সারাক্ষণ রিপোর্ট
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, যার ফলে দেশের অনেক ব্যাংক ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।
নতুন নীতিমালার মূল বিষয়সমূহ
- যেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রভিশনিংয়ের জন্য ডিফারেল সুবিধা নিয়েছে, তারা ২০২৪ সালে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।
- যেসব ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি অপ্রদর্শিত ঋণ (NPL) রয়েছে, তারা ২০২৫ থেকে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে না।
- ডিসেম্বরে NPL-এর পরিমাণ ৩৪৫,৭৬৪ কোটি ছুঁয়েছে, যা ২০.২০ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এটি ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
- যদি কোনো ব্যাংক CRR (Cash Reserve Ratio) ও SLR (Statutory Liquidity Ratio) এর অভাবে জরিমানার সম্মুখীন হয়, তবে তারা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না।
- কেবলমাত্র বর্তমান বছরের লাভ থেকেই ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করা যাবে; পূর্বের সঞ্চিত লাভ থেকে তা দেওয়া যাবে না।

২. ব্যাংকিং খাতের প্রতিক্রিয়া
- বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৬১টি নির্ধারিত ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১০-১২টি ব্যাংক ভালো পরিমাণে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে।
- সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি আসিফ খান মিডিয়াকে বলেন, এই নীতিমালা ব্যাংকগুলোর মূলধন শক্তিশালী করার জন্য নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে কিছু শর্ত শিথিল করা হতে পারে।
- একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনে করেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং হবে, তবে এটি মূলধন অপচয় রোধে সহায়ক হবে।
ডিভিডেন্ড পেআউট অনুপাত নির্ধারণ
ডিভিডেন্ড পেআউট অনুপাত নির্ধারণ করা হয়েছে ব্যাংকের লাভের পর করের পরিমাণের সাথে সম্পর্কিতভাবে।
- ডিভিডেন্ড পেইড-আপ ক্যাপিটালের ৩০% এর বেশি হতে পারবে না।
- ১৫% ক্যাপিটাল অ্যাডেকুয়েসি রেশিও (২.৫% ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ) বজায় রাখলে: ব্যাংকগুলো ক্যাশ ও স্টক ডিভিডেন্ড দিতে পারবে, তবে সর্বোচ্চ পেআউট অনুপাত ৫০% হবে।
- ১২.৫% ক্যাপিটাল অ্যাডেকুয়েসি রেশিও বজায় রাখলে: পেআউট অনুপাত ৪০% পর্যন্ত সীমিত থাকবে।
- ১২.৫% এর নিচে হলেও ন্যূনতম ১০% রেশিও থাকলে: কেবলমাত্র স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়া যাবে।
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর ব্যাংকগুলোর ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
Leave a Reply