সারাক্ষণ রিপোর্ট
২২ এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা দ্রুত বেড়েছে। ১০ মে জি৭‑ভুক্ত সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রতিনিধির যৌথ বিবৃতি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিল্লি‑ইসলামাবাদ‑এর কাছে “তাৎক্ষণিক উত্তেজনা নিরসন” ও সরাসরি সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।
জি৭‑এর বিবৃতি
কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সামরিক পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বড় হুমকি। তাঁরা দু‑দেশকেই “সর্বোচ্চ সংযম” দেখানোর অনুরোধ করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে দ্রুত অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সংঘাতের পটভূমি
৭ মে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে নিখুঁত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এই আক্রমণ ছিল ২২ এপ্রিলের পাহেলগাম হত্যাযজ্ঞের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। এর জেরে দু‑দেশের মধ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ক্রমেই বেড়েছে।
সামরিক পরিস্থিতি
- পাকিস্তানের পাল্টা ড্রোন হানা : ৯ মে রাত‑ভর ও ১০ মে ভোরে পাকিস্তান ২৬ টি স্থানে নতুন করে ড্রোন হামলা চালায়—জম্মু‑কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত।
- ভারতের প্রস্তুতি : ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় প্রতিটি ড্রোন সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে; সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
- পূর্ববর্তী আক্রমণ : এর আগের দিন পাকিস্তান ৩৬ টি অবস্থান লক্ষ্য করে ৩০০‑৪০০ টি সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করে; ভারত পাল্টা হামলায় চারটি এয়ার‑ডিফেন্স সাইট বিবিধ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, একটি সম্পূর্ণ ধ্বংসও হয়।
বেসামরিক নিরাপত্তা
জি-৭ বিবৃতিতে দু‑দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্কুল‑কলেজ বন্ধ, বহু বিমানবন্দর বন্ধ ও নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কূটনৈতিক পথ
জি-৭ দেশগুলো ঘোষণা করেছে যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থায়ী সমাধানে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা আস্থা রাখছে যে দিল্লি ও ইসলামাবাদ দ্রুত সংলাপে বসে শান্তিপূর্ণ ফলাফল নিশ্চিত করবে।
পরমাণু‑শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের সামরিক সংঘাত আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। জি-৭‑এর ঘোষণাটি উত্তেজনা প্রশমন ও আলোচনার টেবিলে ফেরার এক জরুরি আহ্বান হিসেবেই ধরা হচ্ছে।