১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮) রাশিয়া, চীন ও ইরানের মাঝের অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাবর্তন দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান নরওয়ের বড়দিনে বিতর্কিত খাবার লুটেফিস্কের প্রত্যাবর্তন, ঐতিহ্যেই ফিরছে স্বাদ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৫) নিউজিল্যান্ডে গ্যাং প্রতীক নিষিদ্ধ: রাস্তায় শান্তি, কিন্তু অপরাধ কি সত্যিই কমল সৌদিতে বিরল তুষারপাতের পর প্রশ্ন: সংযুক্ত আরব আমিরাতেও কি আবার তুষারপাত সম্ভব? যে রিকশায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি, সেই চালকের আদালতে জবানবন্দি তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্বদেশ রায়

ঘুটঘুটে অন্ধকার মাঝে মাঝে নামে কালিন্দির বুকে
তখন নদীর জলের স্রোতেরা কালনাগিনী হয়—
তাদের নিঃশ্বাসে নামে বিষ।
চাঁদ চলে যায় আকাশের অনেক অনেক অন্ধকারের গভীরে
শুকতারা ওঠে কিনা তাও দেখতে পায় না কেউ!
কালিন্দির বুকের এ রাত, নিয়তি নয়, সত্য নয়, এ পৃথিবীর
আরেক কালো গরল, হয়তো মাঝে মাঝে উঠে
আসে পৃথিবীর আপন গহবর থেকে।

মানুষেরা এমন অন্ধকার পার হয়েছে বহুবার
সেই বরফ যুগ থেকে—
দেখেছে কালিন্দির স্রোতের মতো—
এক ঝাঁক মানুষের মত লোমশ জীব, নিঃশ্বাসও বিষাক্ত—
সে নিঃশ্বাসে শুধু মানুষ নয়, শেষ হয়ে যায়
পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে যে তৃণ সেও।

তবুও মানুষ জানে ঘুটঘুটে অন্ধকারে
কালিন্দির বুক থেকে উঠে আসা ওইসব লোমশ দেহ
মানুষ নয়, পিশাচ নয়— নয় সামান্য ঘৃণ্য কীট, বরং অন্যকিছু।
এদের বিনাশ লেখা থাকে নিজ নিজ শরীরের গহবরে
সেই সব শরীর পঁচে কোথায় চলে যায়
জানে না পৃথিবী।
পৃথিবী শুধু দেখতে পায়—
আবার চাঁদ এসেছে
পাগলী মেয়ের চপল পায়ে
দৃঢ় আলো আর উজ্জ্বল আশায়—
তখন পাখিরা আবার জেগে ওঠে নীড়ে
ঠোঁট রাখে একে অপরের ঠোঁটে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৭৮)

স্রোতেরা কালনাগিনী

১১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্বদেশ রায়

ঘুটঘুটে অন্ধকার মাঝে মাঝে নামে কালিন্দির বুকে
তখন নদীর জলের স্রোতেরা কালনাগিনী হয়—
তাদের নিঃশ্বাসে নামে বিষ।
চাঁদ চলে যায় আকাশের অনেক অনেক অন্ধকারের গভীরে
শুকতারা ওঠে কিনা তাও দেখতে পায় না কেউ!
কালিন্দির বুকের এ রাত, নিয়তি নয়, সত্য নয়, এ পৃথিবীর
আরেক কালো গরল, হয়তো মাঝে মাঝে উঠে
আসে পৃথিবীর আপন গহবর থেকে।

মানুষেরা এমন অন্ধকার পার হয়েছে বহুবার
সেই বরফ যুগ থেকে—
দেখেছে কালিন্দির স্রোতের মতো—
এক ঝাঁক মানুষের মত লোমশ জীব, নিঃশ্বাসও বিষাক্ত—
সে নিঃশ্বাসে শুধু মানুষ নয়, শেষ হয়ে যায়
পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে যে তৃণ সেও।

তবুও মানুষ জানে ঘুটঘুটে অন্ধকারে
কালিন্দির বুক থেকে উঠে আসা ওইসব লোমশ দেহ
মানুষ নয়, পিশাচ নয়— নয় সামান্য ঘৃণ্য কীট, বরং অন্যকিছু।
এদের বিনাশ লেখা থাকে নিজ নিজ শরীরের গহবরে
সেই সব শরীর পঁচে কোথায় চলে যায়
জানে না পৃথিবী।
পৃথিবী শুধু দেখতে পায়—
আবার চাঁদ এসেছে
পাগলী মেয়ের চপল পায়ে
দৃঢ় আলো আর উজ্জ্বল আশায়—
তখন পাখিরা আবার জেগে ওঠে নীড়ে
ঠোঁট রাখে একে অপরের ঠোঁটে।