১২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল তাপ থেরাপিতে রক্তচাপ কমানোর আশার আলো: নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল জাকার্তার মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: আতঙ্কে শহর, আহত ৫৫ জন গাজায় বর্জ্য সংকট: দূষণে ডুবে স্বাস্থ্য বিপর্যয় তানজানিয়ায় রক্তে রাঙানো দমন-পীড়ন: এক ভয়াবহ নতুন বাস্তবতা ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা একক জীবন: বৈশ্বিক এককতা বৃদ্ধির কারণ এবং প্রভাব স্ট্র্যাটেজিক অজ্ঞতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি মানসিক স্বাস্থ্য: আমেরিকার মডেল মোবাইল সংকট সেবার উত্থান ও পতন ইন্দোনেশিয়ার আর্থিক অবস্থা: বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিমানবন্দরের দিকে চলে যাচ্ছে

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭১)

অষ্টম পরিচ্ছেদ

রোদে-পোড়া বালির পাড় নেমে এসে মিশে গেছে জলে। নদীর অগভীর জায়গাগুলোয় ঢেউ খেলছে অল্প-অল্প আর ঝলমল করছে রোদ্দুরে। নদীটার ওপারে আমাদের বাহিনীর কিন্তু কোনো চিহ্ন ছিল না।

ভেবেচিন্তে চুবুক বললেন, ‘ওরা লিচ্চয় আরও এগিয়ে গ্যাচে। যাক, তাইতে কিছু আসে-যায় না। এখেন থেকে অল্প দূরেই আমাদের একটা ফৌজী-বেড়াজাল থাকার কথা। আর আমাদের বাহিনীরে ওইখেনে গিয়ে থামতে হবেই।’

‘আচ্ছা, চুবুক, একটা ডুব দিয়ে নিলে কেমন হয়?’ আমি প্রস্তাব করলুম। ‘চট করে চান করে নিই? জলটা দেখুন কী চমৎকার আর কেমন গরম।’

‘চানের পক্ষে জায়গাটা কিন্তু ভালো না। বড্ড খোলামেলা চারিদিক।’

‘তাতে কী হয়েছে?’

‘তাইতে কী হয়েচে, মানে? খালি গায়ে ন্যাংটো নোক কি আর সেপাই থাকে? একটা লাঠি দিয়েই ন্যাংটো একজনেরে ঘায়েল করা চলে। কিংবা ধর, মাত্তর একজনা

কসাক ঘোড়ায় চেপে এসি তোমার রাইফেলটা লিয়ে লিতে পারে। তখন কোথা থাকবে তুমি শুনি? জান তো, খোপিওরে একবার এই কাণ্ড হইছিল। আমাদের মতো দুটা নোক নয়, চল্লিশ-জনার গোটা একটা বাহিনী নদীতে চান করতি নেবেছিল। আর মাত্তর পাঁচজনা কসাক এসি ঝাঁপ খেয়ে পড়ল। নদীর মধ্যি গুলি ছুড়তে লাগল তারা। আতঙ্ক কারে কয় সে যদি দেখতে একবার!

কিছু নোক সেইখেনেই গুলি খেয়ে মারা পড়ল, আর কিছু সাঁতরে নদী পার হয়ে পালাল। তারপর ন্যাংটো হয়ে বনে বনে ঘুরি বেড়াতে নাগল তারা। চারিদিকের গেরামগুলো ছিল সম্পন্ন, বেশির ভাগ গাঁয়ে ছিল কুলাকদের বাস। কাজেই কোনো গেরামে ঢং-মারার উপায় ছিল না। ন্যাংটো নোক দেখলিই ধরা যেত সে বলশেভিক।’

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল

রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭১)

০৮:০০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

অষ্টম পরিচ্ছেদ

রোদে-পোড়া বালির পাড় নেমে এসে মিশে গেছে জলে। নদীর অগভীর জায়গাগুলোয় ঢেউ খেলছে অল্প-অল্প আর ঝলমল করছে রোদ্দুরে। নদীটার ওপারে আমাদের বাহিনীর কিন্তু কোনো চিহ্ন ছিল না।

ভেবেচিন্তে চুবুক বললেন, ‘ওরা লিচ্চয় আরও এগিয়ে গ্যাচে। যাক, তাইতে কিছু আসে-যায় না। এখেন থেকে অল্প দূরেই আমাদের একটা ফৌজী-বেড়াজাল থাকার কথা। আর আমাদের বাহিনীরে ওইখেনে গিয়ে থামতে হবেই।’

‘আচ্ছা, চুবুক, একটা ডুব দিয়ে নিলে কেমন হয়?’ আমি প্রস্তাব করলুম। ‘চট করে চান করে নিই? জলটা দেখুন কী চমৎকার আর কেমন গরম।’

‘চানের পক্ষে জায়গাটা কিন্তু ভালো না। বড্ড খোলামেলা চারিদিক।’

‘তাতে কী হয়েছে?’

‘তাইতে কী হয়েচে, মানে? খালি গায়ে ন্যাংটো নোক কি আর সেপাই থাকে? একটা লাঠি দিয়েই ন্যাংটো একজনেরে ঘায়েল করা চলে। কিংবা ধর, মাত্তর একজনা

কসাক ঘোড়ায় চেপে এসি তোমার রাইফেলটা লিয়ে লিতে পারে। তখন কোথা থাকবে তুমি শুনি? জান তো, খোপিওরে একবার এই কাণ্ড হইছিল। আমাদের মতো দুটা নোক নয়, চল্লিশ-জনার গোটা একটা বাহিনী নদীতে চান করতি নেবেছিল। আর মাত্তর পাঁচজনা কসাক এসি ঝাঁপ খেয়ে পড়ল। নদীর মধ্যি গুলি ছুড়তে লাগল তারা। আতঙ্ক কারে কয় সে যদি দেখতে একবার!

কিছু নোক সেইখেনেই গুলি খেয়ে মারা পড়ল, আর কিছু সাঁতরে নদী পার হয়ে পালাল। তারপর ন্যাংটো হয়ে বনে বনে ঘুরি বেড়াতে নাগল তারা। চারিদিকের গেরামগুলো ছিল সম্পন্ন, বেশির ভাগ গাঁয়ে ছিল কুলাকদের বাস। কাজেই কোনো গেরামে ঢং-মারার উপায় ছিল না। ন্যাংটো নোক দেখলিই ধরা যেত সে বলশেভিক।’