মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন

চীনের থিয়ানকং মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীরা নতুন যে গবেষণা করছেন

  • Update Time : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১.৫০ পিএম

চীনের থিয়ানকং মহাকাশ স্টেশনে ১৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করছেন শেনচৌ-১৯ নভোচারীরা। সেখানে তারা স্নায়ুবিজ্ঞান, চিকিৎসা এবং মাইক্রোগ্রাভিটি পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করছেন।

এই নভোচারীরা বিভিন্ন গবেষণায় ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি) নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে যে মাধ্যাকর্ষণ কীভাবে আমাদের চোখ ও হাতের কাজকে প্রভাবিত করে, শূন্য মহাকর্ষে মানুষ কীভাবে দূরত্ব বুঝতে পারে এবং দীর্ঘ মহাকাশযাত্রায় মস্তিষ্কের তরঙ্গের মাধ্যমে মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ছয় মাস ধরে মহাকাশে থাকার পর নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে মহাকাশ স্টেশনে তাদের দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। প্রশ্ন উত্তর ও ভিডিওর মাধ্যমে স্টেশনের পরিবেশ, যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং ভেতরের সজ্জা কেমন, তা রেকর্ড করেছেন। এই তথ্য দেখে বিজ্ঞানীরা মহাকাশযানের নকশা আরও ভালো করতে পারবেন, ভুলগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে নভোচারীদের সুবিধার জন্য কী কী পরিবর্তন আনা দরকার, তা ঠিক করতে পারবেন।

চিকিৎসা গবেষণা, নভোচারীরা শরীরে ওষুধের প্রভাব নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে মহাকাশে নভোচারীদের জন্য ওষুধ ব্যবহারের নিয়ম তৈরি করতে সাহায্য করবে।

মহাকাশ প্রযুক্তির গবেষণায়, নভোচারীরা রিভার্স ব্রেটন ক্রায়োকুলিং নামে একটি নতুন শীতলীকরণ পদ্ধতি পরীক্ষা করছেন। এটি তাদের কেবিনের ভেতরের জিনিসপত্র ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। এই প্রযুক্তিটি ভবিষ্যতে গভীর মহাকাশ অভিযানে কাজে লাগবে এবং চীনের মহাকাশযানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাড়াবে। এটি অতি দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান গ্যাসের বিয়ারিংয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। এ ছাড়াও, মহাকাশে প্রায় শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পদার্থের আচরণ নিয়ে কিছু পরীক্ষাও করেছেন তারা।

সিএমজি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024