০২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

বাংলাদেশী পন্য রফতানিতে নতুন বিধি নিষেধ দিলো ভারত

  • Sarakhon Report
  • ০৭:০০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • 77

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ভারত সরকার বাংলাদেশের পোশাক সে দেশে রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এখন থেকে এসব পোশাক কেবল কলকাতা ও মুম্বাই (নাভা শেভা) সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনতে হবে। নির্দিষ্ট বাণিজ্য ধারা নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বৃহত্তর দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক চালু থাকবে। কোন স্থল বন্দর দিয়ে রফতানি করা যাবে না। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

 ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জারিকৃত নোটিফিকেশন নম্বর ০৭/২০২৫–২৬ তাৎক্ষণিক কার্যকর হয়েছে এবং আইটিসি (এইচএস) ২০২২ সিডিউল ১–এর ‘জেনারেল নোটস রিগার্ডিং ইমপোর্ট পলিসি’–তে সংশোধন আনা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে ফল ও ফলঘ্রাণযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, বেকারি, চিপস, স্ন্যাকস ও কনফেকশনারি–সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পাশাপাশি তুলা ও তুলা সুতা বর্জ্য। এ সব পণ্য আর আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের কোনো স্থল শুল্ক স্টেশন বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, কিংবা পশ্চিমবঙ্গের চাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে আনা যাবে না। এতে সীমান্তপথে অনানুষ্ঠানিক বা স্বল্প পরিমাণ বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনুমোদিত পণ্য অধিক ত্রিপক্ষীয় নজরদারির পথ ধরে আসবে।


এ ছাড়া রঙ, ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্র্যানুল ছাড়া বাংলাদেশি প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুতসামগ্রী এবং কাঠের ফার্নিচারও একই বন্দর সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে ছাড়

মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথরভাঙা (ক্রাশড স্টোন) আমদানিতে কোনো নতুন বিধিনিষেধ নেই। আবার ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভূটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যও এই নিয়মের বাইরে, যা আঞ্চলিক ট্রানজিট বাণিজ্যে ব্যাঘাত এড়াতে নয়াদিল্লির সচেতন কৌশল নির্দেশ করে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রে ডিজিএফটির প্রধান অজয় ভাদু সই করেছেন। ভারতের পর্যবেক্ষক ও মিডিয়া জানাচ্ছে, ভারত তার বাণিজ্য নীতি–সরঞ্জাম থেকে আরও কিছু পদক্ষেপ শীঘ্রই নিতে পারে।

বাংলাদেশী পন্য রফতানিতে নতুন বিধি নিষেধ দিলো ভারত

০৭:০০:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ভারত সরকার বাংলাদেশের পোশাক সে দেশে রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এখন থেকে এসব পোশাক কেবল কলকাতা ও মুম্বাই (নাভা শেভা) সমুদ্রবন্দর দিয়ে আনতে হবে। নির্দিষ্ট বাণিজ্য ধারা নিয়ন্ত্রণ জোরদার করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বৃহত্তর দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক চালু থাকবে। কোন স্থল বন্দর দিয়ে রফতানি করা যাবে না। ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।

 ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) জারিকৃত নোটিফিকেশন নম্বর ০৭/২০২৫–২৬ তাৎক্ষণিক কার্যকর হয়েছে এবং আইটিসি (এইচএস) ২০২২ সিডিউল ১–এর ‘জেনারেল নোটস রিগার্ডিং ইমপোর্ট পলিসি’–তে সংশোধন আনা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে ফল ও ফলঘ্রাণযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, বেকারি, চিপস, স্ন্যাকস ও কনফেকশনারি–সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পাশাপাশি তুলা ও তুলা সুতা বর্জ্য। এ সব পণ্য আর আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের কোনো স্থল শুল্ক স্টেশন বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, কিংবা পশ্চিমবঙ্গের চাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী সীমান্ত দিয়ে আনা যাবে না। এতে সীমান্তপথে অনানুষ্ঠানিক বা স্বল্প পরিমাণ বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনুমোদিত পণ্য অধিক ত্রিপক্ষীয় নজরদারির পথ ধরে আসবে।


এ ছাড়া রঙ, ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্র্যানুল ছাড়া বাংলাদেশি প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুতসামগ্রী এবং কাঠের ফার্নিচারও একই বন্দর সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়েছে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে ছাড়

মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথরভাঙা (ক্রাশড স্টোন) আমদানিতে কোনো নতুন বিধিনিষেধ নেই। আবার ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভূটানে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যও এই নিয়মের বাইরে, যা আঞ্চলিক ট্রানজিট বাণিজ্যে ব্যাঘাত এড়াতে নয়াদিল্লির সচেতন কৌশল নির্দেশ করে।

ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রে ডিজিএফটির প্রধান অজয় ভাদু সই করেছেন। ভারতের পর্যবেক্ষক ও মিডিয়া জানাচ্ছে, ভারত তার বাণিজ্য নীতি–সরঞ্জাম থেকে আরও কিছু পদক্ষেপ শীঘ্রই নিতে পারে।