সারাক্ষণ রিপোর্ট
৭–১০ মে পর্যন্ত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ ভারতীয় বায়ুসেনা (আইএএফ) পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) সন্ত্রাসী ও সামরিক ঘাঁটিতে ধারাবাহিক আঘাত হানে। আইএএফ মাত্র ২৩ মিনিটে অভিযান শেষ করে—পাকিস্তানের চীনা-সরবরাহকৃত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জ্যাম করে ফেলে, ফলে শত্রুপক্ষের রাডার ও যোগাযোগ অচল হয়ে যায়।
কেন এই প্রতিক্রিয়া
২২ এপ্রিলে কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন (২৫ জন পর্যটক) নিহত হয়। এটাই ২৬/১১-র পর সবচেয়ে ভয়াবহ বেসামরিক হত্যাযজ্ঞ। এর জবাবেই দিল্লি ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায়।
আঘাতের কৌশল
- আইএএফ ও সেনাবাহিনী ইতিহাসভিত্তিক নয়টি সন্ত্রাসী শিবির চিহ্নিত করে
- বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও স্মার্ট মিউনিশন মিশ্রণে হামলা হয়
- প্রথম ঢেউয়ে অন্তত ১০০ সন্ত্রাসী নিহত
- ৯–১০ মে রাতে পাকিস্তানের ১৩ টি বিমানঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে দ্বিতীয় দফা ছোঁড়া হয়, যা ১৯৭১-এর পর পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ক্ষতি
ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী শিবির
মার্কাজ সুবহানাল্লাহ (বাহাওয়ালপুর), মার্কাজ তাইবা (মুরিদকে), মেহমূনা জোয়া (সিয়ালকোট), সাওয়াই নালা ও সৈয়দ না বিলাল (মুজাফ্ফরাবাদ), গুলপুর ও আব্বাস (কোটলি), বার্নালা (ভিম্বার) এবং সারজাল (আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে)। প্রথম দুই শিবিরে আঘাত হানে আইএএফ, বাকি সাতটিতে সেনাবাহিনী।
প্রযুক্তিগত সাফল্য
- দেশীয় দূরপাল্লার ড্রোন, লুইটারিং মিউনিশন ও গাইডেড বোমা ব্যবহৃত
- ফরাসি স্ক্যাল্প, হ্যামার, সুখোই-৩০ উৎক্ষেপিত ব্রহ্মোস ইত্যাদি স্ট্যান্ড-অফ অস্ত্র দিয়ে হামলা
- পাকিস্তানি কয়েকটি উন্নত যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়
অপ্রতিরোধ্য ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা
সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার সমন্বয়ে চারস্তরের প্রতিরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে—
- এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ
- বারাক-৮ মিডিয়াম-রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্র
- পেচোরা, স্পাইডার কিউআরএম, আপগ্রেডেড এল-৭০ ও জেডিইউ-২৩-২বি কামান
এই জাল শত্রুর একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করে।
পাকিস্তানের পাল্টা পদক্ষেপ ও যুদ্ধবিরতি
৯ মে হটলাইনে দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস কথা বলেন। ১০ মে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষ গুলি চালানো বন্ধে একমত হয়। তবে শনিবার ও সোমবার রাতে পাকিস্তানি ড্রোন ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে।
কূটনৈতিক-রাজনৈতিক বার্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদমপুর বিমানঘাঁটিতে বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে ভারতের লক্ষ্মণরেখা এখন পরিষ্কার। আবার হামলা হলে প্রতিক্রিয়া হবে চূড়ান্ত ও নির্ণায়ক। পাকিস্তানে সন্ত্রাসীর জন্য আর কোনো নিরাপদ আশ্রয় নেই।”
‘অপারেশন সিন্দুর’ দেখিয়েছে—ভারতের দ্রুত পরিকল্পনা, দেশীয় প্রযুক্তি ও সমন্বিত আকাশ প্রতিরক্ষা পাকিস্তানের চীনা প্রযুক্তিনির্ভর বেষ্টনীকে অকার্যকর করতে সক্ষম। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘নতুন স্বাভাবিক’ স্পষ্ট—প্রতিরোধ নয়, প্রত্যাঘাত।