০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ড্যাশবোর্ডে ভরসা করছে বোরবন—ডেটা ও অটোমেশনে ‘ক্রাফট’ বদলাবে কি? আমাজন এমজিএমে ডোয়েন জনসন–বেনি সাফদির ‘Lizard Music’ চীনের গ্রামীণ নারীর জীবনে ডিজিটাল বিপ্লব জাপানে ভিসা ফি বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সমান হবে হার ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তে ভারত হয়ে উঠছে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিকল্প আউটসোর্সিং কেন্দ্র বৈশ্বিক মানবিক সহায়তায় নতুন ভূমিকা নিচ্ছে বেইজিং, তবে ‘গণতান্ত্রিক বিকল্প’ও দরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪১) ভূতের নৃত্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দফা দাবিতে শিক্ষকদের টানা আন্দোলন, সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • 46

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বনজ সম্পদ সংগ্রহ এবং বন্যপ্রাণী শিকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার ইনকারা সাধারণত দিনে দুইবার খায় প্রথমবার সকালে এবং দ্বিতীয়বার বিকেল বা সন্ধ্যায়। তবে এবাদেও অনেক সময় ঘরে প্রবেশ করার আগে বাইরেও সমবেত প্রথায় খাবার খেয়ে নেয়। এই খাবার-এর মধ্যে থাকত নানারকমের শাকসবজি।

এছাড়া তিতিকাকা হ্রদের কাছে মাছ শিকার করেও খাবার অভ্যাস ছিল। এছাড়া মাংসের মধ্যে কুকুর মেরে তা মাটির পাত্রে রান্না করত। সবজি ও নাছ বাদেও আনন্দের জোয়ারে ভাসার জন্য ভুট্টা, শস্য বা কিনোয়া (Quinoa) থেকে একরকম মদ তৈরি করত। একে ইনকারা বলত চিচা (Chicha)। এই চিড়া তৈরির দায়িত্ব ছিল বাড়ির পঙ্গু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ সদস্যদের উপর।

ইনকা পরিবারের মেয়েরা কোন কিছুই নষ্ট করত না। ঘরে ব্যবহারের পর উদ্বৃত্ব শস্য জমিয়ে রাখত। এ বাদেও জামা-কাপড় পোশাক তৈরির কাজেও জীবিকা বা পারিবারিক দায়িত্ব ভাগ করা হত। কোন পোশাক কে পরবে তা অনেক সময়েই গোষ্ঠীর পরিচয়ে নির্ধারিত হত। ইনকাদের জীবন, জীবিকা, অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনযাত্রার বুনোট বা কাঠামো ছিল মূলত কৃষিনির্ভর।

কৃষি ক্ষেত খামার, বন, বনজ সম্পদ, স্থাপত্য, সম্পর্ক, দেশজ শিল্প, ঔষধি, আয়ুর্বেদ সব কিছুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল পেশা কাঠামো। আজ ইনকারা কেমন, কোথায় এবং কী আর্থ-সামাজিক পরিচয় বহন করছে সে প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল পরবর্তী অধ্যায়ে।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)

জনপ্রিয় সংবাদ

ড্যাশবোর্ডে ভরসা করছে বোরবন—ডেটা ও অটোমেশনে ‘ক্রাফট’ বদলাবে কি?

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৫)

০৭:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

বনজ সম্পদ সংগ্রহ এবং বন্যপ্রাণী শিকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার ইনকারা সাধারণত দিনে দুইবার খায় প্রথমবার সকালে এবং দ্বিতীয়বার বিকেল বা সন্ধ্যায়। তবে এবাদেও অনেক সময় ঘরে প্রবেশ করার আগে বাইরেও সমবেত প্রথায় খাবার খেয়ে নেয়। এই খাবার-এর মধ্যে থাকত নানারকমের শাকসবজি।

এছাড়া তিতিকাকা হ্রদের কাছে মাছ শিকার করেও খাবার অভ্যাস ছিল। এছাড়া মাংসের মধ্যে কুকুর মেরে তা মাটির পাত্রে রান্না করত। সবজি ও নাছ বাদেও আনন্দের জোয়ারে ভাসার জন্য ভুট্টা, শস্য বা কিনোয়া (Quinoa) থেকে একরকম মদ তৈরি করত। একে ইনকারা বলত চিচা (Chicha)। এই চিড়া তৈরির দায়িত্ব ছিল বাড়ির পঙ্গু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ সদস্যদের উপর।

ইনকা পরিবারের মেয়েরা কোন কিছুই নষ্ট করত না। ঘরে ব্যবহারের পর উদ্বৃত্ব শস্য জমিয়ে রাখত। এ বাদেও জামা-কাপড় পোশাক তৈরির কাজেও জীবিকা বা পারিবারিক দায়িত্ব ভাগ করা হত। কোন পোশাক কে পরবে তা অনেক সময়েই গোষ্ঠীর পরিচয়ে নির্ধারিত হত। ইনকাদের জীবন, জীবিকা, অর্থনীতি এবং সামাজিক জীবনযাত্রার বুনোট বা কাঠামো ছিল মূলত কৃষিনির্ভর।

কৃষি ক্ষেত খামার, বন, বনজ সম্পদ, স্থাপত্য, সম্পর্ক, দেশজ শিল্প, ঔষধি, আয়ুর্বেদ সব কিছুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল পেশা কাঠামো। আজ ইনকারা কেমন, কোথায় এবং কী আর্থ-সামাজিক পরিচয় বহন করছে সে প্রসঙ্গে আলোচনা করা হল পরবর্তী অধ্যায়ে।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৭৪)