প্রদীপ কুমার মজুমদার
দশম শতাব্দীর বিখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল হাসান আলমাহদি (১৪৩ খ্রীঃ)বলেছেন ভারতীয় ঋষিদের সম্মেলনে স্রষ্টা ব্রহ্মার অনুরোধে ঋষিরা নয়টি অঙ্কবোধক চিহ্ন আবিষ্কার করেন। মাহদির কথা বিশ্বাসযোগ্য।
কারণ তিনি মূলতান, কাম্বে, পারস্থ, সিরিয়া প্যালেষ্টাইন, চীন প্রভৃতি দেশ ভ্রমন করেছিলেন। সুতরাং ভারতবর্ষ সম্বন্ধে প্রাথমিক জ্ঞান থাকা স্বাভাবিক। মাসুদির মন্তব্যে রেনউড বলেছেন এ থেকে বোঝা যায় ভারতবর্ষে অঙ্কবোধক চিহ্নের ব্যবহার কত প্রাচীন।
উত্তর আফ্রিকার টিউনীসের একটি গ্রাম কারবানের অধিবাসী আর সাহল ইবন তামিন (১৫০ স্ত্রীঃ) তার সিফর য়েশিয়া (Séfer yesirah) গ্রন্থে বলেছেন “হিন্দুরা নয়টি চিহ্নের সাহায্যে তাদের এককগুলি প্রকাশ করতো। আমি হিসাব অল গোবরে এনিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি।
অল নাদিম (১৮৭ খ্রীঃ) লিখিত আরবীয় সংস্কৃতির ইতিহাস “কিতাব অল-ফিরিস্ত” এ বলেছেন ভারতবর্ষে প্রায় দুইশত অঙ্কবোধক চিহ্নের ব্যবহার ছিল। ভারতীয়রা দশ, শত প্রভৃতি লিখবার জন্য শূন্যের ব্যবহার করতেন এবং এগুলি অঙ্ক-বোধক চিহ্নের ঠিক নীচে বসান হত। এই অঙ্কবোধক চিহ্নগুলিই হিন্দ বা হিন্দিয়া নামে আরব জগতে পরিচিত।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৬)