০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে ডিআরসি-রুয়ান্ডা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি

পাহেলগাম হামলার পর জি৭:‘দ্রুত উত্তেজনা কমান,আলোচনায় বসুন’

  • Sarakhon Report
  • ০৩:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • 36

সারাক্ষণ রিপোর্ট

২২ এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা দ্রুত বেড়েছে। ১০ মে জি৭‑ভুক্ত সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রতিনিধির যৌথ বিবৃতি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিল্লি‑ইসলামাবাদ‑এর কাছে “তাৎক্ষণিক উত্তেজনা নিরসন” ও সরাসরি সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।

জি৭‑এর বিবৃতি

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সামরিক পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বড় হুমকি। তাঁরা দু‑দেশকেই “সর্বোচ্চ সংযম” দেখানোর অনুরোধ করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে দ্রুত অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সংঘাতের পটভূমি

৭ মে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে নিখুঁত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এই আক্রমণ ছিল ২২ এপ্রিলের পাহেলগাম হত্যাযজ্ঞের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। এর জেরে দু‑দেশের মধ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ক্রমেই বেড়েছে।

সামরিক পরিস্থিতি

  • পাকিস্তানের পাল্টা ড্রোন হানা : ৯ মে রাত‑ভর ও ১০ মে ভোরে পাকিস্তান ২৬ টি স্থানে নতুন করে ড্রোন হামলা চালায়—জম্মু‑কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত।
  • ভারতের প্রস্তুতি : ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় প্রতিটি ড্রোন সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে; সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
  • পূর্ববর্তী আক্রমণ : এর আগের দিন পাকিস্তান ৩৬ টি অবস্থান লক্ষ্য করে ৩০০‑৪০০ টি সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করে; ভারত পাল্টা হামলায় চারটি এয়ার‑ডিফেন্স সাইট বিবিধ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, একটি সম্পূর্ণ ধ্বংসও হয়।

বেসামরিক নিরাপত্তা

জি-৭ বিবৃতিতে দু‑দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্কুল‑কলেজ বন্ধ, বহু বিমানবন্দর বন্ধ ও নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কূটনৈতিক পথ

জি-৭ দেশগুলো ঘোষণা করেছে যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থায়ী সমাধানে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা আস্থা রাখছে যে দিল্লি ও ইসলামাবাদ দ্রুত সংলাপে বসে শান্তিপূর্ণ ফলাফল নিশ্চিত করবে।

পরমাণু‑শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের সামরিক সংঘাত আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। জি-৭‑এর ঘোষণাটি উত্তেজনা প্রশমন ও আলোচনার টেবিলে ফেরার এক জরুরি আহ্বান হিসেবেই ধরা হচ্ছে।

ডেমোক্র্যাটদের নীতির ব্যর্থতা যেভাবে মামদানিকে জয়ী করল

পাহেলগাম হামলার পর জি৭:‘দ্রুত উত্তেজনা কমান,আলোচনায় বসুন’

০৩:৩৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

২২ এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা দ্রুত বেড়েছে। ১০ মে জি৭‑ভুক্ত সাতটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র প্রতিনিধির যৌথ বিবৃতি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিল্লি‑ইসলামাবাদ‑এর কাছে “তাৎক্ষণিক উত্তেজনা নিরসন” ও সরাসরি সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।

জি৭‑এর বিবৃতি

কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সামরিক পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার বড় হুমকি। তাঁরা দু‑দেশকেই “সর্বোচ্চ সংযম” দেখানোর অনুরোধ করেছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে দ্রুত অগ্রগতির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

সংঘাতের পটভূমি

৭ মে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডে নিখুঁত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এই আক্রমণ ছিল ২২ এপ্রিলের পাহেলগাম হত্যাযজ্ঞের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। এর জেরে দু‑দেশের মধ্যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ক্রমেই বেড়েছে।

সামরিক পরিস্থিতি

  • পাকিস্তানের পাল্টা ড্রোন হানা : ৯ মে রাত‑ভর ও ১০ মে ভোরে পাকিস্তান ২৬ টি স্থানে নতুন করে ড্রোন হামলা চালায়—জম্মু‑কাশ্মীর থেকে গুজরাট পর্যন্ত।
  • ভারতের প্রস্তুতি : ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় প্রতিটি ড্রোন সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে; সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
  • পূর্ববর্তী আক্রমণ : এর আগের দিন পাকিস্তান ৩৬ টি অবস্থান লক্ষ্য করে ৩০০‑৪০০ টি সশস্ত্র ড্রোন নিক্ষেপ করে; ভারত পাল্টা হামলায় চারটি এয়ার‑ডিফেন্স সাইট বিবিধ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, একটি সম্পূর্ণ ধ্বংসও হয়।

বেসামরিক নিরাপত্তা

জি-৭ বিবৃতিতে দু‑দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্কুল‑কলেজ বন্ধ, বহু বিমানবন্দর বন্ধ ও নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কূটনৈতিক পথ

জি-৭ দেশগুলো ঘোষণা করেছে যে তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থায়ী সমাধানে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তারা আস্থা রাখছে যে দিল্লি ও ইসলামাবাদ দ্রুত সংলাপে বসে শান্তিপূর্ণ ফলাফল নিশ্চিত করবে।

পরমাণু‑শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের সামরিক সংঘাত আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। জি-৭‑এর ঘোষণাটি উত্তেজনা প্রশমন ও আলোচনার টেবিলে ফেরার এক জরুরি আহ্বান হিসেবেই ধরা হচ্ছে।