন আগে এই আপেলের দাম কম ছিল, কিন্তু এখন প্রতি কেজি প্রায় ৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।”
    রুবেল মিয়া উল্লেখ করেন যে, পেয়ারা, পেঁপে ও তরমুজের দামও বেড়েছে এবং আগামী শুক্রবার থেকে দাম আরও বাড়বে।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

  • মোহাম্মদ আজম (ক্রেতা):
    দাম বাড়ার আশঙ্কায় তিনি দু’দিন আগে কেনাকাটা করেছিলেন, তবে দেখলেন গত সপ্তাহের তুলনায় ফলের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
  • রাফিয়া আক্তার (ক্রেতা):
    তিনি বলেন, “আমরা কোথায় যাবো? সবকিছু সহ্য করতেই হচ্ছে, কিন্তু বারবার অভিযোগ করলে কেউই মনোযোগ দেয় না।”

বিশ্লেষণ ও সারাংশ

  • সরকারের ভূমিকা:
    ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, আগের সরকারও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমান সরকারও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এর ফলে সাধারণ মানুষকে উচ্চমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে।
  • ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
    ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে, এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজানজুড়েই চলবে। পর্যাপ্ত কঠোর মনিটরিং না হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও অবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে।

ফলের দাম জোরে ছুটছে, রমজানে কি আরো গতি পাবে

১০:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • আপেল, মাল্টা, পেয়ারা এবং তরমুজের মতো জনপ্রিয় ফলগুলোর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে
  • ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজানজুড়েই চলবে
  • আগের সরকারও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমান সরকারও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি

মজানের আগেই ফলের বাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে আনুমানিক ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গেছে এবং ব্যবসায়ীদের মতে, এই বৃদ্ধি আরও বাড়তে পারে।

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি

  • মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান:
    • আপেল: রামপুরা বাজারে আপেলের দাম বর্তমানে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি।
    • মাল্টা: প্রায় ২৮০ টাকা কেজি।
    • পেয়ারা: ৮০-১০০ টাকা কেজি।
    • তরমুজ: সাইজ অনুযায়ী প্রায় ৪৫০ টাকা কেজি।

  • দাম বাড়ার কারণ:
    ব্যবসায়ীরা বলছেন, আড়তদাররা মাল স্টক করে রাখার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এই সংকটের কারণে ক্রেতারা বেশি মূল্য দিয়ে পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

ব্যবসায়ীদের মন্তব্য

  • মো:  কামাল (ব্যবসায়ী):
    তিনি জানান, “প্রতিটি ফলের দাম ক্রমশ বাড়ছে, এবং আপেল ও মাল্টার দাম আরও বাড়বে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আড়তদাররা মাল স্টক করে রাখায় পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই, ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এবং আমরা সীমিত লাভ নিয়ে কাজ করছি।”

  • রুবেল (ফল ব্যবসায়ী):
    তিনি বলেন, তাঁর দোকানে বিভিন্ন ধরনের আপেল পাওয়া যায়, যার দাম সর্বনিম্ন ৩৬০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি। তিনি আরও যোগ করেন, “কিছুদিন আগে এই আপেলের দাম কম ছিল, কিন্তু এখন প্রতি কেজি প্রায় ৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।”
    রুবেল মিয়া উল্লেখ করেন যে, পেয়ারা, পেঁপে ও তরমুজের দামও বেড়েছে এবং আগামী শুক্রবার থেকে দাম আরও বাড়বে।

ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া

  • মোহাম্মদ আজম (ক্রেতা):
    দাম বাড়ার আশঙ্কায় তিনি দু’দিন আগে কেনাকাটা করেছিলেন, তবে দেখলেন গত সপ্তাহের তুলনায় ফলের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
  • রাফিয়া আক্তার (ক্রেতা):
    তিনি বলেন, “আমরা কোথায় যাবো? সবকিছু সহ্য করতেই হচ্ছে, কিন্তু বারবার অভিযোগ করলে কেউই মনোযোগ দেয় না।”

বিশ্লেষণ ও সারাংশ

  • সরকারের ভূমিকা:
    ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, আগের সরকারও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমান সরকারও পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এর ফলে সাধারণ মানুষকে উচ্চমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে।
  • ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
    ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে, এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজানজুড়েই চলবে। পর্যাপ্ত কঠোর মনিটরিং না হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ ও অবিশ্বাস আরও বৃদ্ধি পাবে।