সারাক্ষণ রিপোর্ট
সাক্ষাৎকারের সূচনা
আল জাজিরার “টক টু আল জাজিরা” অনুষ্ঠানে ২৭ এপ্রিল ২০২৫-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে মন্তব্য
ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও তিনি এখনো সামাজিক মাধ্যমে বিশাল প্রচার চালাচ্ছেন। ইউনূসের মতে, এ প্রচার দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে আঘাত করছে।
মোদি-ইউনূস সংলাপ
বিমসটেক সম্মেলনে ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে হাসিনার অনলাইন কার্যকলাপ কমানোর অনুরোধ জানান। মোদি বলেন, ভারতে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই, তাই তিনি চাইলেও থামাতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অবস্থান
ইউনূস স্পষ্ট করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না—এ সিদ্ধান্ত দলের নিজের। এখনো তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। নির্বাচন কমিশনসহ অন্য দল ও আদালত আইন অনুযায়ী বিষয়টি দেখবে।
নির্বাচনের সময়সীমা
সংস্কার পরিকল্পনা ছোট হলে ২০২৫-এর ডিসেম্বরের মধ্যে, বড় হলে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হবে বলে তিনি জানান।
জনগণের সমর্থন
ইউনূসের ভাষায়, ‘হানি-মুন পিরিয়ড’ শেষ হলেও মানুষ এখনো অন্তর্বর্তী সরকারকে সেরা সমাধান মনে করে। আগে দুর্নীতি দূর করে নির্বাচন দিলে আস্থা আরও বাড়বে।
পরবর্তী কাজের ধারা
প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা, সব দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আস্থা বাড়ানো—এই তিন লক্ষ্য পূরণেই নজর দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সারসংক্ষেপ
ড. ইউনূসের বক্তব্যের মূল বার্তা—দ্রুত সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনই দেশের সামনে নতুন পথ খুলবে। আওয়ামী লীগ আইনি কাঠামো মেনে ফিরলে সবাই উপকৃত হবে; না-থাকলে পরিবর্তন এগোতেই থাকবে।