০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা” নোরা ফাতেহি তার নতুন গান শেয়ার করলেন, শুরু হলো তার পপ গার্ল যুগ ব্ল্যাক ফ্রাইডের আগেই এম৪ ম্যাকবুক এয়ারে রেকর্ড ছাড় বিশ্বের সেরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার স্বীকৃতি পেল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাকিহ হাসপাতাল সংখ্যালঘু কলেজছাত্রী শমরিয়া রানী নিখোঁজের ১৫ দিন: পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ তারকাখচিত রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম ২০২৫, একযোগে ডিসনি প্লাসে সম্প্রচার  গুগল প্লে ও ইউটিউবের নতুন কেনা সিনেমা আর পড়বে না মুভিজ অ্যানিওয়্যারে সাহিত্য প্রচারে শারজাহের ভূমিকা: সংস্কৃতি ও জ্ঞানের সেতুবন্ধন ‘আমাদের কণ্ঠ কেউ বন্ধ করতে পারবে না’—মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ উত্তর জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা ও রেল চলাচলে বিঘ্ন”

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • 131

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

এর তিন দিন পরে শানায়া রেলস্টেশনের ঠিক আগে আমাদের বাহিনী তাড়াতাড়ি ট্রেন থেকে নেমে পড়ল।

কোথা থেকে এক ছোকরা অশ্বারোহী সৈন্য ঘোড়া ছুটিয়ে ওখানে এসে হাজির হল আর শেবালভের হাতে একখানা মুখ-আঁটা খাম ধরিয়ে দিয়ে হেসে, যেন ভারি একটা সুখবর দিচ্ছে এমনি ভঙ্গিতে, বলল:

‘গতকাল ক্রাইউৎকোভোতে জার্মানরা আমাদের নোকজনেরে এক্কেবারে ছাগলভেড়ার মতো কচুকাটা করি দিল। চু-চু, এক্কেবারে রামধোলাই দিল!’

আমাদের বাহিনীর ওপর ভার পড়ল শত্রুর পেছনদিকে অনুপ্রবেশের। বলা হল, গ্রামে-গ্রামে ছড়ানো শত্রুর ছোট-ছোট দলগুলোকে আমরা যেন এড়িয়ে যাই আর বেগিচেভের নেতৃত্বে পরিচালিত দনে খনি-মজুরদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।

‘কিন্তু ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করব কী করি?’ ম্যাপের ওপর আঙুলের খোঁচা দিতে-দিতে শেবালভ বললেন। ‘খনি-মজুরদের বাহিনীর খোঁজটা করি কোথায়? ওরা লিখচে: ‘ওলেস্কিনো আর সোস্কার মাঝামাঝি’। ঠিক-ঠিক জায়গাটা বাতলাও, তা না। বলা তো খুব সোজা ‘যোগাযোগ কর’। কোথায়? না, ‘অমুক আর অমুকের মধ্যি’, বাঃ…’

সেনাবিভাগের দপ্তর-প্রধানদের মুণ্ডপাত করতে লাগলেন শেবালভ। ওরা না-বোঝে কোনো একটা জিনিস, খালি কথায়-কথায় হুকুমনামা লিখতে ওস্তাদ আর তারপর কোম্পানি-কম্যান্ডারদের ডেকে পাঠাতে। তবে ‘দপ্তরের নোকজনরে’ গালাগাল দিলে কী হবে, স্বাধীনভাবে এই একটা কাজ করার দায়িত্ব ঘাড়ে পড়ায়, আরও বেশি সৈন্যের কোন একটা বাহিনীর তাঁবে কাজ করতে না হওয়ায় শেবালভআসলে খুশিই হলেন।

আমাদের বাহিনীতে ছিলেন তিনজন কোম্পানি-কম্যান্ডার। পরিষ্কার কামানো চাঁচাছোলা মুখ, ঠান্ডা মেজাজের চেক-দেশীয় গাল্দা, গোমড়া মুখো এন-সি-ও সুখারেভ আর তেইশ বছরের হাসিখুশি অ্যাকর্ডিয়ন-বাজিয়ে আর নাচিয়ে ফেদিয়া সির্ত্সভ। যুদ্ধে আসার আগে ফেদিয়া ছিল গোরুর রাখাল।

একটা ফাঁকা জায়গায় ম্যাপটাকে ঘিরে ওঁরা বসে ছিলেন সবাই। আর ওঁদেরও ঘিরে বসে ছিল লাল ফৌজের লোকজন।

হুকুমনামার কাগজখানা তুলে ধরে শেবালভ বলছিলেন, ‘আচ্ছা, এই যে হকুমনামা আমি পেয়েচি এ-অনুযায়ী আমাদের শত্রুর পেছনদিক দিয়ে গিয়ে ওদের মধ্যি ঢুকতি হবে আর কাজ করতি হবে বেগিচেভের বাহিনীর কাছাকাছি। আজ রাতেই রওনা হতি হবে আমাদের। শত্রুর নাগালের মধ্যি না-গিয়ে, একটু দূরে দূরে থেকে এগোতে হবে আমাদের, ছোঁয়াছুয়ি হলি চলবে না। কথাটা পরিষ্কার বুয়েচ তো?’

‘ও তো একটা মস্ত কথা হল ছোঁয়াছ’য়ি হলি চলবে না। বলি, ছোঁয়া বাঁচাব কেমন করি?’ ধূর্তামিমাখা ভালোমানুষির ভাঙ্গতে ফেদিয়া সিত্ত্সভবলল।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে ভালুকের হামলা থামছে না, নীতিতে ‘নিরাপত্তা–সংরক্ষণ’ সমন্বয়ের ভাবনা”

রণক্ষেত্রে (পর্ব-২৭)

০৮:০০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

এর তিন দিন পরে শানায়া রেলস্টেশনের ঠিক আগে আমাদের বাহিনী তাড়াতাড়ি ট্রেন থেকে নেমে পড়ল।

কোথা থেকে এক ছোকরা অশ্বারোহী সৈন্য ঘোড়া ছুটিয়ে ওখানে এসে হাজির হল আর শেবালভের হাতে একখানা মুখ-আঁটা খাম ধরিয়ে দিয়ে হেসে, যেন ভারি একটা সুখবর দিচ্ছে এমনি ভঙ্গিতে, বলল:

‘গতকাল ক্রাইউৎকোভোতে জার্মানরা আমাদের নোকজনেরে এক্কেবারে ছাগলভেড়ার মতো কচুকাটা করি দিল। চু-চু, এক্কেবারে রামধোলাই দিল!’

আমাদের বাহিনীর ওপর ভার পড়ল শত্রুর পেছনদিকে অনুপ্রবেশের। বলা হল, গ্রামে-গ্রামে ছড়ানো শত্রুর ছোট-ছোট দলগুলোকে আমরা যেন এড়িয়ে যাই আর বেগিচেভের নেতৃত্বে পরিচালিত দনে খনি-মজুরদের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করি।

‘কিন্তু ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করব কী করি?’ ম্যাপের ওপর আঙুলের খোঁচা দিতে-দিতে শেবালভ বললেন। ‘খনি-মজুরদের বাহিনীর খোঁজটা করি কোথায়? ওরা লিখচে: ‘ওলেস্কিনো আর সোস্কার মাঝামাঝি’। ঠিক-ঠিক জায়গাটা বাতলাও, তা না। বলা তো খুব সোজা ‘যোগাযোগ কর’। কোথায়? না, ‘অমুক আর অমুকের মধ্যি’, বাঃ…’

সেনাবিভাগের দপ্তর-প্রধানদের মুণ্ডপাত করতে লাগলেন শেবালভ। ওরা না-বোঝে কোনো একটা জিনিস, খালি কথায়-কথায় হুকুমনামা লিখতে ওস্তাদ আর তারপর কোম্পানি-কম্যান্ডারদের ডেকে পাঠাতে। তবে ‘দপ্তরের নোকজনরে’ গালাগাল দিলে কী হবে, স্বাধীনভাবে এই একটা কাজ করার দায়িত্ব ঘাড়ে পড়ায়, আরও বেশি সৈন্যের কোন একটা বাহিনীর তাঁবে কাজ করতে না হওয়ায় শেবালভআসলে খুশিই হলেন।

আমাদের বাহিনীতে ছিলেন তিনজন কোম্পানি-কম্যান্ডার। পরিষ্কার কামানো চাঁচাছোলা মুখ, ঠান্ডা মেজাজের চেক-দেশীয় গাল্দা, গোমড়া মুখো এন-সি-ও সুখারেভ আর তেইশ বছরের হাসিখুশি অ্যাকর্ডিয়ন-বাজিয়ে আর নাচিয়ে ফেদিয়া সির্ত্সভ। যুদ্ধে আসার আগে ফেদিয়া ছিল গোরুর রাখাল।

একটা ফাঁকা জায়গায় ম্যাপটাকে ঘিরে ওঁরা বসে ছিলেন সবাই। আর ওঁদেরও ঘিরে বসে ছিল লাল ফৌজের লোকজন।

হুকুমনামার কাগজখানা তুলে ধরে শেবালভ বলছিলেন, ‘আচ্ছা, এই যে হকুমনামা আমি পেয়েচি এ-অনুযায়ী আমাদের শত্রুর পেছনদিক দিয়ে গিয়ে ওদের মধ্যি ঢুকতি হবে আর কাজ করতি হবে বেগিচেভের বাহিনীর কাছাকাছি। আজ রাতেই রওনা হতি হবে আমাদের। শত্রুর নাগালের মধ্যি না-গিয়ে, একটু দূরে দূরে থেকে এগোতে হবে আমাদের, ছোঁয়াছুয়ি হলি চলবে না। কথাটা পরিষ্কার বুয়েচ তো?’

‘ও তো একটা মস্ত কথা হল ছোঁয়াছ’য়ি হলি চলবে না। বলি, ছোঁয়া বাঁচাব কেমন করি?’ ধূর্তামিমাখা ভালোমানুষির ভাঙ্গতে ফেদিয়া সিত্ত্সভবলল।