মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন

তবু চলছে অনলাইন জুয়া, নিঃস্ব হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১০.৪৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “দেশের সব পলিটেকনিকে ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি”

ছয় দফা দাবিতে দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে এ কর্মসূচি চলবে।

সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক (অস্থায়ী) সাব্বির আহমেদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রূপরেখা প্রণয়ন না করা পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে প্রথমটি হলো, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

গত ১৬ এপ্রিল ছয় দফা দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক, মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরদিন শিক্ষার্থীরা সারা দেশে ‘রেল ব্লকেড’ বা রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেন। ১৭ এপ্রিল সকালে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক আছে। বৈঠকের আগপর্যন্ত রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল থাকবে।

ওই দিন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থাকায় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) দুপুর পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ে ছিলেন না। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব খ ম কবিরুল ইসলামও ঢাকার বাইরে ছিলেন। এ অবস্থায় অতিরিক্ত সচিব (কারিগরি অনুবিভাগ) রেহানা ইয়াছমিনের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “তবু চলছে অনলাইন জুয়া, নিঃস্ব হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকলেই দেখা যাবে দেশের কোনো তারকা বলছেন, ‘ঘরে বসে পুঁজি ছাড়াই আয় করতে চান? তাহলে এই অ্যাপে গেম খেলুন আর জিতে নেন লাখ লাখ টাকা।’ এমনই একটি অ্যাপ সিকে৪৪৪। এই অ্যাপের ব্যাপকভাবে প্রচারণা করছেন তরুণেরা। যেখানে লোভনীয় অফার ও অ্যাপে খেলার নিয়ম প্রচার করছে। আদতে এটি জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এর প্রচারণা চলছে এবং অনলাইনে জুয়া খেলতে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এই অ্যাপে এন্ট্রি নেওয়া এক জন জানালেন, অনলাইন জুয়া খেলে তিন দিনে আয় করেছেন ২৯ হাজার টাকা। তবে ছয় মাসে হারিয়েছেন ২ লাখ টাকা। এরকমভাবে অর্থ হারানোর প্রবণতাই বেশি। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনলাইন জুয়ার আসরে।

বিজ্ঞাপন প্রচারসহ অনলাইনে জুয়া/বেটিংয়ের ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন চিহ্নিত করা, এগুলোর কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়, তা নির্ণয় এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়। তানজিম রাফিদ নামে রাজধানীর এক বাসিন্দা ১৬ এপ্রিল রিটটি করেন।

আদালতের এই নির্দেশের পর গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন সাইবার সুরক্ষা আইনটি পাশ হবে বলে আশা করি। এই আইনে সাইবার স্পেসে জুয়া কিংবা অনলাইন জুয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন পাশ হওয়ার পর আমরা জুয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কোম্পানিকে শাস্তি দেওয়া এবং বেটিং সাইটগুলো নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেব ইনশা আল্লাহ।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ঢাকা ইপিজেডে বেশির ভাগ শিল্পের উৎপাদন ব্যাহত”

গ্যাস সরবরাহ বাবদ বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতাকে কেন্দ্র করে সাভারে অবস্থিত ঢাকা ইপিজেডে (ডিইপিজেড) গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিতরণ কোম্পানি তিতাসের কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে সেখানকার কারখানাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ইউনাইটেড গ্রুপের বিদ্যুৎ কেন্দ্র। গতকাল দুপুরের পর ঢাকা ইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সেখানকার রফতানিমুখী বেশির ভাগ শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে বেশির ভাগ কারখানাই ঠিকমতো উৎপাদনে যেতে পারেনি। ঢাকা ইপিজেড-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র বণিক বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ শিল্প-কারখানাগুলো পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ঢাকা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শরিফুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘তিতাস গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ইপিজেডে ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গতকাল দুপুরের পর থেকে অনেক কারখানা কোনো উৎপাদনে যেতে পারেনি। রাতে অনেক কারখানায় নাইট শিফট ছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এসব কারখানা তাদের কর্মীদের ছুটি দিয়েছে।’

ইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের জন্য কোনো চাপ দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় আমরা চাপে আছি। এটা রফতানিমুখী ইপিজেড, অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তবে গ্যাস সংযোগ পুনরায় দেয়া হবে এমন কোনো আশ্বাস আমরা এখনো পাইনি। বিষয়টি যদি রাতের মধ্যে সমাধান না হয়, তাহলে এখানকার বিদেশী কোম্পানিগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে। কর্মীদের নিয়েও অস্বস্তি তৈরি হবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের জন্য ভালো সমাধান”

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্ন করেছেন কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার উপস্থাপক। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে। আল জাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল জাজিরা’য় এ কথা বলেন ড. ইউনূস। রোববার ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ?’ শিরোনামে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা, সে প্রশ্নও করা হয়। জবাবে ড. ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীন তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে সর্বকালের সেরা নির্বাচন আয়োজন করবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে কিনা, তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে। উদাহরণ হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নও করা হয়। উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই থাকবে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে যে, আমরা বাংলাদেশে সর্বকালের সেরা নির্বাচন আয়োজন করবো। আমাদের এ ধরনের নির্বাচন হতে চলেছে।’ সাক্ষাৎকারে নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নির্বাচন জুনের পরে যাবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপস্থাপক প্রধান উপদেষ্টাকে এক প্রশ্নে বলেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পরের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে। কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে? অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর জবাবে বলেন, ‘দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।’ প্রফেসর ড. ইউনূসের কাছে ওই উপস্থাপক জানতে চেয়ে বলেন, আমি শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে চাই। স্পষ্টতই তিনি এখনো দাবি করেন যে, তিনি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তার উপস্থিতি কীভাবে দেখে ভারতের সরকার? জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, আমাদের বিমসটেকে (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমি কো-অপারেশন) একটি বৈঠক ছিল। যেখানে বিমসটেকভুক্ত সকল দেশের প্রধানরা ছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে ছিলেন। তার সঙ্গে আলাপ করেছি এবং স্পষ্ট করে বলেছি যে, ঠিক আছে- আপনারা যদি তাকে রাখতে চান তাহলে এ বিষয়টি এমন কিছু নয় যা আপনাদের সঙ্গে মীমাংসা করতে পারি। যেহেতু তিনি ভারতে আছেন তাই অবশ্যই তাকে চুপ থাকতে হবে। কেননা, তার কথা বলা আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। তিনি বাংলাদেশের ভেতরে মানুষকে উত্তেজিত করার জন্য কথা বলছেন, যাতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই কথার প্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদি কী বলেছেন জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, আমি যদি মূল বিষয়টি উল্লেখ করি- তিনি বলেছেন, ভারত এমন দেশ যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া সকলের জন্যই উন্মুক্ত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024