সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন”
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদসহ অন্য সদস্যরা তাঁদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন।
কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ কিছুদিন আগে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সারা দেশে মতবিনিময় এবং জরিপের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে যেসব মতামত এসেছে সেগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁরা সুপারিশমালা তৈরি করছেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম”দেশের চলমান পরিস্থিতিতে মাহমুদুর রহমান মান্নার উদ্বেগ “
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সংকট সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মানে তারা যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা পূর্ণাঙ্গ সরকার। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা চুপচাপ বসে থাকবে এটা হতে পারে না। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সরকার এসব বিষয়ে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেবে বলে আশা করছি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে দলীয় বক্তব্য তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদের।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ব্যবসায়িক স্বস্তিতে আদানি, বাংলাদেশে অনেকটা দুশ্চিন্তামুক্ত”
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে আদানি পাওয়ারের বিপুল পরিমাণ পাওনা বকেয়া পড়ে যায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। সে সময়ে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিল পরিশোধ করা হতো প্রতি মাসে গড়ে ২০-৩০ মিলিয়ন ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিল পরিশোধও বেড়েছে আগের চেয়ে তিন-চার গুণ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড়ে ৮০-৮৫ মিলিয়ন ডলার বিল পাচ্ছে আদানি পাওয়ার। চলতি মার্চেও আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ ৯৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিল পরিশোধ করেছে বিপিডিবি।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিশেষ আইনের আওতায় আদানির সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলের জোর দাবি ওঠে। নভেম্বরে এ ক্রয়চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটও করা হয়। আদানিসহ ১১ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে ক্রয়চুক্তি খতিয়ে দেখতে গত অক্টোবরে জাতীয় পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কমিটি এরই মধ্যে এসব চুক্তি পর্যালোচনার জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করেছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায়ই বাড়ানো হয়েছে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ও বিল পরিশোধ।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিতর্ক থাকলেও এ মুহূর্তে বিপিডিবির সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে আদানি গ্রুপের মধ্যে খুব একটা উদ্বেগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও এখন আদানির বকেয়া পরিশোধ ও তাদের কাছ থেকে বিদ্যুতের বাড়তি সরবরাহ নেয়া ছাড়া আর কিছু ভাবছে না। যদিও অসম শর্তের ভিত্তিতে পতিত বিগত সরকার কোম্পানিটির সঙ্গে এ চুক্তি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্রীলংকা এরই মধ্যে দুর্নীতি, প্রতিবেশগত ক্ষতি ও বিদ্যুতের দাম বেশি হওয়ার অভিযোগ তুলে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিল করেছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়াও এরই মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করেছে।
চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আদানিও এখন ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করছে। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট স্থাপিত সক্ষমতার (ইনস্টলড ক্যাপাসিটি) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পরিমাণ বিদ্যুৎ কিনেছে বিপিডিবি।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিপিডিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে গড়ে আদানি পাওয়ারের বিল আসে কম-বেশি ৭০-৭৫ মিলিয়ন ডলার। আর গত অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে আদানি পাওয়ারকে গড়ে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট মাসের বিলের পাশাপাশি প্রদেয় বকেয়া বিলও রয়েছে। ছয় মাস ধরেই আদানি পাওয়ারকে এভাবে নিয়মিত বিলের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে বকেয়াও পরিশোধ করা হচ্ছে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কোনো কোনো উপদেষ্টা ‘রাজনৈতিক দল গঠনে জড়িত’ থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে”
অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে ‘রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত’ থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।’
শনিবার সকাল ১১ টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো-জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। সংস্কার আগে-নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে-সংস্কার পরে এ ধরনের অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া দুটোই একই সঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সংস্কার সনদ তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে যা বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের মূলত করণীয় হচ্ছে-একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত ঐক্যমত্যের সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। কেননা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ এবং ন্যায় বিচার ও সুশাসন নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্পাদন সম্ভব।’
মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদেরই দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।’
জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ-এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।