সারাক্ষণ রিপোর্ট
সাম্প্রতিক সূচক (মার্চ ২০২৫)
• বাংলাদেশে বার্ষিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮.৯৩ শতাংশ—দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি।
• নেপাল ৩.৩৪ %, ভারত ২.৬৯ %, শ্রীলঙ্কা ০.৬ % এবং পাকিস্তানে -৫.১২ % (খাদ্যদ্রব্যের দাম কমেছে)
দক্ষিণ এশিয়ার তুলনামূলক চিত্র
উপরের বার চার্টটি (মার্চ ২০২৫) স্পষ্ট করে দেখায়—বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি দুই ধাপ এগিয়ে, নিকটতম প্রতিবেশী নেপালের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। পাকিস্তানে উল্টো খাবারের দাম কমছে, যা আঞ্চলিক গড়কে নিচের দিকে টেনে ধরেছে।
ট্রেন্ড: দ্রুত কমছে, তবু শীর্ষে
• জুলাই ২০২৪-এ ১৪.১০ % থেকে ডিসেম্বর ২০২৪-এ ১২.৯২ %, এবং মার্চ ২০২৫-এ নেমে এসেছে ৮.৯৩ %-এ।
• গত তিন মাসে বাংলাদেশে খাবারের দাম কমার গতি ৪ শতাংশ পয়েন্টের বেশি, তবু অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও বেশি চাপ অনুভূত হচ্ছে।
মূল চালক
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল, গম ও দুধের দাম ওঠানামা।
ডলার-টাকার বিনিময় হার বৃদ্ধির প্রভাব।
পরিবহন ও সরবরাহ শৃঙ্খলে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং লোহা-ইস্পাত-জ্বালানি ব্যয়ের ধাক্কা।
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
• আমদানির বিকল্প করতে ডাল-তেল-গমে শুল্ক ছাড় ও দ্রুত অবস্হরিচার্টেড এলসি।
• দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য টার্গেটেড নগদ সহায়তা, ভর্তুকি নয়।
• কৃষি-লজিস্টিক ও সংরক্ষণে জরুরি বিনিয়োগ; ফুড ব্যাংক-ধাঁচের ‘স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ’।
আশা ও সতর্কতা
বাংলাদেশ পরপর তিন মাস দাম কিছুটা কমালেও সাম্প্রতিক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ও বিশ্ববাজারের অস্থিরতা আবার দাম বাড়িয়ে দিতে পারে—বিশ্লেষকদের এমন সতর্ক বার্তা। সরকার ৬-৮ মাসের জন্য চাল, গম, ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির পরিকল্পনা আগেই সম্পন্ন করলে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।