০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

বরগুনার ও মাগুরার ধর্ষিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেবার নির্দেশ হাইকোর্টের

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • 19

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: বরগুনায় ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপারকে (এসপি) কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
  • সমাজসেবা অফিসারের নিয়োগ: এ ঘটনার তদারকি করতে একজন সমাজসেবা অফিসার নিয়োগ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখিত) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে উক্ত আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

বরগুনায় ধর্ষণের ঘটনা

  • অপহরণ ও নির্যাতন: বরগুনা পৌর এলাকায় ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীকে একদল বখাটে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
  • উদ্ধার: পরদিন সকালে স্থানীয় একটি পার্কে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
  • মামলা দায়ের: ওই দিন রাতেই কিশোরীর বাবা (৩৭) বরগুনা সদর থানায় দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন।

বাবার রহস্যজনক মৃত্যু

  • নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার: মামলার পরে ১১ মার্চ কিশোরীর বাবা কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
  • হত্যা মামলা: এ ঘটনায় কিশোরীর মা অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মাগুরার ঘটনার নির্দেশনা

  • শিশু আছিয়ার বড় বোনের নিরাপত্তা: একই দিনে মাগুরায় নির্যাতনে নিহত শিশু আছিয়ার বড় বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা

  • আইনের বিবরণ: আইনের ১৪ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, ধর্ষণ বা নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
  • শাস্তির বিধান: যদি কোনোভাবেই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।

বরগুনার ও মাগুরার ধর্ষিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেবার নির্দেশ হাইকোর্টের

০৬:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: বরগুনায় ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপারকে (এসপি) কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
  • সমাজসেবা অফিসারের নিয়োগ: এ ঘটনার তদারকি করতে একজন সমাজসেবা অফিসার নিয়োগ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখিত) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ সংক্রান্ত সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে উক্ত আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

বরগুনায় ধর্ষণের ঘটনা

  • অপহরণ ও নির্যাতন: বরগুনা পৌর এলাকায় ৪ মার্চ বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক কিশোরীকে একদল বখাটে অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
  • উদ্ধার: পরদিন সকালে স্থানীয় একটি পার্কে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
  • মামলা দায়ের: ওই দিন রাতেই কিশোরীর বাবা (৩৭) বরগুনা সদর থানায় দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন।

বাবার রহস্যজনক মৃত্যু

  • নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার: মামলার পরে ১১ মার্চ কিশোরীর বাবা কর্মস্থলে গিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন দিবাগত রাতে বাড়ির পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
  • হত্যা মামলা: এ ঘটনায় কিশোরীর মা অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মাগুরার ঘটনার নির্দেশনা

  • শিশু আছিয়ার বড় বোনের নিরাপত্তা: একই দিনে মাগুরায় নির্যাতনে নিহত শিশু আছিয়ার বড় বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা

  • আইনের বিবরণ: আইনের ১৪ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা আছে, ধর্ষণ বা নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।
  • শাস্তির বিধান: যদি কোনোভাবেই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।