মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৯)

  • Update Time : বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৭.০০ এএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আজতেকদের ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্য একটি ক্ষেত্র আছে যার প্রধান অংশে আছে পুরোহিতবর্গ এবং কিছু পণ্ডিত সমালোচক। কার্যত বলল যায় এই পুরোহিতবর্গ যে ধরনের বিশ্বাস প্রচার করেছেন তার মধ্যে আছে সংস্কৃতি এবং ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ফাদার দিয়েগো দুরান, মোতোলিনিয়া এবং মেনদিয়েতা তাদের মনে যে ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল তাই তাদের লেখায় প্রকাশ করেছেন।

ফাদার ডুরান (Father Duran) তার লেখার এই কথা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন যে আজতেকরা ছিল কার্যত ইসরায়েলের এক আদিবাসীগোষ্ঠী। এছাড়া অন্য এক মতও পাশাপাশি আছে। হোসেদে আকোস্তা (Jose de Acosta) এবং পেড্রো মারতির দে আংলেরিয়ার  (Pedro Marir de Angleria) মত লেখক গবেষকরা প্রাক্-হিসাপানিক সংস্কৃতির মধ্যে একটি সমন্বয় আনার চেষ্টা করেছিলেন।

আজতেক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র ছিল মেসতিজো এবং ভারতীয় লেখক, গবেষকরা এরা ছিল সমাজের উঁচু শ্রেণির বংশধর। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন লেখকের নাম এরকম: দন ফের্নান্দো আলভারাদো (Don Fernando Alvarado). চিমালপহিন কুয়াউতলেহুয়ানিতিন (Chimalpahin Cuautichuanit), হুয়ান বাতিস্তা দে পোমার (Juan Bautista de Pomar) এবং ফের্নান্দো দে আলভা কোরতেস (Fernando de Alvo Cortes)।

এছাড়া আজতেক কোডিস (দেয়ালচিত্র লিপি ইত্যাদি) থেকে যে পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যেও লোকাচার বা ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা সম্ভব হয়েছে। স্প্যানিশ অধিগ্রহণ বা জয়লাভপরবর্তী কোডিসগুলির মধ্যে কোডেক্স মেনদোজা (Codex Mendoza) বা কোডেক্স রিয়স (Codex Rios) দুটির চিত্রাঙ্কণ করেছিল আজতেক লাকুইলস (Aztectlacuilos) বা কোডেক্স শিল্পীরা।

তবে এই দেওয়ালচিত্রণের কাজটি করা হয়েছিল স্প্যানিশ শাসকদের নেতৃত্বে। এই নিয়ন্ত্রণ কর্তৃত্বের ফলে দেওয়ালচিত্রের পাঠোদ্ধারে স্প্যানিশ প্রভাব, প্রাধান্য দেখা দিয়েছিল।

(চলবে)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৮)

আজতেক সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৮)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024