১০:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা

সমকালের একটি শিরোনাম “ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা”

সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন– এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবই বাদ যেতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যাতে ভবিষ্যতে কেউ বাদ দিতে না পারে, সে জন্য সংবিধানের বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে গণভোটের বিধানে ঐকমত্য হয়েছে দলগুলোর।

বিএনপিসহ পাঁচটি দল চায়, সংসদের নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ২১ দল চায় ভোটের অনুপাতে (পিআর) হবে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন। দুই পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় উচ্চকক্ষের ধারণা পরিত্যক্ত করার আলাপ উঠেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব ‘পরিত্যক্ত’ করতে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে সংলাপে উচ্চকক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৪তম সংলাপে উচ্চকক্ষ ছাড়াও সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের আগে প্রস্তাব ছিল, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং গণভোট লাগবে। উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে গঠিত হবে ধরে এ প্রস্তাব করেছিল কমিশন।

বিএনপিকে পিআরে রাজি করাতে সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব করেছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উচ্চকক্ষ না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনে নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গণভোট লাগবে। তবে উচ্চকক্ষ পিআর হলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ও রাজি নয় বিএনপি।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এক বছর হয়ে গেল, কিন্তু বিচার কত দূর: আবু সাঈদের বড় ভাই”

আজ ১৬ জুলাই। সরকারি ঘোষণায় প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে শহীদ জুলাই দিবস। জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের স্মরণে সকাল থেকেই পীরগঞ্জের বাবনপুরে সমাধিস্থল ঘিরে পরিবার, সহপাঠী ও সর্বস্তরের মানুষের ভিড়। ফুলেল শ্রদ্ধা, দোয়া-মাহফিল এবং আবেগঘন বক্তব্যে বারবার ফিরে আসছিল একটি প্রশ্ন—‘আবু সাঈদ হত্যার বিচারের অগ্রগতি কত দূর?’

আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, যিনি আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী। আজ শাহাদাত বার্ষিকীতে কবর জিয়ারত শেষে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, যিনি এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী, শহীদ দিবস উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে জীবন দিল। দেশের নতুন একটি স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতার কোনো আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এক বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো বিচার শুরু হয়নি। পুরো দেশ জানে পুলিশ গুলি করে মেরেছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু বিচার কোথায়?

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ। সরকারিভাবে শহীদ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। আমি সব শহীদের জন্য দোয়া কামনা করি। যাঁরা আহত ভাইয়েরা আছেন, তাঁদের জন্যও দোয়া করি।’

রমজান আলীর অভিযোগ, ‘আমাদের বাসায় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে দেশের সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এসেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিও আমাদের বাসায় আসেন। সবার কাছে চেয়েছিলাম শুধু আমার ভাই হত্যার বিচার। কিন্তু এক বছরে আমরা এই বিচারের কোনো অগ্রগতি পাইনি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু”

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। গতকাল
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই ও সদরের ভারুয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার। এর আগে গত রোববার পানিরছড়া এলাকায় তার ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রহিম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।

শফিকুর রহমান জানান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের একজন প্রবাসীর একটি জায়গায় ৫ই আগস্টের পর থেকে কক্সবাজার লাইট হাউস ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমানের নেতৃত্বে দখল করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে পুলিশের এসআই তদন্তে গেলে তার অনুরোধে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনি উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সমস্যার সমাধান করে দেন। এ সময় নোমানরা জায়গায় আর যাবে না মর্মে পুলিশকে মুচলেকাও দেয়। এ ঘটনার জেরে নোমান শফিকুর রহমান সিকদারসহ তার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, গত রোববার আমার চাচাতো ভাই জাহেদ সিকাদারকে পানিরছড়া যাওয়ার পথে নোমানের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে মারধর করে। খবর পেয়ে খবর পেয়ে আমার ভাইপো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক রহিম সিকদার, শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এ ঘটনায় রহিম ও সাকিবকে মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। শাহিনের হাতে দা দিয়ে কোপায় এবং জসিমকে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাকিব, রহিম ও শাহিনকে চট্টগ্রাম রেফার করা হয়। সেখানে রহিম ও সাকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। শাহিনের হাতে ২২টি সেলাই করা হয়। গতকাল সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রহিম মারা যান। সাকিব এখনো আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের ১ হাজার শহরের মধ্যে ঢাকার স্থান ৪৮২”

শেনজেন শহরকে বলা হয় চীনের সিলিকন ভ্যালি। এক সময়ের মৎস্য গ্রাম থেকে এটি আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল মেট্রোপলিটন শহর। এখানে পরিকল্পিত বিনিয়োগের জন্য রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়া শহরটি বর্তমানে উচ্চপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস, টেলিযোগাযোগ ও আর্থিক প্রযুক্তি খাতের একটি কেন্দ্র। এ শহরের জিডিপি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বড়।

মানবসম্পদের গুণগত মানও এ শহরে অত্যন্ত উচ্চ। কারণ এখানে আছে অনেকগুলো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও বিপুল তরুণ কর্মশক্তি। পরিবেশ রক্ষায় শহরটি সবুজ নগরায়ণ, বৈদ্যুতিক বাস ও স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করেছে। সুশাসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও নগর পরিকল্পনা নিশ্চিত করছে। সব মিলিয়ে চীনের শেনজেন এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে আকর্ষণীয় ও উচ্চ জীবনমানের শহরগুলোর মধ্যে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের সমৃদ্ধ শহরগুলোর জন্য উদাহরণ বিবেচিত হলেও যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বের এক হাজার শহরের মধ্যে চীনের শেনজেনের অবস্থান ১৩৪। একই ইনডেক্স বা সূচকে ভারতের দিল্লির অবস্থান ২৭৩। আর বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান ৪৮২। গত মে মাসে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস: গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স ২০২৫ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকার এ অবস্থান উঠে এসেছে।

গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর অর্থনীতির আকর্ষণীয়তার একটি সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করে। এটা করা হয় বিভিন্ন পরিমাপযোগ্য সূচকের মাধ্যমে, যা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

 

ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা

০৯:২০:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষই বাদের চিন্তা”

সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন– এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য না হওয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবই বাদ যেতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা যাতে ভবিষ্যতে কেউ বাদ দিতে না পারে, সে জন্য সংবিধানের বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধনে গণভোটের বিধানে ঐকমত্য হয়েছে দলগুলোর।

বিএনপিসহ পাঁচটি দল চায়, সংসদের নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ২১ দল চায় ভোটের অনুপাতে (পিআর) হবে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন। দুই পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় উচ্চকক্ষের ধারণা পরিত্যক্ত করার আলাপ উঠেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছে উচ্চকক্ষের প্রস্তাব ‘পরিত্যক্ত’ করতে। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে সংলাপে উচ্চকক্ষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৪তম সংলাপে উচ্চকক্ষ ছাড়াও সংবিধান সংশোধন নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশনের আগে প্রস্তাব ছিল, সংবিধান সংশোধনে সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং গণভোট লাগবে। উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে গঠিত হবে ধরে এ প্রস্তাব করেছিল কমিশন।

বিএনপিকে পিআরে রাজি করাতে সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গণভোটের প্রস্তাব করেছে কমিশন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উচ্চকক্ষ না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনে নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গণভোট লাগবে। তবে উচ্চকক্ষ পিআর হলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ও রাজি নয় বিএনপি।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “এক বছর হয়ে গেল, কিন্তু বিচার কত দূর: আবু সাঈদের বড় ভাই”

আজ ১৬ জুলাই। সরকারি ঘোষণায় প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে শহীদ জুলাই দিবস। জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের স্মরণে সকাল থেকেই পীরগঞ্জের বাবনপুরে সমাধিস্থল ঘিরে পরিবার, সহপাঠী ও সর্বস্তরের মানুষের ভিড়। ফুলেল শ্রদ্ধা, দোয়া-মাহফিল এবং আবেগঘন বক্তব্যে বারবার ফিরে আসছিল একটি প্রশ্ন—‘আবু সাঈদ হত্যার বিচারের অগ্রগতি কত দূর?’

আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, যিনি আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী। আজ শাহাদাত বার্ষিকীতে কবর জিয়ারত শেষে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী, যিনি এই হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী, শহীদ দিবস উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বৈষম্যের বিরুদ্ধে জীবন দিল। দেশের নতুন একটি স্বাধীনতা এসেছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতার কোনো আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এক বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো বিচার শুরু হয়নি। পুরো দেশ জানে পুলিশ গুলি করে মেরেছে, এটা স্পষ্ট। কিন্তু বিচার কোথায়?

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ। সরকারিভাবে শহীদ দিবস ঘোষণা করা হয়েছে। আমি সব শহীদের জন্য দোয়া কামনা করি। যাঁরা আহত ভাইয়েরা আছেন, তাঁদের জন্যও দোয়া করি।’

রমজান আলীর অভিযোগ, ‘আমাদের বাসায় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে দেশের সব উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এসেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিও আমাদের বাসায় আসেন। সবার কাছে চেয়েছিলাম শুধু আমার ভাই হত্যার বিচার। কিন্তু এক বছরে আমরা এই বিচারের কোনো অগ্রগতি পাইনি।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “কক্সবাজারে জামায়াত নেতার হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু”

কক্সবাজারে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে হামলায় আহত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদার মারা গেছেন। গতকাল
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই ও সদরের ভারুয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান সিকদার। এর আগে গত রোববার পানিরছড়া এলাকায় তার ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহত রহিম সিকদার কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।

শফিকুর রহমান জানান, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের একজন প্রবাসীর একটি জায়গায় ৫ই আগস্টের পর থেকে কক্সবাজার লাইট হাউস ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমানের নেতৃত্বে দখল করার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় প্রবাসীর পরিবার কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে পুলিশের এসআই তদন্তে গেলে তার অনুরোধে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যানসহ তিনি উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সমস্যার সমাধান করে দেন। এ সময় নোমানরা জায়গায় আর যাবে না মর্মে পুলিশকে মুচলেকাও দেয়। এ ঘটনার জেরে নোমান শফিকুর রহমান সিকদারসহ তার পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, গত রোববার আমার চাচাতো ভাই জাহেদ সিকাদারকে পানিরছড়া যাওয়ার পথে নোমানের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে মারধর করে। খবর পেয়ে খবর পেয়ে আমার ভাইপো ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব সিকদার, ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক রহিম সিকদার, শাহিন সিকদার ও জসিম সিকদার ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এ ঘটনায় রহিম ও সাকিবকে মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। শাহিনের হাতে দা দিয়ে কোপায় এবং জসিমকে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাকিব, রহিম ও শাহিনকে চট্টগ্রাম রেফার করা হয়। সেখানে রহিম ও সাকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। শাহিনের হাতে ২২টি সেলাই করা হয়। গতকাল সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় রহিম মারা যান। সাকিব এখনো আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের ১ হাজার শহরের মধ্যে ঢাকার স্থান ৪৮২”

শেনজেন শহরকে বলা হয় চীনের সিলিকন ভ্যালি। এক সময়ের মৎস্য গ্রাম থেকে এটি আজ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল মেট্রোপলিটন শহর। এখানে পরিকল্পিত বিনিয়োগের জন্য রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এছাড়া শহরটি বর্তমানে উচ্চপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস, টেলিযোগাযোগ ও আর্থিক প্রযুক্তি খাতের একটি কেন্দ্র। এ শহরের জিডিপি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা অনেক দেশের অর্থনীতির চেয়েও বড়।

মানবসম্পদের গুণগত মানও এ শহরে অত্যন্ত উচ্চ। কারণ এখানে আছে অনেকগুলো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও বিপুল তরুণ কর্মশক্তি। পরিবেশ রক্ষায় শহরটি সবুজ নগরায়ণ, বৈদ্যুতিক বাস ও স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করেছে। সুশাসনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন প্রযুক্তিনির্ভর সেবা ও নগর পরিকল্পনা নিশ্চিত করছে। সব মিলিয়ে চীনের শেনজেন এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে আকর্ষণীয় ও উচ্চ জীবনমানের শহরগুলোর মধ্যে উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

অর্থনৈতিক আকর্ষণে বিশ্বের সমৃদ্ধ শহরগুলোর জন্য উদাহরণ বিবেচিত হলেও যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাধীন অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের গবেষণা অনুযায়ী বিশ্বের এক হাজার শহরের মধ্যে চীনের শেনজেনের অবস্থান ১৩৪। একই ইনডেক্স বা সূচকে ভারতের দিল্লির অবস্থান ২৭৩। আর বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান ৪৮২। গত মে মাসে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস: গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স ২০২৫ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকার এ অবস্থান উঠে এসেছে।

গ্লোবাল সিটিজ ইনডেক্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর অর্থনীতির আকর্ষণীয়তার একটি সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করে। এটা করা হয় বিভিন্ন পরিমাপযোগ্য সূচকের মাধ্যমে, যা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।