সত্যেন্দ্রকুমার বসু
কাশ্মীর ছেড়ে হিউএনচাঙ গঙ্গাতীরের দিকে অগ্রসর হলেন।প্রথমে এলেন শাকলে (বর্তমান শিয়ালকোট)। হিউএনচাঙের পাঁচ শত বছর আগে এখানে গ্রীকদের একটা ছোট রাজ্য ছিল। সেই রাজ্যের রাজাদের মধ্যে একজন, মেনাল্ডের (বৌদ্ধনাম মিলিন্দ), বৌদ্ধশাস্ত্রে বিখ্যাত। তাঁর সঙ্গে বৌদ্ধ ভিক্ষু নাগসেনের বিচার হয়।
সেই বিচারের বিবরণ ‘মিলিন্দ পঞহো’ (মিলিন্দ প্রশ্ন) বৌদ্ধশাস্ত্রের একখানা মূল্যবান গ্রন্থ। হিউএনচাঙের সময়ে শাকলে, মিলিন্দের কোনো স্মৃতি বোধ হয় ছিল না। থাকলে তিনি নিশ্চয়ই তার ‘উল্লেখ করতেন। কিন্তু মহাযানের একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, বসুবন্ধু, হিউএনচাঙের দুই শত বছর আগে এখানেই হীনযান ত্যাগ করে মহাযানী হন বলে প্রসিদ্ধি ছিল।
বর্বর হুণদের নৃশংস রাজা মিহিরগুলের প্রধান আড্ডা ছিল শাকলে। গান্ধারের রাজপরিবারকে হত্যা ক’রে, সমস্ত সঙ্ঘারামগুলি, যতগুলি পেরেছিল স্তূপগুলি ধ্বংস ক’রে সেসমস্ত দেশের ধনরত্ন লুঠ করেছিল আর অধিবাসীদের দলে দলে বন্দী ক’রে এনে সিন্ধু নদীর তীরে হত্যা করেছিল। আধুনিক ‘সভ্য জাতিদের’ বীভৎসতার তুলনায় অবশ্য এ কিছুই নয়।
(চলবে)