মুহাম্মদ সালেহ জাফির, জি্ইও নিউজ
সংক্ষিপ্ত মূল বক্তব্য
• উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর।
• বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তুলে ধরে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর জোর দিলেন হাইকমিশনার।
• অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উদ্যাপন করা হয়।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান ও তাঁর স্ত্রী রওশন নাহিদের আয়োজনে বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পাকিস্তানি জনগণের আন্তরিক মমত্ববোধ রয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও প্রসারিত করতে উভয় রাজধানীই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে গুরুত্ব দিই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের দিকে আগ্রহী।” স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
মন্ত্রী বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ঐতিহাসিক বন্ধনকে ভিত্তি করে উন্নয়ন সহযোগিতা বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা জরুরি। তিনি পাকিস্তান-বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ককে ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের ঘনিষ্ঠতার গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
অপরদিকে হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন, যিনি ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনায় অংশ নিতে ঢাকা সফর শেষে সদ্য ইসলামাবাদে ফিরেছেন, প্রথম জাতীয় দিবস সংবর্ধনায় বিপুল সংখ্যক কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বক্তব্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সুদৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বাংলাদেশের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আতিথেয়তার কথা তুলে ধরে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে অধ্যাপক আহসান ইকবাল চৌধুরী, ড. তারিক ফজল চৌধুরী, মঈন ওয়াট্টু, খিয়াল দাস কোহিস্তানি, মালিক রশীদ আহমাদ, কায়সার আহমদ শেখ ও মুহাম্মদ জুনাইদ আনোয়ারসহ একাধিক ফেডারেল মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধির ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ছিল এবং বাংলা রসগোল্লা ও ভেটকি মাছসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়, যা সন্ধ্যাতিকে স্মরণীয় করে তোলে।
মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং প্রধান অতিথি, হাইকমিশনার ও বিশেষ অতিথিরা মিলে কেক কাটেন।
Leave a Reply