০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • 17

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ বামিয়ানের যে বর্ণনা দিয়েছেন, আধুনিক ভ্রমণকারীরাও তার যথার্থতার সাক্ষ্য দেন। হিউএনচাঙ বলেন, ‘বামিয়ান যেন পর্বতের গায়ে লেগে আছে আর সেখান থেকে নেমে উপত্যকায়ও বিস্তার করেছে। এর উত্তর দিকে উঁচু দেওয়ালের মত খাড়াই পর্বত। এখানে বহু ঘোড়া-ভেড়া চরে। খুব শীতের দেশ। লোকগুলি অর্ধ অসভ্য আর কর্কশ কিন্তু ধর্মে বিশ্বাসী।’ আধুনিক আফঘানদের পূর্বপুরুষ।

তিনি এখানে দশটি সঙ্ঘারাম আর বহু হীনযানী বৌদ্ধ দেখেন। উত্তর দিকে দেওয়ালের মতন খাড়া পর্বত খনন ক’রে যে অনেক ভিক্ষুদের থাকবার বিহার তৈয়ারী হয়েছিল আর এই দেওয়ালের গায়ে যে দুটি প্রকাণ্ড বুদ্ধমূর্তি গঠিত আছে- যা আজও পথিকদের বিস্ময় উৎপাদন করে, হিউএনচাঙ তার কথাও বলেছেন।

তিনি মনে করেছিলেন, -এই দুইটি মূর্তি একটা ১৫০ ফুট আর একটা এক শত ফুট উঁচু। আসলে মেপে দেখা গিয়েছে যে, এরা আরও বড় একটা ১৭০ ফুট উঁচু আর একটা ১১৭ ফুট উঁচু। তিনি এখানে একটা ১০০০ ফুট (?) লম্বা শয়ান পরিনির্বাণমূর্তি দেখেন।

উল্লিখিত দুই মূর্তির পেছনে যে দেওয়ালপট আঁকা আছে, তাও তিনি নিশ্চয়ই দেখেছিলেন, যদিও তার উল্লেখ করেন নি।বামিয়ান ছেড়ে নয় হাজার ফুট উঁচু পথে কোহিবাবা পার হয়ে হিউএনচাঙ গান্ধারের সুন্দর সমতলে এসে পৌঁছলেন।

এইবার তিনি ভারতবর্ষের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করলেন। প্রাচীন-কালে হিন্দুকুশই ‘হিন্দুদেশের’ বা ‘ব্রাহ্মণদের দেশের’ সীমানা বলে গণ্য হত।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪২)

 

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪৩)

০৯:০০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

সত্যেন্দ্রকুমার বসু

হিউএনচাঙ বামিয়ানের যে বর্ণনা দিয়েছেন, আধুনিক ভ্রমণকারীরাও তার যথার্থতার সাক্ষ্য দেন। হিউএনচাঙ বলেন, ‘বামিয়ান যেন পর্বতের গায়ে লেগে আছে আর সেখান থেকে নেমে উপত্যকায়ও বিস্তার করেছে। এর উত্তর দিকে উঁচু দেওয়ালের মত খাড়াই পর্বত। এখানে বহু ঘোড়া-ভেড়া চরে। খুব শীতের দেশ। লোকগুলি অর্ধ অসভ্য আর কর্কশ কিন্তু ধর্মে বিশ্বাসী।’ আধুনিক আফঘানদের পূর্বপুরুষ।

তিনি এখানে দশটি সঙ্ঘারাম আর বহু হীনযানী বৌদ্ধ দেখেন। উত্তর দিকে দেওয়ালের মতন খাড়া পর্বত খনন ক’রে যে অনেক ভিক্ষুদের থাকবার বিহার তৈয়ারী হয়েছিল আর এই দেওয়ালের গায়ে যে দুটি প্রকাণ্ড বুদ্ধমূর্তি গঠিত আছে- যা আজও পথিকদের বিস্ময় উৎপাদন করে, হিউএনচাঙ তার কথাও বলেছেন।

তিনি মনে করেছিলেন, -এই দুইটি মূর্তি একটা ১৫০ ফুট আর একটা এক শত ফুট উঁচু। আসলে মেপে দেখা গিয়েছে যে, এরা আরও বড় একটা ১৭০ ফুট উঁচু আর একটা ১১৭ ফুট উঁচু। তিনি এখানে একটা ১০০০ ফুট (?) লম্বা শয়ান পরিনির্বাণমূর্তি দেখেন।

উল্লিখিত দুই মূর্তির পেছনে যে দেওয়ালপট আঁকা আছে, তাও তিনি নিশ্চয়ই দেখেছিলেন, যদিও তার উল্লেখ করেন নি।বামিয়ান ছেড়ে নয় হাজার ফুট উঁচু পথে কোহিবাবা পার হয়ে হিউএনচাঙ গান্ধারের সুন্দর সমতলে এসে পৌঁছলেন।

এইবার তিনি ভারতবর্ষের সীমানার মধ্যে প্রবেশ করলেন। প্রাচীন-কালে হিন্দুকুশই ‘হিন্দুদেশের’ বা ‘ব্রাহ্মণদের দেশের’ সীমানা বলে গণ্য হত।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪২)

হিউএনচাঙ (পর্ব-৪২)