সারাক্ষণ রিপোর্ট
সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধ
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, সরকার দেশের ৫০% মানুষকে বাদ দিয়ে যে সংস্কার প্রস্তাব করছে, তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তারাই দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার চালাতে পারবে। বর্তমানে যারা এগিয়ে এসেছেন, তারা যেন অন্য গ্রহ থেকে আগত; দেশের বাস্তবতা করতে অযোগ্য।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনও সরকারই গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বৈধতা না থাকলে বিনিয়োগ আসে না, কর্মসংস্থান তৈরি হয় না, বেকারত্ব বাড়ে এবং আইন-শৃঙ্খলা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে—সব মিলিয়ে দেশের মঙ্গল ঘটবে না।
অর্থনৈতিক সংকট ও নাগরিক দুর্ভোগ
দেশের কল-কারখানা বন্ধ হতে বসেছে, কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না, শুধু রেমিট্যান্সের ওপর দেশ টিকবে না। মানুষের হাতে আয় নেই, সরকারের হাতে আয় নেই, কর যোগাড় না হলে আমদানীও সম্ভব নয়। মার্কিন শুল্কনীতি ও আইএমএফ তহবিলের অনিশ্চয়তার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।
নির্বাচন কমিশন ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
কাদের অভিযোগ, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে। দলের কাউন্সিল আয়োজন করতে গেলে হল ভাড়া বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম ব্যাহত করা যায়।
পেশাজীবি সংগঠন ও দুর্নীতি
তিনি আরও বলেন, পেশাজীবি সংগঠনগুলো—যেমন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন—সরকারি দলীয় সংগঠনের মতো আচরণ করছে। দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না।
নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংহতি
কাদের সব পক্ষকে আহ্বান জানান, নব্য ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে একযোগে লড়তে হবে। পুলিশ-প্রশাসন তাদের সহায়তায় লুটপাট করলে ও হামলা চালালে তাতে সরে দাঁড়াবে না জনতা; অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকারকে বৈধতা দিতে হবে।
সমাপনী ও সভার আয়োজন
ঢাকার বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভার দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সভায় সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, মহাসচিব, কো-চেয়ারম্যানসহ দলের উচ্চপদস্থ নেতারা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।