০৫:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডের ৯ রানে জয়; ওয়েস্ট ইনডিজকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল কিউইরা নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল তুরস্ক নাটোরে পুলিশের হাত থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিল জনতা বেতন কাঠামো উন্নয়ন ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রাজশাহীতে তাপমাত্রা নেমে ১৬.৫ ডিগ্রিতে: শীতের আগমনী বার্তা মোহাম্মদপুরে গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি যানবাহন শীতের আরাম নিশ্চিত করুন: বাংলাদেশে কোন গিজারগুলো সেরা ঢাকা-খুলনাসহ ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ ব্যাংকঅ্যাশিওরেন্স: শোকাহত পরিবারের পাশে দ্রুত সহায়তা

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্বদেশ রায়

ঘুটঘুটে অন্ধকার মাঝে মাঝে নামে কালিন্দির বুকে
তখন নদীর জলের স্রোতেরা কালনাগিনী হয়—
তাদের নিঃশ্বাসে নামে বিষ।
চাঁদ চলে যায় আকাশের অনেক অনেক অন্ধকারের গভীরে
শুকতারা ওঠে কিনা তাও দেখতে পায় না কেউ!
কালিন্দির বুকের এ রাত, নিয়তি নয়, সত্য নয়, এ পৃথিবীর
আরেক কালো গরল, হয়তো মাঝে মাঝে উঠে
আসে পৃথিবীর আপন গহবর থেকে।

মানুষেরা এমন অন্ধকার পার হয়েছে বহুবার
সেই বরফ যুগ থেকে—
দেখেছে কালিন্দির স্রোতের মতো—
এক ঝাঁক মানুষের মত লোমশ জীব, নিঃশ্বাসও বিষাক্ত—
সে নিঃশ্বাসে শুধু মানুষ নয়, শেষ হয়ে যায়
পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে যে তৃণ সেও।

তবুও মানুষ জানে ঘুটঘুটে অন্ধকারে
কালিন্দির বুক থেকে উঠে আসা ওইসব লোমশ দেহ
মানুষ নয়, পিশাচ নয়— নয় সামান্য ঘৃণ্য কীট, বরং অন্যকিছু।
এদের বিনাশ লেখা থাকে নিজ নিজ শরীরের গহবরে
সেই সব শরীর পঁচে কোথায় চলে যায়
জানে না পৃথিবী।
পৃথিবী শুধু দেখতে পায়—
আবার চাঁদ এসেছে
পাগলী মেয়ের চপল পায়ে
দৃঢ় আলো আর উজ্জ্বল আশায়—
তখন পাখিরা আবার জেগে ওঠে নীড়ে
ঠোঁট রাখে একে অপরের ঠোঁটে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনার পরিবর্তে কেন শিক্ষকদের ওপর সহিংসতা — প্রশ্ন জিএম কাদেরের

স্রোতেরা কালনাগিনী

১১:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

স্রোতেরা কালনাগিনী

স্বদেশ রায়

ঘুটঘুটে অন্ধকার মাঝে মাঝে নামে কালিন্দির বুকে
তখন নদীর জলের স্রোতেরা কালনাগিনী হয়—
তাদের নিঃশ্বাসে নামে বিষ।
চাঁদ চলে যায় আকাশের অনেক অনেক অন্ধকারের গভীরে
শুকতারা ওঠে কিনা তাও দেখতে পায় না কেউ!
কালিন্দির বুকের এ রাত, নিয়তি নয়, সত্য নয়, এ পৃথিবীর
আরেক কালো গরল, হয়তো মাঝে মাঝে উঠে
আসে পৃথিবীর আপন গহবর থেকে।

মানুষেরা এমন অন্ধকার পার হয়েছে বহুবার
সেই বরফ যুগ থেকে—
দেখেছে কালিন্দির স্রোতের মতো—
এক ঝাঁক মানুষের মত লোমশ জীব, নিঃশ্বাসও বিষাক্ত—
সে নিঃশ্বাসে শুধু মানুষ নয়, শেষ হয়ে যায়
পৃথিবীকে আচ্ছাদিত করে রাখে যে তৃণ সেও।

তবুও মানুষ জানে ঘুটঘুটে অন্ধকারে
কালিন্দির বুক থেকে উঠে আসা ওইসব লোমশ দেহ
মানুষ নয়, পিশাচ নয়— নয় সামান্য ঘৃণ্য কীট, বরং অন্যকিছু।
এদের বিনাশ লেখা থাকে নিজ নিজ শরীরের গহবরে
সেই সব শরীর পঁচে কোথায় চলে যায়
জানে না পৃথিবী।
পৃথিবী শুধু দেখতে পায়—
আবার চাঁদ এসেছে
পাগলী মেয়ের চপল পায়ে
দৃঢ় আলো আর উজ্জ্বল আশায়—
তখন পাখিরা আবার জেগে ওঠে নীড়ে
ঠোঁট রাখে একে অপরের ঠোঁটে।