সারাক্ষণ ডেস্ক
মার্ক কার্নি, সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকার, ১৪ মার্চ ২০২৫-এ কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তিনি জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সী কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন, যিনি এমন শুল্ক নীতির পরিকল্পনা করছেন যা কানাডার অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্পর্ক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি
কার্নি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে বলেন যে তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি ট্রাম্পের এজেন্ডাকে বোঝার কথা উল্লেখ করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক গঠনে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্নি ২৪ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
– ডমিনিক লেব্লাঙ্ককে অর্থমন্ত্রী থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।
– ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন, যিনি আগে উদ্ভাবন মন্ত্রী ছিলেন, নতুন অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন।
– মেলানি জোলি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বহাল রয়েছেন।
অকাল নির্বাচনের সম্ভাবনা
আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কার্নি অকাল নির্বাচন আহ্বান করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। লিবারেল পার্টি তার নেতৃত্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকবে কনজারভেটিভ পার্টি, যারা ট্রুডো সরকারের কার্বন করের কঠোর সমালোচনা করেছিল। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, কার্নি তার প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই কর বাতিল করেন, যা তিনি বলছেন অর্থনৈতিক চাপে থাকা কানাডিয়ানদের জন্য স্বস্তির বিষয় হবে।
একটি ঐতিহাসিক নেতৃত্ব
কার্নি কানাডার প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি নির্বাচিত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি কানাডা ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সংকট মোকাবিলায় তার দক্ষতার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদারে পরিকল্পনা
গ্লোবাল জোটকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে কার্নি লন্ডন ও প্যারিস সফরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য টানাপোড়েনের মধ্যে কানাডার বৈশ্বিক সম্পর্ক দৃঢ় করাই তার অন্যতম লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির প্রশাসনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জটিল বাণিজ্যিক সম্পর্ক পরিচালনা করা। তার কৌশলগত মন্ত্রিসভা নিয়োগ এবং নীতিগত পরিবর্তন কানাডার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।