হাইলাইট
- সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে দুই উপদেষ্টা পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
- ‘ভূয়া! ভূয়া!’ স্লোগানে উপদেষ্টাদের ঘিরে ধরে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
- বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে এপিবিএন, পিওএম, র্যাবসহ অতিরিক্ত বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
- শিক্ষার্থীদের দাবি: নিহতদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় তালিকা, আহতদের যাচাইকৃত তালিকা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ।
- নিহত ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনই শিশু; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭৮ জন। ‘তথ্য গোপন’ অভিযোগের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে ভবনে আটকে রাখে বিক্ষুব্ধরা।
বিক্ষোভের সূচনা ও উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ করে রাখা
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার পরিস্থিতি মূল্যায়নে ক্যাম্পাসে গেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে এবং পরে তাদের ঘিরে ধরে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমও ওই সময় ভবনের ভেতরে ছিলেন।
নিরাপত্তা জোরদার
বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে এপিবিএন, পিওএম ও র্যাবের অতিরিক্ত সদস্যদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি উপস্থিতি বাড়ানো হয়।
আলোচনার চেষ্টা ও দাবিপত্র
ভবন নম্বর ৫-এর নিচতলার সম্মেলনকক্ষে ৫–৭ জন শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিদলকে নিয়ে উপদেষ্টারা আলোচনায় বসেন। বাইরে শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। তারা মৃতদের সঠিক পরিচয় প্রকাশ, আহতদের তালিকা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণের লিখিত নিশ্চয়তা দাবি করে।
হতাহতের সর্বশেষ চিত্র
বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭। এর মধ্যে ২৫ জন শিশু শিক্ষার্থী, একজন পাইলট ও একজন শিক্ষক। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৮ জন। সোমবার রাতে বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও আটজন মারা গেছেন বলে জানানো হয়।
সরকারি ব্রিফিং ও ‘তথ্য গোপন’ অভিযোগ
মঙ্গলবার সকাল ৮টার ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান এই সংখ্যা নিশ্চিত করেন; ‘তথ্য গোপন’ করার অভিযোগ সরকার প্রত্যাখ্যান করে।
দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপট
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ০৬ মিনিটে (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিগিআই প্রশিক্ষণ বিমানটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির পর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে আছড়ে পড়ে। এতে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড হয় এবং ভবনের অংশ ধসে পড়ে। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামও মারা যান।
শোক, তদন্ত ও বৃহত্তর প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর দেশে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল—জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ—শোক জানিয়েছে। সরকার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা পুরোনো বা ঝুঁকিপূর্ণ প্রশিক্ষণ বিমানের ব্যবহার বন্ধেরও দাবি তুলেছে।
আহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্নতা
প্রথম দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আহতের সংখ্যা ১৫০–১৭১ জন পর্যন্ত উল্লেখ করা হলেও সরকারি হিসাবে চিকিৎসাধীন সংখ্যা ৭৮। তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় প্রাথমিক সংখ্যায় অমিল দেখা যাচ্ছে।
সামনে কী
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, দাবিগুলোর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না এলে তারা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহে সহায়তা চেয়েছে।