সারাক্ষণ রিপোর্ট
যুদ্ধবিরতির মূল ঘোষণা
আজ ১০ মে, ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে ভারত ও পাকিস্তান প্রতিটি সীমান্তে (স্থল, আকাশ ও সমুদ্র) সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছে। দুপুর ৩টা ৩৫‑এ পাকিস্তান ও ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও)‑এর সঙ্গে ফোনালাপ করে এই সমঝোতায় পৌঁছায়। দুপক্ষই মাঠের বাহিনীকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে যাতে ঘোষিত সময় মেনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
পরবর্তী সামরিক আলোচনা
দু দেশের ডিজিএমও‑দের মধ্যে আবারও বৈঠক হবে ১২ মে, দুপুর ১২টায়। সেখানে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল‑এ পোস্ট করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘরাতের মধ্যস্থতাকারী আলোচনার পর ভারত‑পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। ট্রাম্প দুই দেশের ‘সাধারণ বুদ্ধি ও দূরদর্শীতা’কে সাধুবাদ জানান।
উত্তেজনার পটভূমি: পাহালগাম হামলা
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন, অধিকাংশই পর্যটক, নিহত হন। এর পর দ্রুতই দু দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
অপারেশন সিন্দুর: নিখুঁত পাল্টা হামলা
পাহালগাম হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান‑অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট বায়ু ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। বুধবার রাতে ভারতীয় বিমানবাহিনী নয়টি গোপন আস্তানা ধ্বংসের খবর নিশ্চিত করেছে।
নিশানায় কোন ঘাঁটিগুলো
- জইশ‑ই‑মোহাম্মদের ঘাঁটি: বাহাওয়ালপুরের ‘মারকাজ সুবহান আল্লাহ’, কোটলির ‘মারকাজ আব্বাস’, ও মুজাফ্ফরাবাদের ‘সাইয়্যেদনা বিলাল’ শিবির
- লস্কর‑ই‑তৈবার ঘাঁটি: মুরিদকির ‘মারকাজ তৈবা’, বারনালার ‘মারকাজ আহলে হাদিস’, মুজাফ্ফরাবাদের ‘শাওয়াই নালা’ শিবির
- অন্যান্য: পিওকে‑র তেহরা কালানের ‘সারজাল’ ঘাঁটিও হামলার লক্ষ্য ছিল
সামনে কী
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে সীমান্তে সাধারণ নাগরিকদের স্বস্তি ফেরাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ১২ মের বৈঠকে টেকসই শান্তি‑প্রক্রিয়ার রূপরেখা নির্ধারণে দু পক্ষ আলোচনা করবে।