তৃণমূলের অকুণ্ঠ সমর্থন
সারা দেশের জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও সদস্য-সচিবেরা বুধবার দুপুর ১২ টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের বনানী কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তাঁরা কাদেরের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ঘোষণা করেন এবং পার্টির ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
চেয়ারম্যানের সতর্ক বার্তা
সভায় জিএম কাদের স্পষ্ট করে বলেন, ‘যারা এত দিন জাতীয় পার্টি নিয়ে বেচাকেনার রাজনীতি করেছে, তাদের সঙ্গে আর পথ চলা নয়।’ তিনি সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখার তাগিদ দেন এবং দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে পার্টির ক্ষতি করার যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করার ঘোষণা দেন।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি
- কো–চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা
- প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, ইমরান হোসেন মিয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, শেরীফা কাদের, মো. শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, মনিরুল ইসলাম মিলন, আশরাফুজ্জামান আশু, এসএম ইয়াসির ও ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস
- সভা পরিচালনা করেন পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম
জেলা প্রতিনিধিদের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ
প্রায় প্রতিটি জেলা প্রতিনিধি দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাদেরের দৃঢ় পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন—
- ‘দলকে ষড়যন্ত্র কবলিত করতে চাইলে কোনো ছাড় নেই।’
- ‘তৃণমূলের শক্তি ছাড়া জাতীয় পার্টি টেকসই হতে পারে না।’
- ‘শাস্তির উদাহরণ তৈরি হলে বিশৃঙ্খলাবাদীরা সরে যাবে।’
পরবর্তী করণীয়
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শৃঙ্খলা রক্ষা—দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা।
তৃণমূল–কেন্দ্র সমন্বয় জোরদার—প্রতিটি জেলায় আলোচনা সভা ও কর্মশালা।
দলীয় ভাবমূর্তি উন্নয়ন—সাংগঠনিক প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ বার্তা।
এ-সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করতে দলের নীতিনির্ধারকেরা একমত হন যে তৃণমূলের শক্তি ও শৃঙ্খলাই জাতীয় পার্টিকে এগিয়ে নেবে।