সত্যেন্দ্রকুমার বসু
এখানকার ভিক্ষুরা হীনযানী হলেও তাঁরা বেশ জ্ঞানী ছিলেন আর ধর্মগুরুর সঙ্গে তাঁদের বেশ বনিবনাও হল। এমন কি, হিউএনচাঙ বলেন যে, এখানে প্রজ্ঞাকর নামে এক পণ্ডিতের মুখে কাত্যায়নের ‘অভি-ধর্ম’ আর ‘বিভাষাসূত্রের’ কঠিন জায়গার ব্যাখ্যা শুনে তিনি খুব উপকৃত হন। তিনি একমাস এখানে বাস ক’রে হীনযানের বিভাষা শাস্ত্র অধ্যয়ন করলেন।
বাহুলীকের পর ধর্মগুরু হিন্দুকুশের ভিতরে প্রবেশ করলেন। এই পর্বত অতিক্রম করা খুব কষ্টকর হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই পথ তুষারনদ আর মরুভূমির পথ থেকে দ্বিগুণ কঠিন। সর্বত্র সবসময়েই তুষারের ঘূর্ণী ঝড় বইছে। পর্বতের দৈত্য-দানব, দস্যুরা লোককে খুব কষ্ট দেয়।’
অবশেষে হিউএনচাঙ হিন্দুকুশ পর্বতশ্রেণীর এক উপত্যকায় বামিয়ানে উপস্থিত হলেন। এখানেও রাজা ও ভিক্ষুরা শহরের বাইরে এসে তাঁকে অভ্যর্থনা করে নিয়ে গেলেন।
(চলবে)
Sarakhon Report 



















