১২:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত মার্ক উড আশ্বাস দিলেন, অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার কটাক্ষ সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ড দল তাপ থেরাপিতে রক্তচাপ কমানোর আশার আলো: নতুন গবেষণায় চমকপ্রদ ফলাফল জাকার্তার মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: আতঙ্কে শহর, আহত ৫৫ জন গাজায় বর্জ্য সংকট: দূষণে ডুবে স্বাস্থ্য বিপর্যয় তানজানিয়ায় রক্তে রাঙানো দমন-পীড়ন: এক ভয়াবহ নতুন বাস্তবতা ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা একক জীবন: বৈশ্বিক এককতা বৃদ্ধির কারণ এবং প্রভাব স্ট্র্যাটেজিক অজ্ঞতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি মানসিক স্বাস্থ্য: আমেরিকার মডেল মোবাইল সংকট সেবার উত্থান ও পতন

বনের গল্প

বন বড়ই চঞ্চলা
বৃষ্টি নামলে সে পাখিদের ডানাকে ঢেকে
রাখার জন্যে সব পাতা মেলে ধরে না।
অনেক পাখি ভিজে চুপসে যায়
আবার বৃষ্টিতে মাতোয়ারা হয় ঘাসের বুকে
পায়ে চলা, জলে সাঁতার কাটা পাখিরা।

বনে মাঝে মাঝে আগুন লাগে
সে কবে থেকে তার হিসেব নেই –
সেই দাবানলে ভালুক নিজের ছানা হারিয়ে ফেলে
বাঘের ছানা বুকে নিয়েই চমকে ওঠে।
তারপরে ভালুক কী করে – তা রুদ্রের ভয়ংকরে দেখা যায় না।
বাঘের ছানা কখনও কখনও বেঁচে যায়
ভালুকের বুকের সাহায্য পেয়ে।

আবার নিস্তরঙ্গ বনে বুনো ঝড় এলে
কখনও কখনও সিংহ, বাঘ অচ্যুত হয়ে ওঠে।
সিংহ গোপন পাহাড়ের চূড়ায় আশ্রয় নেয় –
বাঘেরা উঁচু কোন গাছের পাতার নিচে
চুপটি করে থাকে।
তখন বনের সকল দুর্বল প্রাণী খাবারের অধিকার
পায় হায়েনা ও শিয়ালেরা।
তারা একের পর এক মাংস জড়ো করে-
সিংহ দূর পাহাড় থেকে “সিংহনিরীক্ষণে” নিশ্চল
দৃষ্টি ফেলে আর দেখে –
বনে যতই রাত নামে ততই
হায়েনা আর শিয়ালেরা মাংস নিয়ে
অশ্লীল, কুৎসিত দাঁত বের করে
একে অপরকে ধাওয়া করতে থাকে।

বনের সাত রঙা পাখিটি ভোর হলে
ওদের রক্তাক্ত দাঁত আর লোভের চিৎকার
শুনে কেঁদে ওঠে –
বলে আহা, বনটা গেল –
সাত রঙা পাখি তার স্মৃতিতে ফিরে
যায় – মনে পড়ে সিংহের গর্জনে কেঁপে উঠত বন
অথচ কী নীরব ছিল তার প্রয়োজনীয় খাদ্যটুকু খাওয়া!

সকালের আলোগুলো আরও ম্লান হয় – হায়েনা
ও শিয়ালের চিৎকারে।
বুনো কুকুর আর শুয়োরেরা তখন মাংসের
প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।

সাত রঙা পাখি ভাবে –
আহা, আবার কবে শান্ত
আধারভাঙা বনে সে গাইবে গান!

জনপ্রিয় সংবাদ

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত

বনের গল্প

০৭:১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

বন বড়ই চঞ্চলা
বৃষ্টি নামলে সে পাখিদের ডানাকে ঢেকে
রাখার জন্যে সব পাতা মেলে ধরে না।
অনেক পাখি ভিজে চুপসে যায়
আবার বৃষ্টিতে মাতোয়ারা হয় ঘাসের বুকে
পায়ে চলা, জলে সাঁতার কাটা পাখিরা।

বনে মাঝে মাঝে আগুন লাগে
সে কবে থেকে তার হিসেব নেই –
সেই দাবানলে ভালুক নিজের ছানা হারিয়ে ফেলে
বাঘের ছানা বুকে নিয়েই চমকে ওঠে।
তারপরে ভালুক কী করে – তা রুদ্রের ভয়ংকরে দেখা যায় না।
বাঘের ছানা কখনও কখনও বেঁচে যায়
ভালুকের বুকের সাহায্য পেয়ে।

আবার নিস্তরঙ্গ বনে বুনো ঝড় এলে
কখনও কখনও সিংহ, বাঘ অচ্যুত হয়ে ওঠে।
সিংহ গোপন পাহাড়ের চূড়ায় আশ্রয় নেয় –
বাঘেরা উঁচু কোন গাছের পাতার নিচে
চুপটি করে থাকে।
তখন বনের সকল দুর্বল প্রাণী খাবারের অধিকার
পায় হায়েনা ও শিয়ালেরা।
তারা একের পর এক মাংস জড়ো করে-
সিংহ দূর পাহাড় থেকে “সিংহনিরীক্ষণে” নিশ্চল
দৃষ্টি ফেলে আর দেখে –
বনে যতই রাত নামে ততই
হায়েনা আর শিয়ালেরা মাংস নিয়ে
অশ্লীল, কুৎসিত দাঁত বের করে
একে অপরকে ধাওয়া করতে থাকে।

বনের সাত রঙা পাখিটি ভোর হলে
ওদের রক্তাক্ত দাঁত আর লোভের চিৎকার
শুনে কেঁদে ওঠে –
বলে আহা, বনটা গেল –
সাত রঙা পাখি তার স্মৃতিতে ফিরে
যায় – মনে পড়ে সিংহের গর্জনে কেঁপে উঠত বন
অথচ কী নীরব ছিল তার প্রয়োজনীয় খাদ্যটুকু খাওয়া!

সকালের আলোগুলো আরও ম্লান হয় – হায়েনা
ও শিয়ালের চিৎকারে।
বুনো কুকুর আর শুয়োরেরা তখন মাংসের
প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে।

সাত রঙা পাখি ভাবে –
আহা, আবার কবে শান্ত
আধারভাঙা বনে সে গাইবে গান!