মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন

ভোটের ক্যালেন্ডার ঝুলছে,সংস্কারের খাতাও খালি!

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫, ৩.২১ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

  • বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন,সচিবালয়ের বহু কর্মকর্তা আগের পদ্ধতিতেই কায়েমি স্বার্থ টিকিয়ে রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন; ফলে কার্যত সেখানে “আওয়ামী লীগ এখন বিএনপি”।
    • উদাহরণ হিসেবে তিনি বিখ্যাত ‘বালিশ কেলেঙ্কারি’—একটি বালিশ কিনতে ২২,০০০ টাকা খরচ দেখানোর ঘটনা—তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন, এসব কর্মকর্তাকে বহাল রেখে কীভাবে সংস্কার আশা করা যায়।

আসন্ন নির্বাচনের অনিশ্চয়তা

• জুন মাসে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনের নিশ্চয়তা নেই বলে গয়েশ্বর রায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
• তাঁর দাবি—নানা ‘বাহানা’ দেখিয়ে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা চলছে; এমনটি হলে সরকারকে এর খেসারত দিতে হবে।
• তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ ভোটই বড় সংস্কার”—সংবিধান, আইন কিংবা সংগঠন সংস্কার যে কোনো সময় হতে পারে, কিন্তু সবার আগে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।

গণতন্ত্র ও চলমান সংস্কার বিতর্ক

• গয়েশ্বর রায় মনে করেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া”; দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরও এটি চলমান থাকবে।
• তিনি তথাকথিত ‘জ্ঞানপাপী’ বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে বলেন, গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখে দাঁড় করিয়ে তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।

ষড়যন্ত্র, মিডিয়া ও ‘নাটক’ প্রসঙ্গ

• তাঁর ভাষ্য—১৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “দুইশ থেকে আড়াইশ নাটক” সৃষ্টি করেছেন; দেশি-বিদেশি শক্তি এসবের পক্ষে ভূমিকা রেখেছে।
• বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বেশি হয়েছে, কারণ “বিএনপি নিয়ে কিছু বললে কিছুই হয় না”।
• গয়েশ্বরের মতে, সামাজিক মাধ্যম মোটামুটি স্বাধীন হলেও সংবাদপত্র মালিকানা-নির্ভর হওয়ায় সরকার নির্ভর থাকতে হয়।

সরকারের প্রতি প্রশ্ন ও অভিযোগ

• শেখ হাসিনা পূর্ব-পশ্চিম করিডর ছেড়ে দিয়েছেন—সরকার কি তা বাতিল করতে পেরেছে?
• যারা বিদেশে পালিয়েছে, তারা কি শাস্তি ছাড়া গেছে?
• জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তাদের সঙ্গে সংলাপ কেন?
• “সংস্কারের গান শুনিয়ে মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন”—এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

অন্যান্য বক্তার মতামত

• বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম (বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) বলেন, “বিএনপি সব সময় নির্বাচনের পথে হাঁটছে এবং গণতান্ত্রিক ধারা ধরে রেখেছে।”
• বক্তারা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ব্যর্থতার উদাহরণ টেনে সরকারকে সমালোচনা করেন।
• হেফাজতে ইসলামের মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ ২০১৩ সালের অভিযানের বিচার দাবি করেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছিল বলে তার ভাষ্য।

সভার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির বেপারী; সঞ্চালনা করেন প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী। বক্তাদের তালিকায় ছিলেন অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, এস. এম. মিজানুর রহমান, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, মো. হারুনুর রশিদ, মো. জহিরুল ইসলাম কলিম, এম. আহমেদ খান, মো. নবী হোসেন, শোয়েব কোরাইশী, মহিদুল ইসলাম মামুন ও শরীফুল ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024