১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

আন্দোলনে অনড় সচিবালয়ের কর্মচারীরা, কাল নতুন কর্মসূচি

সমকালের একটি শিরোনাম “প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি”

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। রোববার চার দিনের সফরে গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ ঢাকা পৌঁছান।

প্রায় এক যুগ ধরে গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অর ইনভলেন্টারি ডিসাপিয়ারেন্স– ডব্লিউজিইআইডি। ২০১৩ সালের ১২ মার্চ সফরের জন্য প্রথম চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর একাধিকবার অনুরোধ করলেও রাখা হয়নি। ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল শেষবার সফরের অনুমতি চেয়েছিল ডব্লিউজিইআইডি। কিন্তু দেয়নি তৎকালীন সরকার।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানালে সাড়া দেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলো গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ। ১৮ জুন প্রতিনিধি দলের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা যায়, সফরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র সচিব, গুম কমিশনের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া নীতিবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেবেন দুই সদস্য।

ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, প্রতিনিধি দল এবার গুমের ঘটনা তদন্ত করবে না। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তার ভিত্তিতে সুপারিশ করবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আন্দোলনে অনড় সচিবালয়ের কর্মচারীরা, কাল নতুন কর্মসূচি”

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তাঁরা।

বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাদামতলায় জড়ো হবেন কর্মচারীরা। গণজমায়েতের পর স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তারপর ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের অর্ডিন্যান্সের অনুরূপ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং হাস্যকর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের লক্ষ্যে ঈদপরবর্তী গণজমায়েতে অংশ নিন।

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকে এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তাঁরা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “অর্থ পাচারের ২শ’র বেশি অভিযোগ অনুসন্ধানে”

দেশে অবৈধভাবে আয়ের একটা বড় অংশ বিদেশে পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ছিল। কিন্তু কোনো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিতে সাহস করতো না। অবশ্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বর্তমানে অন্তত দুই শতাধিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। দুদক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচারের। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭৪টি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন ছিল। অনুসন্ধান শেষে ৫টি মামলা করা হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ৩৬টি অভিযোগ অনুসন্ধান করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এখন মোট ২০৫টি অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে শিগগিরই এসব অভিযোগের মামলা দেয়া সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলা অনেক জটিল প্রক্রিয়া। চাইলেই মামলা দেয়া যায় না। আইনের বিষয়টি মাথায় রেখেই অনুসন্ধান চলছে। সে অনুযায়ী মামলা হবে।

সূত্র বলছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় আছেন- সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাত, সাবেক এমডি এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম, পরিচালক ফারহানা মোনেম ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ ছাড়া, ৩টি চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় আছেন- অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান, ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ক্ষত তৈরি করেছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও অটোপাস”

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটোপাস দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। আর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জুলাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হওয়া ২০২৪ সালের এইচএসসির পরীক্ষাগুলোয় অটোপাস দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী। শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো ঘটনা শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একটা ভালো ভিত্তি গড়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। করোনাকালে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্তের কারণে এ জায়গাটিতে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ক্লাসে যখন শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি তখন অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখতে পাই, তারা এমন অনেক বিষয় বুঝতে পারছেন না যেটি তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই শিখে আসার কথা। এছাড়া আগের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে অমনোযোগিতার হারও বেশি।’

বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিকল্প পদ্ধতি ভাবলেও কোনো বোর্ড পরীক্ষায় ছাড় দেয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন এ শিক্ষাবীদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কখনো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে। কিন্তু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস বা সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্ত কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেশের জন্যও ক্ষতিকর।’

আন্দোলনে অনড় সচিবালয়ের কর্মচারীরা, কাল নতুন কর্মসূচি

০৯:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “প্রথমবার ঢাকায় জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কমিটি”

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য বাংলাদেশে এসেছেন। রোববার চার দিনের সফরে গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ ঢাকা পৌঁছান।

প্রায় এক যুগ ধরে গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশ সফরের অনুরোধ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অর ইনভলেন্টারি ডিসাপিয়ারেন্স– ডব্লিউজিইআইডি। ২০১৩ সালের ১২ মার্চ সফরের জন্য প্রথম চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর একাধিকবার অনুরোধ করলেও রাখা হয়নি। ২০২০ সালের ২৪ এপ্রিল শেষবার সফরের অনুমতি চেয়েছিল ডব্লিউজিইআইডি। কিন্তু দেয়নি তৎকালীন সরকার।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। এর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানালে সাড়া দেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এলো গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ। ১৮ জুন প্রতিনিধি দলের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা যায়, সফরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র সচিব, গুম কমিশনের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল। এ ছাড়া নীতিবিষয়ক আলোচনায় অংশ নেবেন দুই সদস্য।

ঢাকায় জাতিসংঘ কার্যালয়ের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, প্রতিনিধি দল এবার গুমের ঘটনা তদন্ত করবে না। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তার ভিত্তিতে সুপারিশ করবে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আন্দোলনে অনড় সচিবালয়ের কর্মচারীরা, কাল নতুন কর্মসূচি”

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সোমবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে গণজমায়েত করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তাঁরা।

বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম আজ রোববার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাদামতলায় জড়ো হবেন কর্মচারীরা। গণজমায়েতের পর স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তারপর ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের অর্ডিন্যান্সের অনুরূপ অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং হাস্যকর সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের লক্ষ্যে ঈদপরবর্তী গণজমায়েতে অংশ নিন।

চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তার আগ থেকে এই অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তাঁরা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “অর্থ পাচারের ২শ’র বেশি অভিযোগ অনুসন্ধানে”

দেশে অবৈধভাবে আয়ের একটা বড় অংশ বিদেশে পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ছিল। কিন্তু কোনো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নিতে সাহস করতো না। অবশ্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বর্তমানে অন্তত দুই শতাধিক অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। দুদক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে অর্থ পাচারের। অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭৪টি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন ছিল। অনুসন্ধান শেষে ৫টি মামলা করা হয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে ৩৬টি অভিযোগ অনুসন্ধান করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এখন মোট ২০৫টি অভিযোগের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে শিগগিরই এসব অভিযোগের মামলা দেয়া সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত মামলা অনেক জটিল প্রক্রিয়া। চাইলেই মামলা দেয়া যায় না। আইনের বিষয়টি মাথায় রেখেই অনুসন্ধান চলছে। সে অনুযায়ী মামলা হবে।

সূত্র বলছে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে অর্থ পাচার সংক্রান্ত ৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় আছেন- সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাত, সাবেক এমডি এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম, পরিচালক ফারহানা মোনেম ও বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ ছাড়া, ৩টি চার্জশিটে অভিযুক্তের তালিকায় আছেন- অ্যাপল গ্লোবালটেল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মজুমদার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অভিউর রহমান খান, ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল মির্জা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ক্ষত তৈরি করেছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও অটোপাস”

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে ২০২০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অটোপাস দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। আর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জুলাই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থগিত হওয়া ২০২৪ সালের এইচএসসির পরীক্ষাগুলোয় অটোপাস দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী। শিক্ষক, অভিভাবকসহ শিক্ষার নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২০ সালের পর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো ঘটনা শিক্ষার মানে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার বিষয়বস্তু ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একটা ভালো ভিত্তি গড়ে ওঠা অত্যন্ত জরুরি। করোনাকালে অটোপাস, সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্তের কারণে এ জায়গাটিতে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ক্লাসে যখন শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছি তখন অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখতে পাই, তারা এমন অনেক বিষয় বুঝতে পারছেন না যেটি তাদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেই শিখে আসার কথা। এছাড়া আগের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে অমনোযোগিতার হারও বেশি।’

বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিকল্প পদ্ধতি ভাবলেও কোনো বোর্ড পরীক্ষায় ছাড় দেয়া ঠিক নয় বলে মনে করেন এ শিক্ষাবীদ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কখনো বিরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে। কিন্তু মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অটোপাস বা সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণের মতো সিদ্ধান্ত কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেশের জন্যও ক্ষতিকর।’