০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল তাপ থেরাপিতে রক্তচাপ কমানোর আশার আলো: নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল জাকার্তার মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: আতঙ্কে শহর, আহত ৫৫ জন গাজায় বর্জ্য সংকট: দূষণে ডুবে স্বাস্থ্য বিপর্যয় তানজানিয়ায় রক্তে রাঙানো দমন-পীড়ন: এক ভয়াবহ নতুন বাস্তবতা ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা একক জীবন: বৈশ্বিক এককতা বৃদ্ধির কারণ এবং প্রভাব স্ট্র্যাটেজিক অজ্ঞতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি মানসিক স্বাস্থ্য: আমেরিকার মডেল মোবাইল সংকট সেবার উত্থান ও পতন

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৫)

হৈরব ও ভৈরব

‘আমারেনি হে কামলা ঠাউরাইছে-‘ ভৈরব আহত গলায় বলে, ‘আমাগোর কুনো ইজ্জত নাই!’

‘ই-রে, কিনা ইজ্জতখান! আইছে একখান ইজ্জতের ব্যাপারী। কথা না বারায়া ঢাক লয়া ছুট’ দয়া হাসতে হাসতে বলে, ‘ডাকতররে খুশি করন চাই, নাহৈলে কইলাম দাদায় নতুন কইরা আবার খাঁথার ভেতরে গিয়া হানদাইবো!’

হাসতে হাসতে পেটে খিল লাগে দয়ার।

গনিমিয়া বলে, ‘গলাখান ভিজায়া লইবি নিকিরে ভৈরব?’

ভৈরব মাথা নাড়ে।

‘ভালো জিনিস-‘

‘অভ্যাস নাই!’

‘ঐসব লাগেনিরে বোদাই, চালাইলেই চলে। তগো দিয়া কিচ্ছু হইবো না, দুনিয়াই চিনলিনা অহনতরি!’

‘আপনেরাই চিনেন-

‘চিনতে তো হইবোই, না চিনলে চলবো?’

একটু একটু ক’রে জ্যোৎস্না ফুটছে। সার্ট খুলে গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগায় গনি মিয়া। কলুবাড়ির পুকুরের একটা পাড়ে রীতিমতো জঙ্গল, সেখানে বয়ড়াবাঁশের ঝাড়ে ঝিরঝির করে হাওয়া। তা বেশ, এইভাবেই যেন বাকি জীবনটা কেটে যায়; চোখ বন্ধ ক’রে মনে মনে নিজের ইচ্ছেমতো কিছু দৃশ্য দেখে নেয় গনি মিয়া। মেরেকেটে এইভাবেই নিজের ভালোটুকুর, আনন্দটুকুর, জোগানদারি ক’রে যেতে হবে জীবনভর, তা না হলে কে কাকে দেয়, কে কাকে সাধে, কার এতো মাথাব্যথা। ভাগ্যিশ, থলের ভেতর পুরে অর্ধেক বোতলখানা সে এনেছিল, তরতরে হাওয়ায় সারা দেহ এখন একটা নৌকোর মতো যেদিকে ইচ্ছে ভেসে যেতে চায়। তা বেশ, আরো একটু ঝুল কাটাকাটি খেলুক দয়া।

বড় মজার এ খেলা, সামনে কোনো একটা লোভ না থাকলে তার নিজেরই আজকাল রোজগারে মন বসে না; মনে হয় কি হবে এতোসব ক’রে, সব পণ্ডশ্রম, বেকার। জগতে এমন কিছু মেয়েমানুষ আছে বলেই ফুটফুটে জ্যোৎস্না সাবানের ফেনার মতো সারা গায়ে মেখে মাঠঘাটে ধপধপে হয়ে ব’সে থাকতে ইচ্ছে করে।

ভৈরব বলে, ‘আরো বাজামু?’

‘বাজা, তর ইচ্ছামতো চালায়া যা, আমারে কি জিগাছ, দেহছ না খুন হয়া রইছি।’

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-১৫)

১২:০০:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

হৈরব ও ভৈরব

‘আমারেনি হে কামলা ঠাউরাইছে-‘ ভৈরব আহত গলায় বলে, ‘আমাগোর কুনো ইজ্জত নাই!’

‘ই-রে, কিনা ইজ্জতখান! আইছে একখান ইজ্জতের ব্যাপারী। কথা না বারায়া ঢাক লয়া ছুট’ দয়া হাসতে হাসতে বলে, ‘ডাকতররে খুশি করন চাই, নাহৈলে কইলাম দাদায় নতুন কইরা আবার খাঁথার ভেতরে গিয়া হানদাইবো!’

হাসতে হাসতে পেটে খিল লাগে দয়ার।

গনিমিয়া বলে, ‘গলাখান ভিজায়া লইবি নিকিরে ভৈরব?’

ভৈরব মাথা নাড়ে।

‘ভালো জিনিস-‘

‘অভ্যাস নাই!’

‘ঐসব লাগেনিরে বোদাই, চালাইলেই চলে। তগো দিয়া কিচ্ছু হইবো না, দুনিয়াই চিনলিনা অহনতরি!’

‘আপনেরাই চিনেন-

‘চিনতে তো হইবোই, না চিনলে চলবো?’

একটু একটু ক’রে জ্যোৎস্না ফুটছে। সার্ট খুলে গায়ে ফুরফুরে হাওয়া লাগায় গনি মিয়া। কলুবাড়ির পুকুরের একটা পাড়ে রীতিমতো জঙ্গল, সেখানে বয়ড়াবাঁশের ঝাড়ে ঝিরঝির করে হাওয়া। তা বেশ, এইভাবেই যেন বাকি জীবনটা কেটে যায়; চোখ বন্ধ ক’রে মনে মনে নিজের ইচ্ছেমতো কিছু দৃশ্য দেখে নেয় গনি মিয়া। মেরেকেটে এইভাবেই নিজের ভালোটুকুর, আনন্দটুকুর, জোগানদারি ক’রে যেতে হবে জীবনভর, তা না হলে কে কাকে দেয়, কে কাকে সাধে, কার এতো মাথাব্যথা। ভাগ্যিশ, থলের ভেতর পুরে অর্ধেক বোতলখানা সে এনেছিল, তরতরে হাওয়ায় সারা দেহ এখন একটা নৌকোর মতো যেদিকে ইচ্ছে ভেসে যেতে চায়। তা বেশ, আরো একটু ঝুল কাটাকাটি খেলুক দয়া।

বড় মজার এ খেলা, সামনে কোনো একটা লোভ না থাকলে তার নিজেরই আজকাল রোজগারে মন বসে না; মনে হয় কি হবে এতোসব ক’রে, সব পণ্ডশ্রম, বেকার। জগতে এমন কিছু মেয়েমানুষ আছে বলেই ফুটফুটে জ্যোৎস্না সাবানের ফেনার মতো সারা গায়ে মেখে মাঠঘাটে ধপধপে হয়ে ব’সে থাকতে ইচ্ছে করে।

ভৈরব বলে, ‘আরো বাজামু?’

‘বাজা, তর ইচ্ছামতো চালায়া যা, আমারে কি জিগাছ, দেহছ না খুন হয়া রইছি।’