০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বহুদলীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে: নাহিদ

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৭)

হৈরব ও ভৈরব

‘করছ কি করছ কি, তর মাতা বিগরাইছেনি ভৈরব, চিল্লাস ক্যান?’

ভৈরবের চোখ থেকে আগুন ঠিকরে বের হয়, ‘ফিরান দিয়া বহেন, ফিরান দিয়া বহেন, দশখুশি বাজাই দ্যাহেন ক্যামনে, মাইনশের চামড়ার ছানিতে দ্যাহেন কেমুন বাজে…’

সরোষে সে বাঁশের কাচা চালায়।

প্রাণভয়ে ভীত হতচকিত গনিমিয়া খেতের ওপর গড়ান খেয়ে খেয়ে ততোক্ষণে বেশ খানিকটা দূরে সরে গিয়েছে, তার কানের ভেতরে তখন তুবড়িবাঁশির চিৎকার; দানবীয় উল্লাসে মূর্তিমান ভৈরব তখনো কাচার মাথায় আগুনের ফুলকি ছোটাচ্ছে।

গনিমিয়ার পিঠ নয়, পরিশ্রান্ত ভৈরব একসময় অবাক বিস্ময়ে দেখে এতোক্ষণ সে তার নিজের ঢাকের গায়েই সর্বশক্তি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে; চামড়ার দেয়াল আর ছানি ফেঁসে গেছে, চুরচুর হয়ে ছিটকে পড়েছে টনটনে আমকাঠ, বেঘোরে নিজের ঢাকটাকেই চুরমার করেছে এতোক্ষণ।

‘ল, তর কাচা ল,’ কলুবাড়ির বাঁশঝাড়ের দিকে সজোরে সেটাকে ছুড়ে দিয়ে ভৈরব বলে, ‘ধর, তর ছিট তরে ফিরায়া দিলাম,’ তারপর সে শুরু করে দৌড়; মাথার ভেতরের বিদ্যুৎচমকে এক একবার ঝলসে ওঠে কয়কীর্তন

গ্রাম, ঝলসে ওঠে ঋষিদাসদের জাফরিকাটা মুখ আর বর্শার ফলা, মশালের আলো।

ইছামতির পাড়ের মানুষগুলো এক একটা মাংসপিণ্ডমাত্র, আর কয়কীর্তনের মানুষজন পেয়েছে পদ্মার দুরন্ত স্বভাব; সে রীতিমতো রোমাঞ্চিত হয়।

১৯৭৮

জনপ্রিয় সংবাদ

রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৭)

১২:০০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

হৈরব ও ভৈরব

‘করছ কি করছ কি, তর মাতা বিগরাইছেনি ভৈরব, চিল্লাস ক্যান?’

ভৈরবের চোখ থেকে আগুন ঠিকরে বের হয়, ‘ফিরান দিয়া বহেন, ফিরান দিয়া বহেন, দশখুশি বাজাই দ্যাহেন ক্যামনে, মাইনশের চামড়ার ছানিতে দ্যাহেন কেমুন বাজে…’

সরোষে সে বাঁশের কাচা চালায়।

প্রাণভয়ে ভীত হতচকিত গনিমিয়া খেতের ওপর গড়ান খেয়ে খেয়ে ততোক্ষণে বেশ খানিকটা দূরে সরে গিয়েছে, তার কানের ভেতরে তখন তুবড়িবাঁশির চিৎকার; দানবীয় উল্লাসে মূর্তিমান ভৈরব তখনো কাচার মাথায় আগুনের ফুলকি ছোটাচ্ছে।

গনিমিয়ার পিঠ নয়, পরিশ্রান্ত ভৈরব একসময় অবাক বিস্ময়ে দেখে এতোক্ষণ সে তার নিজের ঢাকের গায়েই সর্বশক্তি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত হেনেছে; চামড়ার দেয়াল আর ছানি ফেঁসে গেছে, চুরচুর হয়ে ছিটকে পড়েছে টনটনে আমকাঠ, বেঘোরে নিজের ঢাকটাকেই চুরমার করেছে এতোক্ষণ।

‘ল, তর কাচা ল,’ কলুবাড়ির বাঁশঝাড়ের দিকে সজোরে সেটাকে ছুড়ে দিয়ে ভৈরব বলে, ‘ধর, তর ছিট তরে ফিরায়া দিলাম,’ তারপর সে শুরু করে দৌড়; মাথার ভেতরের বিদ্যুৎচমকে এক একবার ঝলসে ওঠে কয়কীর্তন

গ্রাম, ঝলসে ওঠে ঋষিদাসদের জাফরিকাটা মুখ আর বর্শার ফলা, মশালের আলো।

ইছামতির পাড়ের মানুষগুলো এক একটা মাংসপিণ্ডমাত্র, আর কয়কীর্তনের মানুষজন পেয়েছে পদ্মার দুরন্ত স্বভাব; সে রীতিমতো রোমাঞ্চিত হয়।

১৯৭৮