সঙ্ঘারামের কর্তৃপক্ষ হিউএনচাঙকে সাদরে গ্রহণ করলেন। তাঁদের মধ্যে চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সাত যোজন দূর থেকে হিউএনচাঙকে অভ্যর্থনা করে নিয়ে এলেন। সঙ্ঘারামের কাছে যে বাড়ীতে মৌদগ-ল্যায়ন জন্মেছিলেন বলে প্রসিদ্ধি ছিল সেখানে তিনি একটু বিশ্রাম ও জলযোগ করলেন।
তার পর সেখান থেকে দুইশত ভিক্ষু ও কয়েক সহস্র গৃহস্থ তাঁকে ঘিরে পতাকা, ফুল ও গন্ধদ্রব্য হাতে নিয়ে তাঁর গুণ-গান করতে করতে তাঁকে নালন্দায় প্রবেশ করালেন। সেখানে অন্য সকলে এসে কুশলপ্রশ্নাদি করে তাঁকে স্থবিরের পাশে বসালেন। অন্যরাও বসলেন।
তখন আদেশ পেয়ে, ‘কর্মদান’ (ম্যানেজার) ঘণ্টা বাজিয়ে ঘোষণা করলেন- ‘ধর্মগুরু (হিউএনচাঙ) যতদিন সঙ্ঘারামে থাকবেন, সাধুদের রন্ধনপাত্র ও অন্য সামগ্রী অন্য সকলের মত তাঁরও ব্যবহার করবার ক্ষমতা থাকল।’
তার পর কুড়ি জন সম্ভ্রান্ত অধ্যাপককে বলা হল, ‘এ’কে ধর্মরত্বের কাছে নিয়ে যান।’ শীলভদ্রের প্রতি ভক্তি করে তাঁকে নাম ধরে না ডেকে ‘ধর্মরত্ন’ বলা হত।
(চলবে)