০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় ডলার স্থিতিশীল, অস্ট্রেলীয় ডলার শক্তিশালী, ইয়েন দুর্বল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২১) হলিউডের ‘হাইল্যান্ডার’ রিবুটে যোগ দিলেন কোরিয়ান তারকা জিওন জং-সিও অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৮)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • 20

প্রদীপ কুমার মজুমদার 

অঙ্কবোধক চিহ্ন সম্পর্কে আবু রৈহান মহম্মদ ইবন আহমদ আল বিরুণীর লেখা গ্রন্থ পাঠ করলে অনেক কিছু আমরা জানতে পারি। আলবিরুণী আরবী, পারসী, সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। আবার গণিত, বিজ্ঞান দর্শন প্রভৃতি বিষয়েও সম্যক জ্ঞান ছিল।

তিনি “কিতাব অল অরকম্” এবং “তজকীরা ফি অল হিসাব ওয়াল মদ বি অল অরকম অল সিন্দ ওয়াল হিন্দ” নামে সংখ্যার উপর দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর লিখিত অথার অল বাকিয়াতে তিনি সংখ্যাকে অল অরকম অল হিন্দ বলেছেন। এবং অক্ষর সংখ্যা থেকে এগুলি ভিন্ন সে কথাও উল্লেখ করেছেন (হারুফ অল জুম্মল বা হিসাব অল জুম্মল)।

আরবীয় সংখ্যা চিহ্ন সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি তার গ্রন্থ “তারিক অল হিন্দ” এ বলেছেন “বর্ণমালাগুলি বিভিন্ন আকৃতির, সংখ্যা বোধক চিহ্নগুলিও সেইরূপ। এগুলিকে অঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। যে সংখ্যাবোধক চিহ্নগুলি আমরা ব্যবহার করি সেগুলির আদি হিন্দু চিহ্ন।”

অন্যত্র আলবিরূণী বলেছেন। “আমরা যেভাবে অঙ্কবোধক চিহ্ন ব্যবহার করি। হিন্দুরা এ ব্যাপারে কতটা অগ্রসর হয়েছে সে সম্পর্কে আমি (আলবিরূণী) একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছি।”

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৭)

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্র্যামির ডাবল মনোনয়নে কেটসআইয়ের জয়যাত্রা — বৈচিত্র্য, প্রতিভা ও সংস্কৃতির গ্লোবাল উদযাপন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৮)

০৭:০০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার 

অঙ্কবোধক চিহ্ন সম্পর্কে আবু রৈহান মহম্মদ ইবন আহমদ আল বিরুণীর লেখা গ্রন্থ পাঠ করলে অনেক কিছু আমরা জানতে পারি। আলবিরুণী আরবী, পারসী, সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন। আবার গণিত, বিজ্ঞান দর্শন প্রভৃতি বিষয়েও সম্যক জ্ঞান ছিল।

তিনি “কিতাব অল অরকম্” এবং “তজকীরা ফি অল হিসাব ওয়াল মদ বি অল অরকম অল সিন্দ ওয়াল হিন্দ” নামে সংখ্যার উপর দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর লিখিত অথার অল বাকিয়াতে তিনি সংখ্যাকে অল অরকম অল হিন্দ বলেছেন। এবং অক্ষর সংখ্যা থেকে এগুলি ভিন্ন সে কথাও উল্লেখ করেছেন (হারুফ অল জুম্মল বা হিসাব অল জুম্মল)।

আরবীয় সংখ্যা চিহ্ন সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি তার গ্রন্থ “তারিক অল হিন্দ” এ বলেছেন “বর্ণমালাগুলি বিভিন্ন আকৃতির, সংখ্যা বোধক চিহ্নগুলিও সেইরূপ। এগুলিকে অঙ্ক নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। যে সংখ্যাবোধক চিহ্নগুলি আমরা ব্যবহার করি সেগুলির আদি হিন্দু চিহ্ন।”

অন্যত্র আলবিরূণী বলেছেন। “আমরা যেভাবে অঙ্কবোধক চিহ্ন ব্যবহার করি। হিন্দুরা এ ব্যাপারে কতটা অগ্রসর হয়েছে সে সম্পর্কে আমি (আলবিরূণী) একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছি।”

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৭)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-১০৭)