বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হিউএনচাঙ (পর্ব-৭৩) দেশে প্রথম এনজিএস-ভিত্তিক ক্যান্সার পরীক্ষা চালু করছে আইসিডিডিআর,বি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে পিছিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ভারতের সুইজারল্যান্ডখ্যাত পহালগামের টেরোরিস্ট হামলা, রক্তের বন্যা অ্যান্টার্কটিকায় ছিনলিং স্টেশনে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সাফল্যগাথার নেপথ্যে রাজনৈতিক দল গঠনের মৌসুম চলছে:  নতুন ৬০ এর বেশি আবেদন ইসিতে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের স্মৃতিকথা (পর্ব-১৭৫) অনলাইনে আত্মপ্রকাশ করল চাইনিজ কালচারপিডিয়া আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫) রাষ্ট্রীয় কাজের বাইরে যে ভাবে সারাদিন দিল্লি কাটালেন ভ্যান্স তার পরিবার নিয়ে

চাহিদা ৭ লাখ, আমদানী করতে হয় ৬ লাখ টন: এ বছর উৎপাদন আরো কম

  • Update Time : শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৫.০৯ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ক্রমাগত কমছে মসুর চাষ ও উৎপাদন

দেশে মসুর ডালের চাষ ও উৎপাদন গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে কমছে।
সরকারি তথ্যমতে, এই পতনের পেছনে তিনটি বড় কারণ রয়েছে:

  • চাষে লাভজনক না হওয়া
  • ঘনঘন রোগবালাইয়ের আক্রমণ
  • অনুকূল আবহাওয়ার অভাব

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানায়, গত পাঁচ বছরে দেশে মসুর চাষের জমি ৭৫,৭০০ হেক্টর কমে গেছে।
২০২০-২১ অর্থবছরে মসুর উৎপাদন ছিল ২,৫৮,৫০০ টন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেমে এসেছে মাত্র ১,৬৬,৩০০ টনে।

যেখানে দেশে বছরে ৭ লাখ টনের মতো মসুর ডালের চাহিদা রয়েছে, সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে খুব অল্প—ফলে প্রায় ৬ লাখ টন আমদানি করতে হচ্ছে।

কৃষকরা মসুর চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কেন?

১৫ জনের বেশি কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মসুর চাষে তাদের আগ্রহ কমে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ আছে:

  • রোগবালাই ও খারাপ আবহাওয়া
  • অন্যান্য ফসলে তুলনামূলক বেশি লাভ
  • আগের বছরগুলোতে দাম কম পাওয়া

এ কারণে অনেক কৃষক এখন মসুরের বদলে পেঁয়াজ, ভুট্টা, গম ও কলা চাষে ঝুঁকছেন।

নড়াইলের কৃষক হাসান আলী আগে ৬ বিঘা জমিতে মসুর চাষ করতেন, কিন্তু ফলন কমে যাওয়ায় এবার করেছেন ৪ বিঘায়। তিনি বলছেন, এখন ভুট্টা চাষে বেশি লাভ হচ্ছে।

রাজবাড়ীর কৃষক মজিবর রহমান গত বছরের তুলনায় এবার কম জমিতে চাষ করেও ২৪ মণ মসুর পেয়েছেন, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলন।

মসুরের দাম বেড়েছে:
এই মৌসুমে প্রতি মণ মসুর বিক্রি হচ্ছে ৩,৪০০–৩,৬০০ টাকায়, যেখানে গত বছর ছিল ২,৪০০–২,৮০০ টাকা।

ঝিনাইদহের কৃষক আজিজুর রহমান বলছেন, “এ বছর ফলন ও দাম ভালো হলেও আগের বছরগুলোতে অবস্থা ভালো না থাকায় অনেকেই মসুর চাষ ছেড়ে দিয়েছেন।”

ফরিদপুরের কামাল হোসেন জানান, আগে বারি-২, বারি-৩, বারি-৪ জাতের মসুর চাষ করতেন, কিন্তু ফলন কম থাকায় কৃষকেরা আগ্রহ হারিয়েছেন। এবার তিনি বারি-৮ জাতের মসুর চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।

পাইকারি বাজারে ধীরগতিমিল মালিকরা বিপাকে

মাগুরার নতুন বাজার দেশের অন্যতম বড় মসুর ডালের পাইকারি বাজার।
সেখানে ব্যবসায়ী মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আগে প্রতিদিন ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ মণ মসুর কেনাবেচা হতো, এখন তা নেমে এসেছে ১,৫০০ থেকে ১২,০০০ মণে।

ফরিদপুরের এক ডাল মিল মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, দেশীয় মসুরের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ছোট মিলগুলো সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ডাল কিনতে পারছে না। সরকারকে আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করতে হচ্ছে, ফলে অনেক ছোট মিল বন্ধ হয়ে গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024